হেনরি প্রমিৎজ

হেনরি লুই আর্নেস্ট প্রমিৎজ (ইংরেজি: Henry Promnitz; জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৪ - মৃত্যু: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩) কেপ প্রদেশের কিং উইলিয়ামস টাউনে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৭ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট, ফ্রি স্টেট ও বর্ডার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি স্লো বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন হেনরি প্রমিৎজ

হেনরি প্রমিৎজ
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি স্লো
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় পার্শ্ব
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৫
রানের সংখ্যা ১৪ ৫৯২
ব্যাটিং গড় ৩.৫০ ১১.৮৩
১০০/৫০ ০/০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৫০
বল করেছে ৫২৮ ৮৫১৮
উইকেট ১৫০
বোলিং গড় ২০.১২ ২৩.৮০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/৫৮ ৭/১০১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ১৯/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ মার্চ ২০১৯

ঘরোয়া ক্রিকেট

১৯২৪-২৫ থেকে ১৯৩৬-৩৭ মৌসুম পর্যন্ত বিভিন্ন দলের সাথে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ২৩.৮০ গড়ে ১৫০টি উইকেট পান। ১৯২৪-২৫ মৌসুম থেকে ১৯২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত বর্ডার, ১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯২৩-৩৩ মৌসুম পর্যন্ত গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট এবং ১৯৩৩-৩৪ মৌসুম থেকে ১৯৩৬-৩৭ মৌসুম পর্যন্ত অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের পক্ষে খেলেন হেনরি প্রমিৎজ। নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় সেরা খেলা উপহার দেন তিনি। ১৯২৫-২৬ মৌসুমে বর্ডারের সদস্যরূপে ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ৬/৫৫ ও ৫/৪৬ পান।[1] তবে, ১৯৩১-৩২ মৌসুমে ইনিংসে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের সদস্যরূপে নাটালের বিপক্ষে ৭/১০১ পেয়েছিলেন।[2]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। উভয় টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন।[3] ১৯২৭-২৮ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্য মনোনীত হন। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯২৭ তারিখে টেস্টে অভিষেক ঘটে হেনরি প্রমিৎজের।

জোহেন্সবার্গে রনি স্ট্যানিফোর্থের নেতৃত্বাধীন সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট লাভ করে সবিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।[4] খেলায় তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৩৭-১৪-৫৮-৫। এক পর্যায়ে ইংরেজদের সংগ্রহ ২৩০/১ ছিল। পরবর্তীতে তিনি ৩৭ ওভারে মাত্র ৫৮ রান দিয়ে সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে ফেলেন। তাসত্ত্বেও, স্বাগতিকরা পরাজিত হয়েছিল। কেপটাউনের দ্বিতীয় টেস্টে ৩০ ওভারে ৩/৫৬ পান। আটটি টেস্ট উইকেটের মধ্যে ওয়ালি হ্যামন্ড, হার্বার্ট সাটক্লিফ, আর্নেস্ট টিল্ডসলে, বব ওয়াটগ্রিভিল স্টিভেন্সের ন্যায় তারকা খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু, তারপর পেস বোলার আর্থার ওকসের কাছে স্থানচ্যূত হন। এরপর আর তাকে টেস্ট আঙ্গিনায় দেখা যায়নি।

খেলার ধরন

অফ ও লেগ স্পিনের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ডানহাতে স্লো বোলিং করতেন। আধুনিককালের অন্যান্য বোলার বিশেষ করে অস্ট্রেলীয় জ্যাক আইভারসন কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান সনি রামাদিনের ন্যায় তার স্পিন বোলিংয়ের গভীরতা নির্ণয় করা অসম্ভব ছিল। তার অফ কিংবা লেগব্রেক ডেলিভারিগুলো প্রায়শঃই বিভ্রান্তিতে ফেলতো। এছাড়াও, তাদের ন্যায় তিনি দূর্বলমানের ফিল্ডার হিসেবে পরিচিতি পান। এরফলেই হয়তোবা তিনি কেবলমাত্র দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন।

৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩ তারিখে ৭৯ বছর বয়সে পূর্ব লন্ডনে হেনরি প্রমিৎজের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

  1. Eastern Province v Border, 1925-26
  2. Griqualand West v Natal, 1931-32
  3. "Louis Promnitz"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-১২
  4. "1st Test: South Africa v England at Johannesburg, Dec 24-27, 1927"espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৮

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.