মালদ্বীপীয় রুফিয়াহ
মালদ্বীপীয় রুফিয়াহ (ধিবেহী: ދިވެހި ރުފިޔާ; চিহ্ন: Rf, বা .ރ; সংকেত: MVR) হলো মালদ্বীপের মুদ্রার নাম। এই মুদ্রার প্রদান মালদ্বীপের আর্থিক কর্তৃপক্ষ (Maldives Monetary Authority - MMA) কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। রুফিয়াহর জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত চিহ্ন হচ্ছে MRF এবং Rf। মালদ্বীপের রুফিয়াহর জন্য ISO 4217 কর্তৃক প্রদত্ত সংকেত হলো এমভিআর (MVR)। ১ রুফিয়াহর বিনিময়ে ১০০ লারি পাওয়া যায়।
মালদ্বীপীয় রুফিয়াহ | |||||
---|---|---|---|---|---|
ދިވެހި ރުފިޔާ (ধিবেহী) | |||||
| |||||
আইএসও ৪২১৭ কোড | MVR | ||||
কেন্দ্রীয় ব্যাংক | মালদ্বীপ অার্থিক কর্তৃপক্ষ | ||||
ওয়েবসাইট | www | ||||
ব্যবহারকারী(গণ) | ![]() | ||||
মুদ্রাস্ফীতি | ৭.৩% | ||||
উৎস | ওয়াল্ড ফ্যাক্টবুক, জুন ২০০৯ | ||||
সাবইউনিট | |||||
1⁄100 | লারি | ||||
প্রতীক | Rf, MRf, MVR, .ރ বা /- | ||||
ধাতব মুদ্রা | ১ লারি, ৫ লারি, ১০ লারি, ২৫ লারি, ৫০ লারি, ১ Rf., ২ Rf. | ||||
কাগজের মুদ্রাসমূহ | ৫ Rf., ১০ Rf., ২০ Rf., ৫০ Rf., ১০০ Rf., ৫০০ Rf., ১০০০ Rf., ৫০০০ Rf. | ||||
মুদ্রক | ডি লা রু | ||||
ওয়েবসাইট | www | ||||
টাঁকশাল | অর্থ ও পরিসম্পদ মন্ত্রণালয় | ||||
ওয়েবসাইট | www |
"রুফিয়াহ" শব্দটি সংস্কৃতি ভাষার শব্দ 'রূপিয়া' (পেটী রৌপ্য) থেকে উদ্ভূত হয়েছে। প্রতি মার্কিন ডলারে এর বিনিময় হার ১২.৮৫ রুফিয়াহকে মধ্যমান ধরে ±২০% পর্যন্ত উঠা-নামা করে; উদাহরণস্বরূপ, উর্ধে ১৫.৪২ রুফিয়াহ হতে সর্বনিম্ন ১০.২৮ রুফিয়াহ ছিলো ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল তারিখ।[1]
ইতিহাস

মালদ্বীপে ব্যবহৃত প্রথম মুদ্রা ছিল কড়ির খোলস (Cypraea moneta) এবং মালদ্বীপ ভ্রমণকারীদের ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে এই বক্তব্য পাওয়া যায় যে, এই মাধ্যমটি দিয়ে ১২দশ শতাব্দীতেও তারা তাদের ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পাদিত করতো। ১৩৪৪ সালে ইবনে বতুতা দেখতে পেয়েছিলেন যে, প্রতি বছর ৪০টিরও অধিক জাহাজে করে কড়ির খোলস রপ্তানি করা হয়। সেসময় একটি স্বর্ণের দিনারের পরিবর্তে পাওয়া যেতো ৪,০০,০০০ কড়ির খোলস।
সুলতান ইব্রাহিম ইসকান্দার (১৬৪৮-১৬৮৭) প্রথম ধাতব মুদ্রার ব্যবহার শুরু করেন। আগের ধরনের অর্থের তুলনায় এই মুদ্রাগুলি বেশ পরিচ্ছন্ন এবং বিশুদ্ধ রৌপ্য দ্বারা নির্মিত ছিল। রাজধানী মালয়ে শহরে এই মুদ্রাগুলি তৈরি করা হতো যা এটি বিপরীত পার্শ্বে জানিয়েছে। উপরে "ভূমি ও সমুদ্রের রাজা, গ্রেট ইসকান্দার" (ধিবেহী: ކަނޑާއި އެއްގަމުގެ ރަސްގެފާނު، މަތިވެރި އިސްކަންދަރު) মুদ্রিত থাকতো।
এর পরবর্তী কালে, ১৭৮৭ সালে সুলতান হাসান নূরউদ্দীনের রাজত্বকালে স্বর্ণের মুদ্রা বিদ্যমান রৌপ্য মুদ্রার স্থলে ব্যবহৃৎ হতো। তিনি দুটি ভিন্ন মানের স্বর্ণ মুদ্রা ব্যবহার করতেন; একটিকে বলা হতো মোহরী এবং অন্যটিকে বলা হতো দ্বিমোহরী - যা পূর্বেটির চেয়ে উচ্চ মানের। কিভাবে এই স্বর্ণের প্রাপ্তি ঘটে তা অনিশ্চিত।
অষ্টদশ শতাব্দীতে এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে লারি হিসাবে ব্রোঞ্জের মুদ্রা মুদ্রিত হয়। সুলতান মোহামেদ ইমাদহুদ্ধীন চতুর্থ (১৯০০-১৯০৪) উৎকৃষ্ট গুণমান বিবেচনা করে প্রথম মেশিনে প্রস্তুতকৃত মুদ্রার প্রচলন ঘটান বলে ঐতিহাসিকগণ বিশ্বাস করেন। তার উত্তরাধিকারী সুলতান মোহাম্মদ শামসুদ্ধীন তৃতীয় (১৯০৪-১৯৩৫) এই মুদ্রাগুলি সর্বশেষ মুদ্রণ করান ১ এবং ৪ লারি মূল্যমানে, যেগুলো ১৯১৩ সালে যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের হিটন্স মিন্ট-এ প্রস্তুতকৃত।
মুদ্রা উত্পাদন বন্ধের পর, বিশেষ করে মালদ্বীপের জন্য বন্ধ করে দেয়া পর, সালতানাতে সিলোনিজ রুপির ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে রুফিয়াহর মুদ্রিত কাগুজে মুদ্রার প্রচলন শুরু করা হয় রুপিকে রূপান্তরের মাধ্যমে এবং এক্ষেত্রে রুফিয়াহর মান রুপির সমান মূল্যমানের হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ১৯৬০ সালে ধাতব মুদ্রা লারিতে মূল্যায়িত করা হয়, যেখানে মুদ্রা মান শতাংশে নির্ধারণ করে পরিচিত করানো হয়।
ধাতব মুদ্রা
তথ্যসূত্র
- "MMA announcement" (PDF)। ২৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৭।