মুন্সী রইসউদ্দিন
মুন্সী রইসউদ্দনি (১৯০১-১৯৭৩) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতজ্ঞ, কন্ঠশিল্পী, লেখক। ১৯৮৬ সালে সঙ্গীতে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।[1]
মুন্সী রইসউদ্দনি | |
---|---|
জন্ম | ১৯০১ |
মৃত্যু | ১৯৭৩ (বয়স ৭১–৭২) |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
প্রাথমিক জীবন
রইসউদ্দিন ১৯০১ সালে মাগুরা জেলার নাকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুন্সি আব্বাসউদ্দিন ছিলেন একজন ক্লাসিক্যাল গায়ক। ফুফাতো ভাই শামসুল হকের কাছে তিনি প্রাথমিক সঙ্গীতশিক্ষা নেন।[2]
কর্মজীবন
ম্যাট্রিক পাশ করার পর রইসউদ্দিন চাকরির জন্য কলকাতা যান। সেখান তিনি চাকরি করেন এবং পাশাপাশি প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ রাসবিহারী মল্লিকের নিকট ১২ বছর ধ্রুপদ ও খেয়ালে শিক্ষা নেন। ১৯৩৮ সালে তিনি প্রথম কলকাতা বেতারে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে রইসউদ্দিন ঢাকা বেতারে কাজ শুরু করেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের প্রবেশিকা সঙ্গীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর সহঅধ্যক্ষ এবং ১৯৬৪ সালে অধ্যক্ষ হন।
কাজ
- সরল সঙ্গীত সার-সংগ্রহ,
- ছোটদের সারেগামা,
- অভিনব শতরাগ,
- সঙ্গীত পরিচয়,
- রাগ লহরী,
- গীত লহরী
পুরস্কার ও সম্মাননা
সঙ্গীতে তার গবেষণা জন্য তিনি আদমজী পুরস্কার পান।[2] ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরোনোত্তর একুশে পদক প্রদান করে।[1]
তথ্যসূত্র
- "একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ"। বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৯।
- মোবারক হোসেন খান (২০১২)। "রইসউদ্দিন, ওস্তাদ মুন্শি"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওসিএলসি 883871743।