সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (ইংরেজি: Satkhira Government High School) বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত একটি স্বনামধন্য উচ্চ বিদ্যালয়। এটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৬৮ সালে জাতীয়করণ করা হয় । বিদ্যালয়টি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।

সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
ঠিকানা
খুলনা রোড
আমতলা
সাতক্ষীরা সদর
সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ, ৯৪০০
তথ্য
ধরনসরকারি
প্রতিষ্ঠাকাল১লা জুলাই ১৯৬২ [1]
বিদ্যালয় বোর্ডযশোর শিক্ষা বোর্ড
প্রধান শিক্ষকসমরেশ কুমার দাশ(ভারপ্রাপ্ত)
শ্রেণী৩-১০
শিক্ষার্থী সংখ্যা২২০০+
ক্যাম্পাসের আকার১০০ বর্গ মিটার
ওয়েবসাইটhttp://www.sghs.gov.bd/

অবস্থান

জেলার ঐতিহ্যবাহী ও শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা ও সাতক্ষীরা মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে (আমতলা মোড়ে) স্থানীয় বাস টার্মিনাল থেকে প্রায় ০১ (এক) কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[1]

ইতিহাস

খুলনা সাতক্ষীরা প্রধান সড়কের পূর্ব পার্শে চাচেঁর বেড়া ও গোলপাতার ছাউনি বিশিষ্ট কক্ষ দিয়ে বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, তৎকালীন সময়ে এটি সাতক্ষীরা টাউন হাই স্কুল নামে পরিচিত ছিল। বিদ্যালয়ের মোট জমি ৯ একর ৫৬ শতক।এর মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক জনাব মোঃ সোলায়মান দান করেন ৮৭ শতক,সদস্য জনাব আহম্মদ মিয়া দান করেন ২বিঘা, অবশিষ্ট ৭ একর ২ শতক জমি স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়। উক্ত অধিগ্রহণকৃত জমি বিঘা প্রতি ৭১৫(সাতশত পনের) টাকা দাম ধরে যে মূল্য হয় তা সভাপতি জনাব এ.কে.এন সিদ্দিক উল্লাহ মহোদয়ের অনুরোধক্রমে জনাব আব্দুল গফুর এম.এন. এ (বাটকেখালী) ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দান হিসেবে পরিশোধ করেন। ১লা মে ১৯৬৮ বিদ্যালয়টিকে সাতক্ষীরা সরকারি টাউন হাই স্কুল নামেই জাতীয়করণ করা হয়। পরবর্তীতে ০১লা জানুয়ারি ১৯৬৯ সাল থেকে বিদ্যালয়টি সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামে নামকরণ করা হয়।[1]
বিদ্যালয়টির পিছনে একটি গনকবর রয়েছে। যেখানে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী অনেক মানুষকে হত্যা করে এখানে গনকবর দেয়।

শিক্ষা ব্যবস্থা

সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পতাকা স্ট্যান্ড

প্রতিষ্ঠার শুরুতে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয় এবং স্থানীয় জনগনের চাহিদার প্রেক্ষিতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কো-এডুকেশন রাখা হয়। পরবর্তীতে জাতীয়করণের পর ১ম ও ২য় শ্রেণি উঠিয়ে দিয়ে পঞ্চম শেণি পর্যন্ত কো-এডুকেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যালয়টিতে ২০১০ সাল হতে ২ টি শিফট চালু করা হয়েছে। প্রায় ২২০০ ছাত্র এখানে লেখা পড়া করে। দেশের অনেক কৃতি সন্তান এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। বিদ্যালয়টি শিক্ষা বিস্তারে অনেক কাজ করেছে। এখানে আনুমানিক প্রতিটি আসনের বিপরীতে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি যুদ্ধে নামে।[2]
বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ সফল করার লক্ষ্যে এ বিদ্যায়তনে বাস্তবধর্মী কনটেন্ট তৈরী করে প্রজ়েক্টরের মাধ্যমে শ্রেণি পাঠদান করানো হচ্ছে যা ইতোমধ্যে শিক্ষকব্লগে সমাদৃত হয়েছে।

এটি এখন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। [1][3]

বিদ্যালয়ের পোশাক নীতিমালা

বিদ্যালয়ের পোশাক নীতি নিন্মরুপ-

  • সাদা হাফ শার্ট বিদ্যালয় লোগো সম্বলিত (গ্রীষ্মকালীন)
  • সাদা ফুল শার্ট বিদ্যালয় লোগো সম্বলিত (শীতকালীন)
  • কৃষ্ণসবুজ বর্ণের প্যান্ট
  • কালো বেল্ট
  • সাদা জুতা ও মোজা
  • শোল্ডার ব্যাজ
  • প্রাতকালীন ছাত্রদের বিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত লাল ব্যাজ ও দিবাকালীনদের সবুজ ব্যাজ

পরিবেশ

বৃক্ষশোভিত সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

বিদ্যালয়টি সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এর পাশ দিয়ে চলে গেছে সাতক্ষীরা-খুলনা মেইন রোড। এই বিদ্যালয়ের ২টি খেলার মাঠ আছে। ছাত্ররা স্কুলের সময় সামনের মাঠটিই ব্যবহার করে। কোন অনুষ্ঠানে পিছনের মাঠ ব্যবহার করা হয়। বিদ্যালয়ে প্রতি বছর সমাবর্তন, প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী এবং বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান করা হয়। খেলাধুলায়ও বিদ্যালয়টি যথেষ্ট অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে, প্রতি বছর এখানে নিয়মিতভাবে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।[4] এছাড়াও প্রতিবছর বার্ষিক প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয় ।

কৃতি সন্তান

সৌম্য সরকার

প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকদের তালিকা

  • অামিনুর ইসলাম টুকু (----)
  • গোলাম অাযম (----)
  • মিসেস মনোয়ারা বেগম (----)

তথ্যসূত্র

  1. "সাতক্ষীরা-সরকারি-উচ্চ-বিদ্যালয়"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
  2. "সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন"। লেখাপড়া ২৪ ডটকম। ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
  3. "সাতক্ষীরা সদর উপজেলা"বাংলা পিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
  4. "সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ"। সাতক্ষীরা নিউজ। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.