কিথ রিগ
কিথ এডওয়ার্ড রিগ (ইংরেজি: Keith Rigg; জন্ম: ২১ মে, ১৯০৬ - মৃত্যু: ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫) ভিক্টোরিয়ার ম্যালভার্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[1] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
![]() আনুমানিক ১৯৩০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে কিথ রিগ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কিথ এডওয়ার্ড রিগ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ম্যালভার্ন, ভিক্টোরিয়া, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া | ২১ মে ১৯০৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ ৮৮) ম্যালভার্ন, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | স্ত্রী: মেরি এলসা হকিং, সন্তান: গর্ডন (পুত্র), মেরি ক্যারোলিন "ক্যানি" কভেন্ট্রি (কন্যা), সিসি ম্যাকডোনাল্ড, (কাকাতো ভাই), আইএইচ ম্যাকডোনাল্ড (কাকাতো ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩৬) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২৬/২৭–১৯৩৮/৩৯ | ভিক্টোরিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ আগস্ট ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন কিথ রিগ। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯২৬-২৭ মৌসুম থেকে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল কিথ রিগের। ১৯৩০-এর দশকে কিথ রিগ শক্তসামর্থ্য ও ধ্রুপদী ক্রীড়াশৈলীর অধিকারী ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়েছিলেন। তবে, তার সময়কালে সেরা ব্যাটসম্যানদের প্রাচুর্যতায় নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ও প্রায়শঃই তার সাফল্য ম্লান হয়ে পড়তো।
১৯২৬-২৭ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে কিথ রিগের। তবে, শেফিল্ড শিল্ডের দলটিতে নিজেকে মেলে ধরতে কিছুটা সময়ে লেগেছিল তার। ১৯৩০-৩১ মৌসুমে টেস্ট দলে খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়। এ সময়ে তিনি মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ের শেষবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তবে, অধ্যাপকের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে দলে যুক্ত হলেও দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকায় তাকে অবতীর্ণ হতে হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন কিথ রিগ। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৭ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৩০-৩১ মৌসুমে টেস্ট দলে অন্তর্ভূক্ত হলেও দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিতে হয়। পরবর্তী তিন টেস্টেও এ ধারা বহমান থাকে। অবশেষে সিডনিতে টেস্ট ক্রিকেট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় কিথ রিগের। কিন্তু পোতানো উইকেটে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরে ও প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে জয়লাভ করে। খেলায় তিনি ১৪ ও ১৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
এই একই মাঠে এক বছর পর সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজস্ব একমাত্র শতরানের ইনিংস খেলেন। ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের সাথে পাল্লা দিয়ে ১২৭ রান করেন তিনি। তবে, ১৯৩২-৩৩ মৌসুমের বডিলাইন সিরিজে অংশগ্রহণ করা থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছিল। ঐ পর্যায়ে তিনি চমৎকারভাবে হুক ও কাট খেলতে অভ্যস্ত ছিলেন। আট টেস্টের সবগুলোই স্বদেশে খেলেন। তিনি কখনো বিদেশ গমনের সুযোগ পাননি। তবে, ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড গমনে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট অস্ট্রেলিয়া দল প্রেরণ করা হলেও তার বিষয়ে আলোচনা করা হলে একজন নির্বাচক তাকে ষোড়শ অবস্থানে রাখেন।
ব্যক্তিগত জীবন

মেলবোর্নের ওয়েসলি কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। ৩০ বছর মেলবোর্নভিত্তিক বৃহৎ মেশিনারি কোম্পানিতে কাজ করেন। এরপর তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ পরিচালকের পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। অনেক বছর ভিক্টোরীয় দল নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন ও বৃদ্ধ অবস্থায়ও নিয়মিতভাবে এমসিজিতে আসতেন। স্টিভ ওয়াহ’র ব্যাটিংশৈলীতে তার প্রভাব পড়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ তারিখে ৮৮ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার ম্যালভার্ন এলাকায় কিথ রিগের দেহাবসান ঘটে। তার কাকাতো ভাই কলিন ম্যাকডোনাল্ড ভিক্টোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ক্রিকেট খেলেছেন।
তথ্যসূত্র
- "Australia – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৯।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে কিথ রিগ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে কিথ রিগ
(ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে কিথ রিগ
(সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)