মুহাম্মদ ওয়াক্কাস

মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও ইসলামী ব্যাক্তিত্ব। তিনি যশোর-৫ আসনের সাবেক সাংসদ। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী তিনি। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি।[1][2][3][4][5][6]

মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের

সাবেক প্রতিমন্ত্রী
যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৫ জানুয়ারি ১৯৫২
বিজয়রামপুর, মনিরামপুর, যশোর, পূর্ব পাকিস্তান, (বর্তমান বাংলাদেশ)
জাতীয়তাপাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি (এরশাদ) (১৯৯১ সালের পূর্বে)
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদারুল উলুম দেওবন্দ
পেশারাজনীতিবিদ

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ১৫ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ইসমাইল ও মাতা নূর জাহান বেগম। আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম, ফাযিল এবং কওমী থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। ১৯৭৬ সালে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ‘মুফতি’ ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি যশোর মাদানী নগর মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[7]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরানো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে নেতা। তিনি ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে ১৯৮৬, ১৯৮৮২০০১ সালে যশোর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[1][2][3]

মুহাম্মদ ওয়াক্কাস তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সর্বপ্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে এবং চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচননে জাতীয় পার্টির সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের হয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[7]

১৯৯১ সাল থেকে ২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলমে বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পর নির্বাহী সভাপতি। ২০১৭ সালে জমিয়ত বিভক্ত হলে তিনি একাংশের সাভাপতি নির্বাচিত হন। [7]

ব্যক্তিগত জীবন

মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক। [7]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
  2. "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৯
  3. "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
  4. "মুফতি ওয়াক্কাস গ্রেফতার ॥ মুক্তির দাবি"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-৩১
  5. BanglaNews24.com। "ওয়াক্কাসের মুক্তি চান খালেদা"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-৩১
  6. "হেফাজত নেতা ওয়াক্কাস গ্রেপ্তার"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-৩১
  7. "আলাপচারিতায়-জমিয়ত নেতা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস"সিলেট রিপোর্ট। ২৮ অক্টোবর ২০১৭। ৩১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.