মোহাম্মদ ফেরদাউস খান
মোহাম্মদ ফেরদাউস খান (২০ ডিসেম্বর ১৯১৯ - ৩০ মার্চ ২০১৬) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, লেখক ও প্রশাসক। তিনি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫০টি।[1] তিনি পশ্চিমবঙ্গ আইন পরিষদের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আমানত খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র। শিক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৮০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
মোহাম্মদ ফেরদাউস খান | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৩০ মার্চ ২০১৬ ৯৬) ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স
সমাধি | পাঠানটুলী, চট্টগ্রাম |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় পাকিস্তানি বাংলাদেশী |
শিক্ষা | পদার্থ বিজ্ঞান |
যেখানের শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন ইনস্টিটিউট |
পেশা | শিক্ষাবিদ, লেখক, প্রশাসক |
দাম্পত্য সঙ্গী | খাতেমুন আরা বেগম |
সন্তান | ৯ জন |
পিতা-মাতা | মোহাম্মদ আমানত খান (পিতা) |
পুরস্কার | একুশে পদক |
প্রারম্ভিক জীবন
খান ১৯১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলার পাঠানটুলী গ্রামের সম্ভ্রান্ত খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ আমানত খান ছিলেন তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য এবং চট্টগ্রাম বন্দর ট্রাস্টের প্রথম মুসলমান চেয়ারম্যান।[2] তিনি তার পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান। ১৯৩৭ সালে তিনি স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৪১ সালে বিএসসি সম্মান ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি ১৯৪৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম শ্রেণিসহ এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি বিএড পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। পরে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যান এবং লন্ডন ইনস্টিটিউট থেকে এমএ ইন এডুকেশন ডিগ্রি লাভ করেন।[1]
কর্মজীবন
১৯৪৪ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে বিজ্ঞানের শিক্ষক পদে যোগদানের মাধ্যমে ফেরদাউস খানের কর্মজীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম কলেজেও শিক্ষকতা করেন।[1] ১৯৬৫ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৭২ সালের মার্চ পর্যন্ত তিনি ডিরেক্টর অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন (ডিপিআই) হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে ডিপিআই ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে উন্নত করা হলে তিনি এর চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবং স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের শিক্ষা কমিশন কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[1][3]
পারিবারিক জীবন
খানের স্ত্রী খাতেমুন আরা বেগম একজন বিদুষী মহিলা।[1] তাদের ৫ পুত্র ও ৪ কন্যা। সকলেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত।[2]
মৃত্যু
ফেরদাউস খান ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।[3]
তথ্যসূত্র
- খান, এস এম শোয়েব (২৩ ডিসেম্বর ২০১৬)। "স্মরণ : মোহাম্মদ ফেরদাউস খান"। দৈনিক নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- "Ex-DPI Ferdous passes away"। দ্য নিউ নেশন। ৫ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- "Ex-DPI Ferdous Khan passes away"। ডেইলি সান। মার্চ ৩১, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- "একুশে পদকপ্রাপ্ত সূধীবৃন্দ"। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- "বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপপ্রাপ্ত বিশিষ্টজনের তালিকা"। বাংলা একাডেমি। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।