সেপালচুরা
সেপালচুরা (যার অর্থ কবর) একটি ব্রাজিলীয় হেভি মেটাল ব্যান্ড যা মাইনাস জিরাইসের রাজধানী বেলো হরিজোনতে, ব্রাজিলে ১৯৮৪ সালে গঠিত হয়। ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে ও ১৯৯০ সালের প্রথম দিকে তারা থ্রাশ মেটাল ও ডেথ মেটালের জগতের মূল শক্তি হয়ে ওঠে ও তাদের পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো হার্ডকোর পাঙ্ক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সঙ্গীতকে এক্সট্রিম মেটালের সাথে মিশিয়ে তৈরি, যা গ্রুভ মেটালের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
সেপালচুরা | |
---|---|
![]() সেপালচুরা সরাসরি ২০০৭ সালে মেটালম্যানিয়াতে | |
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | বেলো হরিজোনতে, মাইনাস জিরাইস, ব্রাজিল |
ধরন | ডেথ মেটাল, থ্রাশ মেটাল, গ্রুভ মেটাল, অল্টারনেটিভ মেটাল |
কার্যকাল | ১৯৮৪–বর্তমান |
লেবেল | রোডরানার রেকর্ডস, নিউ রেঁনেসা রেকর্ডস, নিউক্লিয়ার ব্ল্যাস্ট |
ওয়েবসাইট | www.sepultura.com.br |
সদস্যবৃন্দ | পাউলো জুনিয়র আন্ড্রিয়াস কিসার ডেরিক গ্রীন জিন ডোলাবেল্লা |
প্রাক্তন সদস্যবৃন্দ | ওয়াগনার লামাউনিয়ার জাইরো গুয়েডেস মাক্স কাভালেরা ইগর কাভালেরা |
ইতিহাস
সেপালচুরা ১১ টি স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করে যার মধ্যে সাম্প্রতিক হচ্ছে এ-লেক্স (২০০৯)। তাদের সবচেয়ে সফল অ্যালবাম হচ্ছে এরাইজ (১৯৯১), চাওস এডি (১৯৯৩) ও রুটস (১৯৯৬), এদের সবগুলোই ১ মিলিয়ন কপির বেশি বিক্রি হয় সারা বিশ্বে। তাদের মোট ১৫ মিলিয়নেরও বেশি অ্যালবাম সারা বিশ্বে বিক্রি হয় যার মধ্যে অনেক দেশে তারা গোল্ড ও প্লাটিনাম এ্যাডোয়ার্ডও পায়, যেমন-ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আমেরিকা, সাইপ্রাস ও তাদের নিজ দেশ ব্রাজিলে। মাক্স কাভালেরা ও ইগর কাভালেরা এই দুই ভাই ব্যান্ডের মূল প্রাণ ছিলেন। ১৯৮০ দশকের প্রথম দিকের শিল্পীদের গান তাদের খুব পছন্দ ছিল, তারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ভ্যান হেলেন, আয়রন মেইডেন, মোটরহেড, এসি ডিসি, জুডাস প্রিস্ট ও অজি অসবোর্ন গান শুনে। তাদের গান শোনার রুচি পরিবর্তিত হয়ে গেল যখন তারা ভেনম ব্যান্ডের গান শোনেন। ১৯৮৫ সালে সেপালচুরা কোগুমেলো রেকর্ডসের সাথে চুক্তি করে। পরের বছর তারা মুক্তি দেয় বেস্টিয়াল ডিভাস্টেশন নামের একটি শেয়ারড ইপি মুক্তি দেয়।
অ্যালবাম প্রকাশ
১৯৮৬ সালে তারা তাদের প্রথম অ্যালবাম মরবিড ভিশনস মুক্তি দেয় যাকে অনেকেই প্রথম মূল ডেথ মেটাল অ্যালবাম বলে মনে করেন। ব্যান্ডের ২য় অ্যালবাম সিজোফ্রনিয়া যা ১৯৮৭ সালে মুক্তি পায়। এই অ্যালবামটি সমালোচকদের সুদৃষ্টি পায় ও তারা রোডরানার রেকর্ডসের সাথে চুক্তি করতে সক্ষম হয়। রোডরানার রেকর্ডস এটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয় ও বেশি সাফল্য পায়। ১৯৮৯ সালে তাদের অ্যালবাম বিনিথ দ্যা রিমেইন্স মুক্তি পায়। এর পর তারা দীর্ঘ আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান সফরে বের হয়। ৩১ শে অক্টোবর তারা নিউ ইয়র্ক প্রথম কনসার্ট করে। টেরোরাইজার ম্যাগাজিন অ্যালবামটিকে সেরা ২০টি থ্রাশ মেটাল অ্যালবামের অন্যতম বলে মনে করে। ১৯৯০ সালে সেপালচুরা অ্যারিজোনায় চলে আসে ও তাদের ৪র্থ অ্যালবাম অ্যারাইজ-এর কাজ শুরু করে। ১৯৯১ সালে অ্যালবামটি প্রকাশ হলে তারা সে সময়ের সবচেয়ে সমালোচকদের প্রশংসা পাওয়া থ্রাশ/ডেথ মেটাল ব্যান্ডে পরিণত হয়, যদিও তাদের মূলধারায় সাফল্য অতটা ছিল না। বিলবোর্ড ২০০-তে এই অ্যালবামটি ১১৯তম অবস্থান পায়।
ভাঙ্গন
তাদের ৫ম অ্যালবাম চাওস এডি ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয়। এখানে তারা ডেথ/ থ্রাশ মেটাল-এ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও হার্ডকোর পাঙ্ক মিশিয়ে দেন যা কিছুটা ভিন্ন ধরনের। ১৯৯৬ সালে তাদের ৬ষ্ঠ অ্যালবাম রুটস মুক্তি পায়।এই অ্যালবাম প্রকাশে কিছুদিন পরই সেপালচুরা তাদের ম্যানেজার গ্লোরিয়া যে কিনা ম্যাক্স কাভালেরার স্ত্রী তাকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ম্যাক্স কাভালেরা ব্যান্ড ত্যাগ করেন। ব্যান্ডটি ভেঙ্গে যাওয়ার আসল কারণ এখনো অজানা। তবে ধারণা করা হয় যে ব্যান্ডটির ভেতরের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা ব্যান্ডটিকে ভেঙ্গে যেতে সাহায্য করে। ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে ব্যান্ডটির সফল ইংল্যান্ড সফরের পরেই এই ঘটনা ঘটে। ২০০১ সালে নেশন অ্যালবামটি প্রকাশিত হলেও আগের অ্যালবামগুলোর মতো তেমন সাফল্য পায়নি। খুব কম বিক্রি হয়। ২০০৫ সালে ব্যান্ডটি দুবাইয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করে।
ডিস্কোগ্রাফি
- মরবিড ভিশনস (১৯৮৬)
- সিজোফ্রনিয়া (১৯৮৭)
- অ্যালবাম বিনিথ দ্যা রিমেইন্স (১৯৮৯)
- অ্যারাইজ (১৯৯১)
- চাওস এডি (১৯৯৩)
- রুটস (১৯৯৬)
- অ্যাগেনিস্ট (১৯৯৮)
- নেশন (২০০১)
- রোরব্যাক (২০০৩)
- দান্তে এক্স এক্স আই (২০০৬)
- এ-লেক্স (২০০৯)
ব্যান্ড সদস্য
- পাউলো জুনিয়র
- আন্ড্রিয়াস কিসার
- ডেরিক গ্রীন
- জিন ডোলাবেল্লা