সেলিনা হায়াৎ আইভী

ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (জন্ম: ৬ জুন, ১৯৬৬) বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র এবং নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর আইভিকে উপমন্ত্রী পদমর্যাদা দেওয়া হয়। [1] তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক।

সেলিনা হায়াৎ আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1966-06-06) জুন ৬, ১৯৬৬
নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলআওয়ামী লীগ
ঘরোয়া সঙ্গীকাজী আহসান হায়াত
বাসস্থাননারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
পেশাডাক্তার, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি
ধর্মইসলাম ধর্ম

জন্ম ও শিক্ষা জীবন

সেলিনা হায়াৎ আইভী ১৯৬৬ সালের ৬ জুন নারায়ণগঞ্জের একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান "আলী আহাম্মদ চুনকা" এবং মা তার মমতাজ বেগম । [2] চুনকা পরিবারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে আইভী প্রথম সন্তান। তিনি দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুলে ভর্তি হন এবং ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। অতঃপর তিনি মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৭৯ সালে ট্যালেন্টপুলে জুনিয়র স্কলারশিপ পান এবং ১৯৮২ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় স্টারমার্কসহ উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ১৯৮৫ সালে রাশিয়ান সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ওডেসা পিরাগোব মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৯২ সালে কৃতিত্বের সাথে চিকিৎসা ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯২-৯৩ সালে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নি সম্পন্ন করেন। ডা. আইভী তার সুদীর্ঘ শিক্ষা জীবনের পর ১৯৯৩-৯৪ সালে মিডফোর্ট হাসপাতালে এবং ১৯৯৪-৯৫ সালে নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।

পারিবারিক জীবন

ডা. আইভী ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর রাজবাড়ী নিবাসী কাজী আহসান হায়াৎ-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামী কাজী আহসান হায়াৎ বর্তমানে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে নিউজিল্যান্ডে কর্মরত আছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জননী। দুই সন্তান হলে কাজী সাদমান হায়াত সীমান্ত ও কাজী সারদিল হায়াত অনন্ত। ১৯৯৫ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি নিউজিল্যান্ডের অকল্যাণ্ডে মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি সায়েন্সে অধ্যয়ন শুরু করেন। তিনি অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০০২ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফিরে আসেন।

কর্ম জীবন

সেলিনা হায়াৎ আইভী স্কুল ও কলেজ জীবন হতে বাবার সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতেন। ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার সক্রিয় রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে। তিনি ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে জয়লাভ করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি আলী আহাম্মদ চুনকা ফাউন্ডেশন এবং নারায়ণগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন। ডা. আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী যিনি কোনো [সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। [3]

পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

  1. "উপমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন মেয়র আইভী"। বাংলা ট্রিবিউন। ৭ নভেম্বর ২০১৭।
  2. "V for Ivy"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-১০-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-০৮
  3. "নারায়ণগঞ্জ সিটির প্রথম মেয়র আইভী"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-০৮

বহি:সংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.