সুরাট জেলা

সুরাট হল ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি জেলা, সুরাট শহরটি এই জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর। এটির উত্তরে ভারুচনর্মদা জেলা, দক্ষিণে নওসারি জেলা এবং পূর্বে তাপ্তি জেলা। পশ্চিমে রয়েছে ক্যাম্বে উপসাগর। এটি গুজরাটের দ্বিতীয় সর্বাধিক উন্নত জেলা। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এর জনসংখ্যা ছিল ৬,০৮১,৩২২ জন, যার মধ্যেমধ্যে ৭৯.৬৮% শহরের বাসিন্দা। ২০০৭ সালের ২রা অক্টোবর, সুরাট জেলা পুনর্গঠন আইন ২০০৭ এর অধীন, সুরাট জেলাকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে একটি নতুন জেলা, তাপ্তি জেলা তৈরি করা হয়েছিল।

সুরাট জেলা
জেলা
গুজরাতে সুরাট জেলার অবস্থান
দেশ ভারত
রাজ্যগুজরাত
সদর দপ্তরসুরাট
আয়তন
  মোট৪৪১৮ কিমি (১৭০৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1][2]
  মোট৬০,৮১,৩২২
  ক্রমভারতে ৬৪০ জেলার মধ্যে ১২
গুজরাতে ২৬ জেলার মধ্যে ২
  জনঘনত্ব১৪০০/কিমি (৩৬০০/বর্গমাইল)
ভাষা সমূহ
  সরকারিগুজরাটি, হিন্দি, ইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
যানবাহন নিবন্ধনজিজে ০৫ এবং জিজে ২৮
ওয়েবসাইটsurat.gujarat.gov.in

২০১১ সালের আদমশুমারির হিসাবে এটি ভারতের ১২ তম জনবহুল জেলা (৬৪০ জেলার মধ্যে), এবং গুজরাতে আহমেদাবাদের পরে দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল জেলা (৩৩ জেলার মধ্যে)।[1][2]

২০১১ সালের আদমশুমারির হিসাবে, সুরাটের জনসংখ্যার ৭৯.৭৪% জনসংখ্যা শহরে বসবাস করে এবং এর জনসংখ্যার ২০.২৬% গ্রামের বাসিন্দা। তফসিলি উপজাতি এর জনসংখ্যার ১৪.১% এবং তফশিলি জাতি এর জনসংখ্যার ২.৬%।[3]

সুরাট জেলার মানচিত্র, বোম্বাই প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত ১৮৭৭

ভূগোল

সুরাট জেলার মোট আয়তন ৪,৪১৮ কিমি, এবং ২০১১ সালের আদমশুমারিতে সুরাট জেলার জনঘনত্ব ছিল ১,৩৭৬ জন, প্রতি কিলোমিটার। এই অঞ্চলটিতে রাজ্যের সর্বাধিক জনসংখ্যার ঘনত্ব রয়েছে এবং এর পরে আছে আহমেদাবাদ।

জলবায়ু

সুরাটে গ্রীষ্মমন্ডলীয় সাভানা জলবায়ু রয়েছে (কোপ্পেন: আও), সমুদ্র দ্বারা, ক্যাম্বের উপসাগরে, দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রিত। গ্রীষ্মকাল মার্চ মাসের শুরুতে আরম্ভ হয় এবং জুন মাস অবধি স্থায়ী হয়। এপ্রিল এবং মে সবচেয়ে উষ্ণ মাস, গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ °সে (৯৯ °ফা)বর্ষা জুনের শেষদিকে শুরু হয়। শহরে প্রায় ১,২০০ মিলিমিটার (৪৭ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে, সেই মাসগুলিতে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ °সে (৯০ °ফা) থাকে। অক্টোবর এবং নভেম্বরে বর্ষার পশ্চাদপসরণ শুরু হয় এবং নভেম্বরের শেষের দিকে উচ্চ তাপমাত্রা ফিরে আসে। শীতকাল ডিসেম্বর মাসে শুরু হয় এবং ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এই সময় গড় তাপমাত্রা থাকে প্রায় ২৩ °সে (৭৩ °ফা), এবং বৃষ্টি প্রায় থাকেনে বললেই চলে।

বিংশ শতাব্দী থেকে, সুরাটে প্রায় ২০ বার বন্যা হয়েছে।[4] ১৯৬৮ সালে, শহরের অধিকাংশ অঞ্চল বন্যার কবলে পড়েছিল এবং ১৯৯৪ সালে, বন্যার ফলে দেশব্যাপী প্লেগের মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল, যার কেন্দ্রস্থল ছিল সুরাট। ১৯৯৮ সালে, উকাই বাঁধ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ার ফলে তাপ্তি নদীতে বন্যার কারণে সুরাটের ৩০ শতাংশ অঞ্চল জলের তলায় গিয়েছিল, এটি সুরাট থেকে ৯০  কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০০৬ সালের আগস্টে, শহরের ৯৫ শতাংশেরও বেশি অংশ তাপ্তি নদীর জলে ডুবে গিয়েছিল, ১২০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল, খাদ্য বা বিদ্যুত ছাড়াই কয়েক হাজার লোক তাদের বাড়িতে আটকে পড়েছিল এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যবসা ও স্কুল বন্ধ হয়ে গয়েছিল।[4][5]

সুরাট, গুজরাত (১৯৩২–১৯৮০)-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
উৎস #১: Sistema de Clasificación Bioclimática Mundial[6]
উৎস #২: World Climate Guide (sunshine only)[7]

আরো দেখুন

  • List of tourist attractions in Surat
  • Barbodhan

তথ্যসূত্র

  1. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০
  2. "Districts of Gujarat"
  3. "Surat District Population, Caste, Religion Data (Gujarat) – Census 2011"। Census 2011।
  4. "What Surat learned from a preventable flood | Citiscope"citiscope.org (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৮
  5. "State fails to find solution to Surat floods – Times of India"The Times of India। ৮ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৮
  6. "INDIA – SURAT"। Centro de Investigaciones Fitosociológicas। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৪
  7. "Surat Climate Guide"। World Climate Guide। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৪

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Gujarat

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.