সবুজ বাঁশপাতি
সবুজ বাঁশপাতি (ইংরেজি: Green Bee-eater; বৈজ্ঞানিক নাম: Merops Orientalis) বাংলাদেশে লভ্য একটি ছোট আকারের পাখি। দেশের কোনো কোনো স্থানে এটি 'সুইচোরা', 'নরুন চেরা' প্রভৃতি নামেও পরিচিত। মেরোপিদি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এই পাখি নদীতীরবর্তী বন-জঙ্গলে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। । ‘ট্রিউ ট্রিউ’ তীক্ষ্ম শব্দ করে ডাকে। এর ইংরেজী নাম Green Bee-eater। তবে পোকামাকড় ধরে খেলেও এটি মূলত এটি মৎস-শিকারী পাখি। ।[2]
সবুজ বাঁশপাতি Merops orientalis | |
---|---|
![]() | |
ssp. orientalis | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Coraciiformes |
পরিবার: | Meropidae |
গণ: | Merops |
প্রজাতি: | M. orientalis |
দ্বিপদী নাম | |
Merops orientalis Latham, 1802 | |
প্রতিশব্দ | |
Merops viridis Neumann, 1910 |
বর্ণনা
লম্বায় প্রায় ৮ ইঞ্চি দীর্ঘ সবুজ বাঁশপাতির গড়ন ছিপছিপে । এর গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল সবুজ। তবে মস্তক ও পৃষ্ঠদেশের ঊর্ধাংশে রয়েছে সোনালি পালক। ডানার নিম্নভাগ উজ্জ্বল তামাটে। এর কৃষ্ণবর্ণ চঞ্চুটি একটু বাঁকানো। 'কাজলরেখা' রয়েছে চোখের দুই পাশে যা ঘাড়ের সঙ্গে মিশে গেছে। পাখিটির চিবুক ও গলায় কাছে রয়েছে নীল ছটা আর গলার নিচে আছে মালার মতো কালো টান। এর পায়ের রঙ কালচে। লক্ষ্যণীয় যে সবুজ বাঁশপাতির লেজের মধ্য বরাবর দুটি পালক দুই ইঞ্চি পরিমাণ বর্ধিত।[2]
বাঁশপাতি গাছে বাসা বাধতে জানে না। এরা নদীর কূলে খাড়া জায়গায় গর্ত করে বাসা বানায়। প্রজনন মৌসুমে গর্তের গভীরে স্ত্রী পাখিটি ৫থেকে ৭টি ধবধবে সাদা রংয়ের ডিম পাড়ে। স্ত্রী-পুরুষ দুই পাখি মিলে ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফুটতে ২১ থেকে ২৭ দিন সময় লাগে।[2]
বিস্তৃতি
এই পাখি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিনসহ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে।
তথ্যসূত্র
- BirdLife International (2008). Merops orientalis. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on 22 July 2009.
- নিমশাখায় সবুজ বাঁশপাতি
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে সবুজ বাঁশপাতি সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
![]() |
উইকিপ্রজাতিতে-এ বিষয় সম্পর্কিত তথ্যে রয়েছে: Merops orientalis |