মুনমুন (অভিনেত্রী)
মুনমুন হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।[1] তিনি প্রায় ৮৫টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[2][3] সরকার অশ্লীলতার বিপক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ২০০৩ সালের পর তার চলচ্চিত্রে উপস্থিতি কমে যায়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে মিজানুর রহমান মিজান পরিচালিত রাগী চলচ্চিত্রে খলচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।[4] চলচ্চিত্রে নগ্নতা ও অশ্লীলতার জন্য তিনি সমালোচিত।
মুনমুন | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | মুনমুন |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | অভিনেত্রী |
কার্যকাল | ১৯৯৭–বর্তমান |
ব্যক্তিগত জীবন
মুনমুন ইরাকে জন্মগ্রহণ। তার পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায়। তিনি উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
মুনমুন ২০০৩ সালে সিলেটের একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হলে, যুক্তরাজ্যে চলে যান। ২০০৬ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে, ২০১০ সালে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।[5]
কর্মজীবন
মুনমুন ১৯৯৭ সালে বিখ্যাত পরিচালক এহতেশামের মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পে প্রবেশ করেন।[6] তিনি এহতেসামের সহকারী হিসেবে কাজ করতে এসেছিলেন, কিন্তু তিনি তার অভিনয়ের দক্ষতা দেখে নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব দেন। এহতেসাম পরিচালিত মৌমাছি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। কিন্তু চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হওয়ায়, কর্মজীবনের শুরুতেই থেমে যেতে হয় তাকে। এরপর মুনমুনের নৃত্যপরিচালক মাসুম বাবুলের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠলে, তিনি তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন।[5] দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত শক্তির লড়াই চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেন মুনমুন। তার অভিনীত মালেক আফসারী পরিচালিত মৃত্যুর মুখে চলচ্চিত্রটি দারুন ব্যাবসা সফল হয়। এছাড়াও তিনি রানী কেন ডাকাত, লঙ্কাকাণ্ড, জানের জান, শত্রু সাবধান, জল্লাদ, রক্তের অধিকার প্রমুখ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি শাকিব খানের বিপরীতে ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[7]
চলচ্চিত্র থেকে অবসরের পর তিনি বিভিন্ন জেলা শহরে আয়োজিত মেলাতে আসা সার্কাস অনুষ্ঠানে দ্বৈত নৃত্য পরিবেশনা শুরু করেন।[8]
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র
- নিষিদ্ধ নারী
- মৃত্যুর মুখে
- রানী কেনো ডাকাত
- লংকাকাণ্ড
- শত্রু সাবধান
- জল্লাদ
- রক্তের অধিকার
- পদ্মার প্রেম(২০১৯)
শাকিব খানের সঙ্গে
- জানের জান
- পাগলা বাবা
- বিষে ভরা নাগিন (২০০০)
- দুই নাগিন
- বিষাক্ত নাগিন
- নাটের গুরু
- কসম বাংলার মাটি
- ভণ্ড ওঝা (২০০৬)
- বোবা খুনি
- যুদ্ধে যাবো
- খল নায়ক
- গুরুদেব
- স্ত্রীর মর্যাদা
- লাট্টু কসাই
সমালোচনা
মুনমুন বাংলা চলচ্চিত্রে অন্যতম বিতর্কিত নায়িকা। তাকে বেশ কিছু চলচ্চিত্রে নগ্নভাবে দেখা যায়। চলচ্চিত্রে নগ্নতা, অর্ধনগ্ন ও অশ্লীলতার জন্য তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।[4]
তথ্যসূত্র
- "মুনমুন (Munmun) - বাংলা মুভি ডেটাবেজ"। বাংলা মুভি ডেটাবেজ। ২০১৮-০১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- "আবারো চলচ্চিত্রে ফিরছেন মুনমুন | বিনোদন | ABnews24"। abnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- "বাজে পোশাকের কারণে অভিনয় ছেড়েছিলাম : মুনমুন"। NTV Online। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- "নায়িকা মুনমুন এখন খলনায়িকা | বিনোদন | The Daily Ittefaq"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- "অশ্লীল যৌনাবেদনময়ী নায়িকা মুনমুন, ময়ূরী এবং পলি এখন কোথায়? - Bdkhobor24.com"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- "কখনো যাত্রায় নাচিনি : মুনমুন"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- Kantho, Kaler। "মুনমুন-শাকিব জুটি বেঁধে করেছেন ১৪টি ছবি | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- "কেমন আছেন নায়িকা মুনমুন ও ময়ূরী?"। কেমন আছেন নায়িকা মুনমুন ও ময়ূরী?। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
বহিঃসংযোগ
বাংলা মুভি ডেটাবেজে মুনমুন
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে মুনমুন (অভিনেত্রী) সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |