সূরা আত-তাকভীর
সূরা আত-তাকভীর (আরবি ভাষায়: عبس) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮১ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৯; তবে এতে কোন রূকু তথা অনুচ্ছেদ নেই। সূরা আত-তাকভীর মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
![]() | |
শ্রেণী | মাক্কী সূরা |
---|---|
নামের অর্থ | অন্ধকারাচ্ছন্ন |
পরিসংখ্যান | |
সূরার ক্রম | ৮১ |
আয়াতের সংখ্যা | ২৯ |
পারার ক্রম | ৩০ |
রুকুর সংখ্যা | নেই |
সিজদাহ্র সংখ্যা | নেই |
← পূর্ববর্তী সূরা | সূরা আবাসা |
পরবর্তী সূরা → | সূরা আল-ইনফিতার |
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ |
নামকরণ
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের كُوِرَتْ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে। 'তাকভীর' (تَكْوِيْر) হচ্ছে মূল শব্দ; এর অতীতকাল হিসাবে ব্যবহৃত্ হয় 'কুওভিরাত' (كُوِرَتْ) শব্দটি, যার অর্থ গুটিয়ে ফেলা।[1]
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
কুরআন |
---|
ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ |
![]() |
বিষয়বস্তু
|
অনুবাদ
|
ইতিহাস
|
তাফসীর
|
|
শানে নুযূল
বিষয়বস্তুর বিবরণ
আয়াত সমূহ
إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ
যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে,
وَإِذَا النُّجُومُ انكَدَرَتْ
যখন নক্ষত্র মলিন হয়ে যাবে,
وَإِذَا الْجِبَالُ سُيِّرَتْ
যখন পর্বতমালা অপসারিত হবে,
وَإِذَا الْعِشَارُ عُطِّلَتْ
যখন দশ মাসের গর্ভবতী উষ্ট্রীসমূহ উপেক্ষিত হবে;
وَإِذَا الْوُحُوشُ حُشِرَتْ
যখন বন্য পশুরা একত্রিত হয়ে যাবে,
وَإِذَا الْبِحَارُ سُجِّرَتْ
যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,
وَإِذَا النُّفُوسُ زُوِّجَتْ
যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে,
وَإِذَا الْمَوْؤُودَةُ سُئِلَتْ
যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে,
بِأَيِّ ذَنبٍ قُتِلَتْ
কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল?
وَإِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتْ
যখন আমলনামা খোলা হবে,
وَإِذَا السَّمَاء كُشِطَتْ
যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে,
وَإِذَا الْجَحِيمُ سُعِّرَتْ
যখন জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে
وَإِذَا الْجَنَّةُ أُزْلِفَتْ
এবং যখন জান্নাত সন্নিকটবর্তী হবে,
عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا أَحْضَرَتْ
তখন প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে কি উপস্থিত করেছে।
فَلَا أُقْسِمُ بِالْخُنَّسِ
আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো পশ্চাতে সরে যায়।
الْجَوَارِ الْكُنَّسِ
চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়,
وَاللَّيْلِ إِذَا عَسْعَسَ
শপথ নিশাবসান ও
وَالصُّبْحِ إِذَا تَنَفَّسَ
প্রভাত আগমন কালের,
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ
নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের আনীত বাণী,
ذِي قُوَّةٍ عِندَ ذِي الْعَرْشِ مَكِينٍ
যিনি শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাশালী,
مُطَاعٍ ثَمَّ أَمِينٍ
সবার মান্যবর, সেখানকার বিশ্বাসভাজন।
وَمَا صَاحِبُكُم بِمَجْنُونٍ
এবং তোমাদের সাথী পাগল নন।
وَلَقَدْ رَآهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ
তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন।
وَمَا هُوَ عَلَى الْغَيْبِ بِضَنِينٍ
তিনি অদৃশ্য বিষয় বলতে কৃপনতা করেন না।
وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَانٍ رَجِيمٍ
এটা বিতাড়িত শয়তানের উক্তি নয়।
فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ
অতএব, তোমরা কোথায় যাচ্ছ?
إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِينَ
এটা তো কেবল বিশ্বাবাসীদের জন্যে উপদেশ,
لِمَن شَاء مِنكُمْ أَن يَسْتَقِيمَ
তার জন্যে, যে তোমাদের মধ্যে সোজা চলতে চায়।
وَمَا تَشَاؤُونَ إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না।
তথ্যসূত্র
- "সূরার নামকরণ"। www.banglatafheem.com। তাফহীমুল কোরআন, ২০ অক্টোবর ২০১০। ১৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ : ২৭ জুলাই ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
- ডিজিটাল 'আল কোরআন' - ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ।
- কোরআন শরীফ.অর্গ।
![]() |
ইংরেজি ভাষার উইকিসংকলনে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে: |