রিচার্ড ফ্লানাগান

রিচার্ড মিলার ফ্লানাগান (জন্ম: ১৯৬১) তাসমানিয়ার লংফোর্ডে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিক। দি ইকোনোমিস্টের মতে, ‘তিনি তাঁর সময়কালের সর্বাপেক্ষা বিশুদ্ধ অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিকদের একজন-রূপে গণ্য করা হয়। তাঁর প্রত্যেকটি উপন্যাসই ব্যাপকভাবে পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম এবং তিনি অগণিত পুরস্কার ও সম্মাননা লাভের অধিকারী।’[1] এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনা করছেন।

রিচার্ড ফ্লানাগান
২০১৩ সালে মোজম্যান লাইব্রেরিতে রিচার্ড ফ্লানাগান
জন্মরিচার্ড মিলার ফ্লানাগান
১৯৬১ (বয়স ৫৭৫৮)
লংফোর্ড, তাসমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া
জাতীয়তাঅস্ট্রেলীয়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানতাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
ওরচেস্টার কলেজ, অক্সফোর্ড
সময়কাল১৯৮৫-বর্তমান
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার২০১৪ ম্যান বুকার পুরস্কার
দাম্পত্যসঙ্গীমাজদা স্মোলেজ
সন্তানতিন
আত্মীয়মার্টিন ফ্লানাগান (ভাই)

২০১৪ সালে দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ শিরোনামে ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনার জন্য তিনি ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন।[2] উপন্যাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে একদল অস্ট্রেলীয় যুদ্ধবন্দীকে কেন্দ্র করে রচিত হয়। যুদ্ধবন্দীদের রেললাইন নির্মাণে তাদের অভিজ্ঞতার চিত্র ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে।

প্রারম্ভিক জীবন

তাসমানিয়া লংফোর্ডে জন্মগ্রহণকারী ফ্লানাগান ছয় ভাই-বোনের মধ্যে পঞ্চম। ১৮৪০-এর দশকে আয়ারল্যান্ড থেকে তার পূর্ব-পুরুষগণ অস্ট্রেলিয়ায় বসত গড়েন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মার রেলওয়ের মৃত্যু থেকে তার বাবা প্রাণে রক্ষা পান। তার তিন ভাইয়ের একজন অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবলের সংবাদদাতা মার্টিন ফ্লানাগান। তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলের দূরবর্তী খনি শহর রোজবেরিতে তার শৈশবকাল অতিবাহিত হয়।[3][4][5]

রচনাসমগ্র

১৯৯৪ সালে তিনি তার প্রথম উপন্যাস ‘ডেথ অব এ রিভার গাইড’ রচনা করেন। এ উপন্যাসে আলজাজ কোসিনি নামীয় এক নদীপথ প্রদর্শনকারীর কাহিনী বিবৃত হয়েছে। সে তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্যদের পাশাপাশি অন্যান্যদের জীবন বাঁচায়। পরবর্তীতে সে জলে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। উপন্যাসটি সম্পর্কে টাইমস লিটারেরি সাপ্লিম্যান্ট অস্ট্রেলীয় লেখনীতে সর্বাপেক্ষা নতুন ধারার সূত্রপাত ঘটেছে বলে অভিহিত করে।[6] তার পরবর্তী বই ‘দ্য সাউন্ড অব ওয়ান হ্যান্ড ক্ল্যাপিং’ ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়। এ গ্রন্থে এক স্লোভেনীয় অভিবাসীর জীবন-চিত্র সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। এ বইটি ব্যাপকভাবে বিক্রিত বইয়ের মর্যাদা পায়। কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই ১৫০,০০০ কপির বেশি বিক্রি হয়। ফ্লানাগানের প্রথম দুইটি উপন্যাসই ‘কিরকাস রিভিউজ’ হিসেবে ঘোষিত হয় ও অস্ট্রেলিয়া বাইরে চমৎকার গল্প-কাহিনীর শীর্ষস্তরে পৌঁছায়।[7]

তথ্যসূত্র

  1. "New fiction: Remembrance - The Economist"The Economist। ৩ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৪
  2. http://www.nytimes.com/2014/07/24/books/man-booker-prize-2014-longlist-announced.html
  3. "Notes for Reading Groups – Richard Flanagan" (PDF)Picador Australia। ৩ নভেম্বর ২০০৪। ২০০৯-১০-০৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-০৮
  4. "Richard Flanagan"। The British Council। ২০১০-১২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-০৮
  5. "Our Authors"। Random House Australia
  6. Smith, Vivian (৩ অক্টোবর ১৯৯৭)। "Down the Franklin"The Times Literary Supplement। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৪
  7. Death of a River Guide, Kirkus Reviews, 1 March 2001

বহিঃসংযোগ

  • ABC.net.au Transcript of interview with Ramona Koval on The Book Show, ABC Radio National from Byron Bay Writers Festival, July 2007
  • টেমপ্লেট:Contemporary writers
  • Interview with Phillip Adams, Late Night Live, ABC Radio National
  • Articles and videos at The Monthly
পুরস্কার
পূর্বসূরী
এলিয়ানর ক্যাটন
ম্যান বুকার পুরস্কার‎ বিজয়ী
২০১৪
সাম্প্রতিক
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.