অনুকূলচন্দ্র চক্রবর্তী

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র (১৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮ - ২৬ জানুয়ারি ১৯৬৯) বাঙালি ধর্মগুরু। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ নামক সংগঠনের প্রবর্তক। তিনি ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গ প্রদেশের পাবনা জেলার হিমায়তপুরে জন্মগ্রহণ করেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে মৃত্যুবরণ করেন। মূলতঃ স্বাবলম্বন ও পরনির্ভরশীলতা ত্যাগের দীক্ষা অনুকূলচন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রমের আদর্শ, এটা মূলত শিষ্যদের দেওয়া অর্থের দ্বারা পরিচালিত হয়।

ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ছবি
জন্মঅনুকূলচন্দ্র চক্রবর্তী
(১৮৮৮-০৯-১৪)১৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮
হিমায়তপুর গ্রাম (বর্তমান পাবনা জেলা, বাংলাদেশ)
মৃত্যু২৭ জানুয়ারি ১৯৬৯(1969-01-27) (বয়স ৮০)
দেওঘর , দেওঘর জেলা, ঝাড়খন্ড রাজ্য, ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
প্রতিষ্ঠাতাসৎসঙ্গ
গুরুমা মনমুহিনী বেদী, হুজুর মহারাজ

ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে স্মরণীয় ও অনুসর্তব্য বহুবিধ নির্দেশ দান করেছেন। তিনি ধর্ম, অর্থ, কর্ম, পরমার্থ, অধ্যাত্ন, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, বিবাহ, কৃষি, শিল্পকলা, বাণিজ্য, বৃত্তি, সত্তা, ব্যষ্টি, সমষ্টি, অতীত ও বর্তমান ভবিষ্যৎ সবকিছুকে সমন্বয়-সূত্রে সংগ্রথিত করে এবং সর্বার্থ পরিপূরাণী পূর্ণাঙ্গ জীবনদর্শন তার অমৃতনিষ্যন্দী বাণীনিচয়ের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন। এগুলো অনেকগুলো ধর্মবিরোধী এবং নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক।

রচিত বই

অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর প্রায় ৪৬টি পুস্তক রচনা করেন। এগুলোতে অধর্মশিক্ষা, সমাচজ কুসংস্কার প্রচলন প্রভৃতি বিষয়ে আদর্শ ও উপদেশসমূহ বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:-

  • সত্যানুসরণ
  • পুণ্যপুথি
  • অনুশ্রুতি (৬ খন্ড)
  • চলার সাথী
  • শাশ্বতী (৩ খন্ড)
  • বিবাহ বিধায়না,
  • সমাজ সন্দীপন,
  • যতি অভিধর্ম[1]

তথ্যসূত্র

  1. সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত, বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, প্রথম পুনর্মুদ্রণ এপ্রিল ২০০৩, পৃষ্ঠা ৭-৮, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৩৫৪-৬
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.