বিড়াল

বিড়াল (Felis catus, syn. Felis silvestris catus, literally "বনভূমির বিড়াল"),[1][4][5] শ্বাপদ বর্গের অন্তর্গত মাংসাশী স্তন্যপায়ী ক্ষুদ্র পশমযুক্ত প্রাণী। বাঘ, সিংহের মতোন বড় বিড়াল এবং অন্যান্য ফেলিডিফেলিনাই থেকে পার্থক্য করতে প্রায়শই এদেরকে গৃহপালিত বিড়াল বলা হয়। পোষাপ্রাণী হিসেবে গৃহে পালিত বিড়ালদের গৃহের বিড়াল বলা হয়ে থাকে,[6] অন্যদিকে বনে বাসকৃত বিড়ালদের বন্য বিড়াল বা বনবিড়াল বলা হয়।[7] সাহচর্যের এবং শত্রু শিকারের দক্ষতার জন্যে প্রায়ই মানুষ এদেরকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। বিভিন্ন বিড়াল নিবন্ধনকারীর মাধ্যমে এযাবৎ সত্তরের অধিক স্বীকৃত বিড়ালের প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়।

গার্হস্থ্য বিড়াল[1]
বিভিন্ন ধরনের গার্হস্থ্য বিড়াল
পোষ মানা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
অপরিচিত শ্রেণী (ঠিক করুন): Felinae
Genus:Felis
প্রজাতি: F. catus
দ্বিপদী নাম
Felis catus
(লিনিয়াস, ১৭৫৮)[2]
প্রতিশব্দ
  • Felis silvestris catus
  • Felis catus domestica Erxleben, 1777[3]

বিড়ালের শারীরস্থান অন্যান্য ফেলিডি প্রাণীর অনুরূপ দৃঢ় নমনীয় শরীর, তড়িৎ প্রতিক্রিয়াশীল, এদের তীক্ষ্ণ দাঁত এবং ক্ষুদ্র শিকার শিকারে পারদর্শী। শিকারী হিসেবে এরা ভোর এবং সন্ধ্যায় সবচেয়ে সক্রিয়। মানুষের কানের তুলনায় বিড়াল খুব তীক্ষ্ণ এবং খুব উচ্চ শব্দ কম্পাঙ্ক শুনতে পায়, যেমন ইঁদুর অথবা অন্যান্য ত্ষুদ্র প্রাণীর দ্বারা সৃষ্ট শব্দ। মানুষের তুলনায়, এরা অন্ধকারে ভাল দেখতে পায় (এমনকি সম্পূর্ণ অন্ধকার অবস্থায়ও), এবং এদের ভাল ঘ্রাণশক্তি রয়েছে, তবে এদের বর্ণের দৃশ্যমানতা দরিদ্র। বিড়াল, একক শিকারী হওয়া সত্ত্বেও, একটি সামাজিক প্রাণীবিড়ালের যোগাযোগের মধ্যে কণ্ঠস্বরের ব্যবহার যেমন, মিয়াও, গরগর (প্যুর), কম্পনজাত (ট্রিল) শব্দ, হিস, গোঁ গোঁ শব্দ করা, এবং কণ্ঠ্যবর্ণের ব্যবহারের পামাপাশি বিড়ালের নির্দিষ্ট শরীরের ভাষা রয়েছে।[8]; এছাড়াও বিড়াল নিজ প্রজাতির সাথে অপ্রকাশ্য এবং ফেরোমোন অনুভূতী দ্বারা যোগাযোগ করতে সক্ষম।

বিড়ালের উচ্চ প্রজনন হার রয়েছে।[9] নিয়ন্ত্রিত প্রজননের অধীনে, এরা বংশবৃদ্ধি করতে পারে এবং নিবন্ধিত পোষা প্রাণী হিসেবে অনেকের বিড়াল প্রেমীর কাছে একটি শখ হিসাবে প্রদর্শিত হয়ে পারে। বন্য বিড়াল অনেক পাখি প্রজাতির বিলুপ্তিতে অবদান রেখেছে।

প্রাচীন মিশরে বিড়ালের পূজা করা হতো, সেখানে সাধারণত বিড়ালরা গৃহে পালন করা হতো বলে মনে করা হয়,[10] কিন্তু প্রায় ৯,৫০০ বছর (৭৫০০ খ্রিস্টপূর্ব) পূর্বে নব্যপ্রস্তরযুগে বিড়াল গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে পরিচিত হতে শুরু করে।[11] গার্হস্থ্য বিড়াল নিকটতম পূর্ব বন্যবিড়াল প্রজাতীর থেকে অবতীর্ণ এবং প্রায় ৮,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়েছিল।[10][12][13] চিতা বিড়াল প্রায় ৫,৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চীনে স্বাধীনভাবে গৃহপালিত ছিল, যদিও আংশিকভাবে গৃহপালিত বিড়ালদের এই লাইনটি বর্তমানে গৃহপালিত বিড়ালসংখ্যার মধ্যে কোনও ছাপ ফেলে না।[14][15]

২০০৭ সালের হিসেবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মিঠাপানির মাছের পর বিড়াল দ্বিতীয় জনপ্রিয়তম পোষা প্রাণী।[16] ২০১০ সালের হিসেবে, যুক্তরাজ্যে মাছ ও কুকুরের মালিকানাধীন প্রায় ৮০ লাখ মালিকানাধীনের মধ্যে বিড়াল তৃতীয় সর্বাধিক জনপ্রীয় প্রাণী হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল।[17]

বিবর্তন

গার্হস্থ্য বিড়াল নিকটবর্তী পূর্ব বন্যবিড়াল প্রজাতীর থেকে বিকশিত বলে মনে করা হয়, যাদের পরিসীমা মধ্য প্রাচ্যের বিস্তৃত অংশকে আফ্রিকার আটলান্টিক উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত করে।[18][19] ৭০,০০০ থেকে ১০০,০০০ বছর পূর্বে এই প্রাণী তাদের জিনগত বংশধরকে বিকশিত করেছিল যা অবশেষে সমস্ত গৃহপালিত বিড়ালের পরিচিতি ঘটায়,[20] যারা প্রায় ৮,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মধ্য প্রাচ্যের কাছাকাছি নিরক্ষীয় পূর্ব বন্যবিড়াল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল বলে ধারণা করা যায়।[10][13]

সর্বপ্রথম কার্ল লিনিয়াস ১৭৫৮ সালে প্রকাশিত তার সিস্টেমা নাটুরে-এর ১০ম সংস্করণে Felis catus হিসেবে গার্হস্থ্য বিড়াল শ্রেণীবদ্ধ হয়েছিল।[1][2]

আচরণ

যোগাযোগ

গার্হস্থ্য বিড়াল যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন কণ্ঠস্বরের ব্যবহার করে, যেমন গরগর (প্যুর), কম্পনজাত (ট্রিল) শব্দ, হিস, গোঁ-গোঁ শব্দ, এবং বিভিন্ন ধরনের মিয়াও শব্দ করা।[8]

আরো দেখুন

  • Aging in cats
  • Animal testing on cats
  • Animal track
  • Cancer in cats
  • Cat and mouse (cat-and-mouse game)
  • বিড়াল দহন
  • বিড়াল বুদ্ধিমত্তা
  • Cat lady
  • Cats and the Internet
  • Dog–cat relationship
  • শুকনো বিড়াল
  • বিড়ালের জাতের তালিকা
  • List of cat documentaries
  • বিড়ালের তালিকা
  • List of fictional cats and felines
  • Pet door including cat flap
  • Pet first aid
  • Popular cat names
  • Trap-neuter-return

টিকা

    তথ্যসূত্র

    1. Wozencraft, W. C. (২০০৫)। "Species Felis catus"। Wilson, D. E.; Reeder, D. M। Mammal Species of the World (3rd সংস্করণ)। Johns Hopkins University Press। পৃষ্ঠা 534–535। আইএসবিএন 978-0-8018-8221-0। ওসিএলসি 62265494
    2. Linnaeus, Carl (১৭৫৮)। Systema naturae (লাতিন ভাষায়)। 1 (10th সংস্করণ)। Stockholm: Lars Salvius। পৃষ্ঠা 42। ৩১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ Biodiversity Heritage Library-এর মাধ্যমে।
    3. "ITIS Standard Report Page: Felis catus domestica"ITIS Online Database। ১৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১১
    4. Felis silvestris catus
    5. "ITIS Standard Report Page: Felis catus"ITIS Online Database। Reston, Virginia: Integrated Taxonomic Information System। ২০১১। ১০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১১
    6. HousecatAmerican Heritage Dictionary of the English Language। Boston: Houghton Mifflin। ২০১০। ১৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১০ Yahoo.com-এর মাধ্যমে।
    7. "Felis catus"www.sms.si.edu
    8. Moelk, Mildred (এপ্রিল ১৯৪৪)। "Vocalizing in the House-cat; A Phonetic and Functional Study"। The American Journal of Psychology57 (2): 184–205। doi:10.2307/1416947জেস্টোর 1416947
    9. Tucker, Abigail (২০১৬)। The Lion in the Living Room: How House Cats Tamed Us and Took Over the WorldSimon & Schusterআইএসবিএন 978-1476738239। ১৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৬
    10. Wade, Nicholas (২০০৭)। "Study Traces Cat's Ancestry to Middle East"The New York Times। ১৮ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০০৮
    11. Vigne, J. D.; Guilaine, J.; Debue, K.; Haye, L.; Gérard, P. (২০০৪)। "Early taming of the cat in Cyprus"। Science304 (5668): 259। doi:10.1126/science.1095335। PMID 15073370
    12. Driscoll, C. A.; Menotti-Raymond, M.; Roca, A. L.; Hupe, K.; Johnson, W. E.; Geffen, E.; Harley, E. H.; Delibes, M.; Pontier, D.; Kitchener, A. C.; Yamaguchi, N.; O'Brien, S. J.; Macdonald, D. W. (২০০৭)। "The Near Eastern Origin of Cat Domestication"Science317 (5837): 519–523। doi:10.1126/science.1139518। PMID 17600185আইএসএসএন 0036-8075পিএমসি 5612713বিবকোড:2007Sci...317..519D
    13. "Oldest Known Pet Cat? 9,500-year-old Burial Found on Cyprus"National Geographic NewsNational Geographic Society। ২০০৪। ৩ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০০৭
    14. Vigne, J.-D.; Evin, A.; Cucchi, T.; Dai, L.; Yu, C.; Hu, S.; Soulages, N.; Wang, W.; Sun, Z. (২০১৬)। "Earliest 'Domestic' Cats in China Identified as Leopard Cat (Prionailurus bengalensis)"PLOS One11 (1): e0147295। doi:10.1371/journal.pone.0147295। PMID 26799955পিএমসি 4723238বিবকোড:2016PLoSO..1147295V
    15. Grimm, David (২৭ জানুয়ারি ২০১৬)। "Were cats domesticated more than once?"sciencemag.org। ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৬
    16. Thompson, Andrea। "What's the Most Popular Pet?"LiveScience। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
    17. "Statistics about pets in the UK" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে. 2010, Society for Companion Animal Studies. Retrieved 15 November 2016
    18. Yamaguchi, N.; Kitchener, A.; Driscoll, C.; Nussberger, B. (২০১৫)। "Felis silvestris (Wildcat)"The IUCN Red List of Threatened Species। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৮
    19. Francis, Richard C. (২০১৫)। Domesticated: Evolution in a Man-Made WorldW. W. Norton & Company
    20. House Cat Origin Traced to Middle Eastern Wildcat Ancestor ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে Brian Handwerk for National Geographic News, 28 June 2007

    বহিঃসংযোগ

    টেমপ্লেট:Cat nav

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.