আতিফ আসলাম
আতিফ আসলাম (উর্দু: عاطف اسلم; জন্ম: ১২ মার্চ ১৯৮৩) একজন পাকিস্তানি গায়ক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি বলিউডের কয়েকটি ছবিতে ক্যামিও ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ২০১১ সালে পাকিস্তানি চলচ্চিত্র বোল-এ তিনি প্রথম অভিনেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় গান গেয়েছেন।[1] তিনি তার "ভোকাল বেল্টিং" পদ্ধতির জন্য সুপরিচিত।[2] তিনি প্রধানত হিন্দি, উর্দু ও পাঞ্জাবি ভাষায় গান করেন, তবে তিনি বাংলাতেও গান গেয়েছেন। ২০০৮ সালে আতিফ আসলাম পাকিস্তানের চতুর্থ-সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান তমগা-এ-ইমতিয়াজ-এ ভূষিত হন।
আতিফ আসলাম | |
---|---|
![]() | |
প্রাথমিক তথ্য | |
স্থানীয় নাম | عاطف اسلم |
জন্ম নাম | মুহম্মদ আতিফ আসলাম |
জন্ম | ওয়াজিরাবাদ, পাঞ্জাব, পাকিস্তান | ১২ মার্চ ১৯৮৩
উদ্ভব | লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান |
ধরন | রক, পপ, সুফি, ফিল্মি |
পেশা | গায়ক, অভিনেতা, গিটারবাদক |
বাদ্যযন্ত্রসমূহ | কণ্ঠ, গিটার |
কার্যকাল | ২০০৪–বর্তমান |
সহযোগী শিল্পী | স্ট্রিংস, জল, কোক স্টুডিও (পাকিস্তান), হাদিকা কিয়ানি, শ্রেয়া ঘোষাল, অলকা যাজ্ঞিক, শচীন–জিগর, প্রীতম চক্রবর্তী, আলিশা চিনয়, সুনিধি চৌহান, কয়াস, হানি সিং |
ওয়েবসাইট | aadeez |
প্রথম জীবন
আতিফ আসলাম পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে একটি পাঞ্জাবি মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লারকানার কিম্বারলে হল স্কুলে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা শুরু করেন। ১৯৯১ সালে তিনি রাওয়ালপিন্ডি চলে আসেন। সেখানকার স্যাটেলাইট টাউনের সেন্ট পলস কেমব্রিজ স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি লাহোরে ফিরে আসেন। সেখানে ডিভিশনাল পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর লাহোর কলেজ পাঞ্জাব থেকে তিনি এফএসসি করেন। তারপর তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন।[3][4][5][6]
প্রথম আবির্ভাব
আতিফ আসলাম নুসরাত ফাতেহ আলী খান ও আবিদা পারভিনের অণুরাগী হলেও[7] তার প্রথম প্রেম ছিল ক্রিকেট খেলা। তিনি পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি ফাস্ট বোলার ছিলেন। তাকে অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলে মনোনীত করাও হয়েছিল। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য কিছুদিন তাকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল।
সঙ্গীত জীবন
২০০৪ সালের ১৭ জুলাই আতিফের প্রথম অ্যালবাম জাল পরি প্রকাশিত হয়।[8] আদাত গানটির ব্যাপক জনপ্রিয়তার পরপরে আতিফের এই অ্যালবামটি বাজারে আসে এবং এটিও জনপ্রিয়তা পায়।[9] এই অ্যালবামের ভিগি ইয়াদিন, এহ্সাস, মাহি ভে, আখন সে এবং জাল পরি গানগুলি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অনন্য গায়কী ভঙ্গীমা এবং শৈল্পিক দক্ষতার কারণে অ্যালবাম প্রকাশের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আতিফ তারকাখ্যাতি অর্জন করেন। পাকিস্তানজুড়ে এই অ্যালবামটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। আতিফের পরিবারে কখনো সঙ্গীতচর্চা ছিল না। এছাড়া আতিফ কখনো সঙ্গীতে দীক্ষা নেন নি। তার সহজাত প্রতিভা এবং শিল্পী হবার তীব্র আকাঙ্ক্ষাই তাকে একজন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীতে পরিণত করে। আতিফ নিন্দুকদের কথায় কর্ণপাত না করে তার স্বপ্রতিভ গায়কী ভঙ্গিমায় সঙ্গীত চর্চা করতে থাকেন। প্রথম অ্যালবামের সাফল্যের পর তিনি কনসার্টে গান পরিবেশন করতে শুরু করেন এবং অতি অল্প সময়ে সেখানেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই জনপ্রিয়তা পাকিস্তান ছাড়িয়ে উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। কনসার্টে সরাসরি সঙ্গীত পরিবেশনে তার সহজাত ক্ষমতার কারণে কনসার্টে শিল্পী হিসেবে তার চাহিদা বাড়তে থাকে। আতিফ সবসময় নুসরাত ফতেহ আলি খান এবং আবিদা পারভিনের প্রশংসা করেছেন।[10]
অভিনয় জীবন
আতিফ আসলাম ২০১১ সালে পাকিস্তানি সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার এ ক্যারিয়ার শুরু করেন Bol.[11] তিনি অনেক ফিল্ম গানের মধ্যে বিশেষ উপস্থিতি তৈরি করেছেন।
তথ্যসুত্র
- "Music knows no boundaries: Atif Aslam"। hindustantimes.com। February 12, 2010। সংগ্রহের তারিখ 23 september 2011। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "So you think you can act?"। tribune.com.pk। May 17, 2010। সংগ্রহের তারিখ 23 september 2011। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "Atif Aslam Great Pakistani Pop Singer"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৩।
- "Atif Aslam Biography"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৩।
- "Atif Aslam Biography"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৩।
- "Atif Aslam"। ২০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৩।
- "One on one with Atif Aslam"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১১।
- "Atif's magic"। ৩০ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১১।
- "Atif Aslam: Music for my ears"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১১।
- "One on one with Atif Aslam"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১১।
- "Atif Aslam debut in Bol"। mmail.com.my। ২২ অক্টোবর ২০১২। ১৬ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।