মাশরিক
মাশরিক (مشرق) দ্বারা মিশর থেকে পূর্ব দিকের আরব দেশসমূহকে বোঝানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে মিশর, লেবানন, ফিলিস্তিন, জর্ডান, ও সিরিয়া।[1][2][3] শাব্দিকভাবে এর অর্থ “সূর্যোদয়ের স্থান”। নামটি শারাকা (شرق “আলোকিত করা”) ক্রিয়া থেকে উদ্ভব হয়েছে যা দ্বারা সূর্যোদয়ের দিক তথা পূর্বদিক নির্দেশ করা হয়।[4][5]
ভূমধ্যসাগর ও ইরানের মধ্যবর্তী স্থান মাশরিকের অন্তর্গত। অনুরূপ একটি পরিভাষা হল মাগরেব যা উত্তর আফ্রিকার পশ্চিমাংশ নিয়ে গঠিত। দেশসমূহের মধ্যে মিশর সাংস্কৃতিক, জাতিতাত্ত্বিক ও ভাষাগত দিক থেকে মাশরিক ও মাগরেবের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। একারণে মিশর আরব বিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং আরব লীগের সদরদপ্তর মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত। তবে সাধারণত মিশর মাশরিকের অংশ বিবেচিত হয়। ঐতিহাসিকভাবে মিশর ও লেভান্ট অনেক সময় একই অঞ্চল হিসেবে শাসিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাচীন মিশরীয় রাজ্য, উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতেমীয় খিলাফত, আইয়ুবী রাজবংশ, মামলুক ও মুহাম্মদ আলি পাশার অধীন কিছু সময়। মিশরীয় ও লেভান্টাইন ভাষার মধ্যে মিল রয়েছে।
একইভাবে লিবিয়ার উপর মাশরিক ও মাগরেবের প্রভাব রয়েছে। এর পূর্ব অংশ মিশরের মাধ্যমে মাশরিকের সাথে সম্পর্কিত।[6]
এই ভৌগোলিক পরিভাষাটি মুসলিম সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণের সময় থেকে ব্যবহার শুরু হয়। এই অঞ্চল বিলাদ আল শাম ও মেসোপটেমিয়া অঞ্চলের সমন্বয়ের অনুরূপ। মাশরিকে অনেক ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে।
২০১৪ সালের হিসাব মতে মাশরিক পৃথিবীর জনসংখ্যার ১.৭%।[7][8][9][10][11][12]
আরও দেখুন
- উর্বর চন্দ্রকলা
- সভ্যতার সুতিকাগার
- বৃহত্তর সিরিয়া
- লেভান্ট
- মাগরেব (অঞ্চল)
- মেসোপটেমিয়া
তথসূত্র
- "European Neighbourhood Policy in the Mashreq Countries: Enhancing Prospects for Reform"। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫।
- "Introduction to Migration and the Mashreq"। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৫।
- "Migrants from the Maghreb and Mashreq Countries" (PDF)। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৫।
- Alvarez, Lourdes María (২০০৯)। Abu Al-Ḥasan Al-Shushtarī। Paulist Press। পৃষ্ঠা 157। আইএসবিএন 978-0-8091-0582-3।
- Peek, Philip M.; Yankah, Kwesi (২০০৩-১২-১২)। African Folklore: An Encyclopedia। Routledge। পৃষ্ঠা 442। আইএসবিএন 978-1-135-94873-3।
- Gall, Michel Le; Perkins, Kenneth (২০১০)। The Maghrib in Question: Essays in History and Historiography। University of Texas Press। পৃষ্ঠা 8। আইএসবিএন 978-0-292-78838-1।
- "Official estimate of the Population of Egypt"। ২৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৫।
- UN estimate for Lebanon
- "New Page 1"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫।
- Official estimate of the population of Palestine
- UN estimate for Syria
- "Iraq"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫।