সোডিয়াম কার্বনেট

সোডিয়াম কার্বনেট একটি অজৈব রাসায়নিক যৌগ যার আণবিক সংকেত Na2CO3। এটি ওয়াশিং সোডা, সোডা অ্যাশ এবং সোডা ক্রিস্টাল নামেও পরিচিত। সোডিয়াম সমৃদ্ধ মাটিতে উৎপন্ন উদ্ভিদ যেমন মধ্য প্রাচ্যের সব্জি স্কটল্যান্ডের কেল্প ও স্পেইনের সামুদ্রিক আগাছা থেকে সোডিয়াম পৃথক করা যায়। এই ধরনের উদ্ভিদের ছাই থেকে পাওয়া যায় বলে একে সোডা অ্যাশ বলা হয়[1]। নানা বাণিজ্যিক পণ্য উৎপাদনে এটি ব্যবহৃত হয়।

ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম

  • সোডিয়াম কার্বনেট কঠিন, গন্ধহীন এবং সাদা স্ফটিকাকার রাসায়নিক পদার্থ।
  • এটি একটি সাধারণ লবণ ও অজৈব যৌগ।
  • উত্তপ্ত করলে এটি অনার্দ্র সোডিয়াম কার্বনেটে (Na2CO3) পরিণত হয়। অনার্দ্র এই লবণকে সোডা অ্যাশ বলে।
  • এর গলাঙ্ক হল 786 °C।
  • এটি কার্বনিক এসিডের পানিতে দ্রবণীয় সোডিয়াম লবণ।
  • এর রাসায়নিক সংকেত Na2CO3,10H2O
  • প্রতি অণুতে ১০ অণু কেলাস পানি যুক্ত থাকে, (Na2CO3, 10H2O)।
  • কেলাস উদ্বায়ী পদার্থ—খোলা বাতাসে রাখলে এর ৯ অণু কেলাস পানি ত্যাগ করে, অবশিষ্ট এক অণু কেলাস পানি পড়ে থাকে। তখন কেলাস ভেঙ্গে গুঁড়োয় পরিণত হয় (Na2CO3, H2O), একেই কাপড় কাচা সোডা বলে।
  • অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় CO2 উৎপন্ন হয়, Na2CO3 + 2HCl = 2NaCl + CO2 + H2O । এই ধর্মের জন্য Na2CO3 অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।

উৎপাদন

সোডিয়াম কার্বনেট উৎপাদনের একাধিক পদ্ধতি আছে। পদ্ধতিগুলো হলোঃ-

  • খনি থেকে উত্তোলন
  • বেরিলা ও কেল্প থেকে
  • ল্যাবল্যাঙ্ক পদ্ধতি
  • সলভে পদ্ধতি
  • হাউ পদ্ধতি

সুলভে পদ্ধতিতে খাওয়ার লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লাইম স্টোনের বিক্রিয়ায় বৃহৎ পরিসরে সোডিয়াম কার্বনেট উৎপাদন করা হয়।

ব্যবহার

  • জামা কাপড় পরিষ্কার করার জন্য প্রাচীনকাল থেকে সোডিয়াম কার্বনেটের ব্যবহার চলে আসছে।
  • কস্টিক সোডা, কাচ, সাবান প্রভৃতি প্রস্তুতিতে প্রধান উপাদান হিসেবে্।
  • বস্ত্র এবং কাগজ শিল্পে,
  • পানির খরতা দূরীকরণে,
  • পরীক্ষাগারে বিকারক হিসাবে,
  • বেকিং পাউডার প্রস্তুতিতেও সোডিয়াম কার্বনেট ব্যবহৃত হয়। বেকিং পাউডার হল সোডিয়াম বাই-কার্বনেট এবং পটাশিয়াম হাইড্রোজেন-টার্টারেটের মিশ্রণ।

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.