মীজানুর রহমান (শিক্ষাবিদ)

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপচার্য।[1] ২০১৩ সালের ২০ মার্চ প্রথমবার এবং ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ দ্বিতীয় বার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ড. মীজানুর রহমানকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। [2]

ড. মীজানুর রহমান
পেশাঅধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
নিয়োগকারীজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণউপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
উপাধিউপাচার্য
স্থিতিকাল২০১৩- বর্তমান

জন্ম ও পরিবার

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ১৯৫৮ সালে কুমিল্লার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবনে ড. মীজানুর রহমানের সহধর্মিনী চিত্রশিল্পী নাজমা আক্তার। তার একমাত্র পুত্র অনিন্দ্য রহমান এবং পুত্রবধু নাজিয়া আফরিন মনামী সময় টিভি’র নিউজ এডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন। একমাত্র নাতি আনুশ তাঁর প্রিয় বন্ধু এবং অনন্ত প্রেরনার উৎস।

শিক্ষা

১৯৭৩ সালে তিনি বিবির বাজার উচ্চবিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি. এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এইচ.এস.সি. পাস করে ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হন। একই বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে  ‘ব্যবসায় প্রশাসনে’ পি-এইচ.ডি.ডিগ্রী লাভ করেন। [3]

রাজনীতি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন তিনি। তিনি একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

কর্মজীবন

ড. মীজানুর রহমান ১৯৮২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতার পেশায় যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন। পরিবর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে শেখ রোরহানুদ্দীন কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, আইসিএমএ-বাংলাদেশের কাউন্সিল মেম্বার, ম্যাকসন্স স্পিনিং-এর পরিচালক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। বর্তমানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য। আইসিবি’র সাবসিডিয়ারী এএমসিএল ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ইনডিপেন্ডেন্ট পরিচালক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের এলামনাই এসোসিয়েশন ও মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। তিনি ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, বুলগেরিয়া, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানী, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, নরওয়ে, তুরষ্ক, মালদ্বীপ, শ্রীলংকাকানাডায় বিভিন্ন সেমিনার-কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়ক বিভিন্ন বক্তৃতা প্রদান করেছেন। [4]

সমালোচনা

মীজানুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বর্তমান কমিটির প্রথম প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব ছেড়ে যুবলীগের কমিটিতে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে যমুনা টেলিভিশনে টকশোতে এ বক্তব্য দেন। এ বিষয়ে বাংরাদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। [5][6]

প্রকাশিত বই

অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমান জাতীয় ওআন্তর্জাতিক জার্নালে তার পঁচিশটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর গবেষণাধর্মী  পুস্তক ‘কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ (দুই খন্ড)’।এছাড়াও তাঁর রচিত ‘বাজার জাতকরণ’, ‘স্নাতক বাজারজাতকরণ’, ‘বাজারজাতকরণ নীতিমালা’ ও ‘বাজারজাতকরণ (সহজ সংস্করণ)’ ইত্যাদি পুস্তক মার্কেটিং ছাত্র-শিক্ষকদের বহুল ব্যবহৃত পাঠ্যবই। রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী তাঁর চারটি বই ‘বঙ্গবন্ধু বাঙলি ও বাংলাদেশ’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও উন্নয়ন ভাবনা’, ‘উত্তরগণতন্ত্র ও লিংকণের পিপল’ ও ‘বঙ্গবন্ধু মহাকালের মহানায়ক’ মুক্তিযুদ্ধ ও সমসাময়িক বিষয়ে তাঁর অনন্য রচনা।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.