সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া
সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া (জন্ম: ১ মার্চ ১৯৬৭) বাংলাদেশের একজন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাবেক সাংসদ।[1] যিনি নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৪১ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একজন কেন্দ্রীয় নেতা।
সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া | |
---|---|
নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৪১ সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০৯ – ২০১৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পূর্ব পাকিস্তান। (বর্তমান বাংলাদেশ) | ১ মার্চ ১৯৬৭
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | হারুনুর রশীদ |
সন্তান | নিশাত সাদিয়া রশিদ (সূচনা) রিফাত রশিদ (অনন্যা) রুবাইয়াৎ ইবনে হারুন |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | গোপালপুর ডিগ্রি কলেজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতি |
জীবিকা | আইনজীবী |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়ার জন্ম ৩১ মে ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের নীলফামারীর ডোমারে (বর্তমান বাংলাদেশ)। তবে তার বাবার পৈত্রিক বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুরে। বাবা ছিলেন বিএডিসির এগ্রিকালচার অফিসার। বাবার চাকরির সুবাদে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় কেটেছে শৈশব। বিএডিসি থেকে বাবা ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে বদলি হলে তিনি সেখানে একটি স্কুলে ৯ মাস পড়াশোনা করেন তিনি। পরে নর্থবেঙ্গল সুগার মিলে বদলি হলে ১৯৭৪ সালে নর্থবেঙ্গল সুগারবেঙ্গল হাইস্কুলে ভর্তি হন। ওই স্কুলেই এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৮৩ সালে এসএসসি পাস করেন ভর্তি হন গোপালপুর কলেজে। ১৯৮৬ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ও পরে ভর্তি হন আইন বিভাগে। উঠেন তাপসী হলে।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
স্কুলজীবনেই ফরম পূরণ করে ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য হন। ১৯৮৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী হল ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী হলের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয়বার তাপসী হলের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে বিয়ের পর সংসার সামলানোর পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বারে পেশা জীবন শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে বিএনপি মহিলা দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে ঢাকা বারে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ঐ বছরই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হন। একইসঙ্গে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ওই বছরই নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি নির্বাচিত হন।
ব্যক্তিগত জীবন
পাপিয়া’র স্বামী হারুনুর রশীদ একজন রাজনীতিবিদ। তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য। তাদের তিন সন্তান যথাক্রমে নিশাত সাদিয়া রশিদ (সূচনা), রিফাত রশিদ (অনন্যা), রুবাইয়াৎ ইবনে হারুন।[2]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "Syeda Ashifa Ashrafi Papia"। parliament.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৮।
- "পাপিয়ার মুক্তি চেয়ে ছেলে-মেয়েদের সংবাদ সম্মেলন"। বিডিনিউজ২৪। ২৩ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৯।