মিশ্র রন্ধনশৈলী

মিশ্র রন্ধনশৈলী হচ্ছে একটা রান্নার ধরন যেখানে বিভিন্ন ঐতিহ্যের রান্নার সমাবেশ ঘটেছে। এই রন্ধনশৈলীকে সুনির্দিষ্টভাবে কোন একটি রন্ধনপ্রণালীর সংগে মেলানো যায় না এবং ১৯৭০ দশক থেকে অসংখ্য রেস্তোরাঁর অবদানে এই শৈলীটি গড়ে [1]

মিশ্র রন্ধনশৈলীর উদাহরণ : ধুমায়িত স্যালমন মাছ ভাতের কাগজে মুড়িয়ে এভোক্যাডো, শশা এবং কাকড়া দিয়ে পরিবেশন।

প্রকারভেদ

মিশ্র খাবার হচ্ছে রান্না করা বিভিন্ন খাবারের রূপ যা বিভিন্ন উৎস থেকে এসেছে। আঞ্চলিক মিশ্র রন্ধনশৈলীতে কোন অঞ্চলের বা উপ অঞ্চলের বিভিন্ন রান্নার সম্মিলিত রূপ দেখা যায়। এশিয় ফিউশন রেস্তোরাঁ গুলোতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রান্নার মিশ্রিত রূপ দেখা যায় যা যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অংশে খুবই জনপ্রিয়। পূর্ব এশীয়, দক্ষিণ পূর্ব এশীয়, দক্ষিণ এশীয় নামে পরিচিত খাবার গুলো হচ্ছে বিভিন্ন রন্ধন প্রণালীর মিশ্র রূপ। ক্যালিফোর্নিয়া কুইজিন একটি ফিউশন কুইজিন যা ইতালি, ফ্রান্স, মেক্সিকোর খাবার থেকে অনুপ্রাণিত এবং ইউরোপীয় ও পূর্ব এশীয় সজ্জায় সজ্জিত করে পরিবেশন করা হয় যেমন ক্যালিফোর্নিয়া পিৎজা। এরকম আরেকটি খাবারের উদাহরণ হচ্ছে টেক্স-মেক্স যা যুক্তরাষ্ট্রীয়, মেক্সিকীয় এবং প্যাসিফিক রিম রন্ধনশৈলীর মিশ্র একটি রূপ। যুক্তরাজ্যে মাছ এবং চিপসকে প্রথমদিকের ফিউশন খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ এটা তৈরির উপাদানসমূহ ইহুদি, ফরাসি, বেলজীয় রন্ধনশৈলী থেকে নেওয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়াতে অভিবাসী স্রোত বৃদ্ধির সাথে সাথে মিশ্র রন্ধনপ্রণালী পূন: পূন: আবিষ্কৃত হতে থাকলো এবং বিভিন্ন ক্যাফে ও রেস্তোরাঁর প্রধান আকর্ষণে পরিণত হয়। আধুনিক অস্ট্রেলীয় ও এশীয় মিশ্র রেস্তোরাঁ যেমন “তেতসুয়া’’ বিশ্বের সেরা ৫০ রেস্তোরাঁর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। মিশ্র রন্ধনশৈলীর আরেকটি অনন্য দিক হচ্ছে নিত্য নতুন কৌশলের মাধ্যমে পুরাতন খাবার গুলোকে নতুন রূপে পরিবেশন করা হচ্ছে। এই ধরনের রেস্তোরাঁ গুলো আঞ্চলিক কুইজিন গুলো থেকে নতুন কৌশলের মাধ্যমে বহুপদের খাবার পরিবেশন করতে পারে। মালয়েশীয় খাবার গুলো মালয়, জাভা, চীনা, ভারতীয় রন্ধনশৈলী এবং থাই, পর্তুগীজ, ওলন্দাজ ও ব্রিটিশ রন্ধনশৈলী থেকে সামান্য অনুপ্রাণিত।

আবার এমন অনেক খাবার আছে যা কোন কুইজিন থেকে আসেনি কিন্তু উপাদান ও স্বাদে অন্য রন্ধনশৈলীর মিল খুঁজে পাওয়া যায় তাকেও মিশ্র কুইজিনের অন্তর্গত ধরা হয়। উদাহরণস্বরূপ ট্যাকো পিৎজার সংগে ইতালীয় এবং মেক্সিকীয় রন্ধনশৈলীর দূর সম্পর্কীয় মিল লক্ষ্য করা যায়।

প্রেক্ষাপট

থাই রোষ্ট হাঁসের তরকারি কায়েং ফেত পেত ইয়াং হচ্ছে প্রথমদিককার ফিউশন কুইজিনের উদাহরণ যা আয়ুত্থায়া রাজত্বের সময়ে প্রচলিত হয়। এতে আছে থাই লাল তরকারি, চীনা রোষ্ট হাঁস এবং পারস্যের আঙুর।

এই ধরনের রেস্তোরাঁর সফলতা বেশ কিছু বিষয়ের উপরে নির্ভর করে: ভোক্তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ভোক্তার ভ্রমণপথ এবং অভিজ্ঞতা ভোক্তার খাবারের প্রতি আকর্ষণ এবং নতুন খাদ্য গ্রহণের প্রতি উদারতা।

তথ্যসূত্র

  1. Lindsey, Robert (১৯৮৫-০৮-১৮)। "CALIFORNIA GROWS HER OWN CUISINE"New York Times
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.