মদনমোহন ভৌমিক
মদনমোহন ভৌমিক (২৮৮৪ - ২৭ নভেম্বর ১৯৫৫) বাঙালী সশস্ত্র বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী।
মদনমোহন ভৌমিক | |
---|---|
জন্ম | ১৮৮৪ |
মৃত্যু | ২৭ নভেম্বর, ১৯৫৫ |
আন্দোলন | ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন |
জন্ম
মদনমোহন ভৌমিকের জন্ম হয়েছিল ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে (আনুমানিক) ঢাকা জেলার ডুমনিতে।
প্রারম্ভিক জীবন
১৯০৫ সালে অনুশীলন সমিতিতে যোগদান করেন। ১৯১৩ সালে বিপ্লবী কার্যকলাপের জন্যে পুলিশ তাকে যখন প্রথম গ্রেপ্তার করে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল বিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। প্রমাণাভাবে পুলিশ মামলা তুলে নিলে তিনি আত্মগোপন করেন। নাটোরের কাছে হাঁপানিয়া গ্রামে অনুশীলন সমিতির গোপন আড্ডা ছিল। তিনি সেখানকার একটি স্কুলে সাময়িক শিক্ষকতা করতেন।[1] বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন তাদের বারদির বাড়িতে মদনমোহন ভৌমিক আত্মগোপন করাকালীন আসতেন। তার কাছে সব সময় অস্ত্র থাকত। প্রয়োজনে বাড়িতে মাঝে মধ্যে লুকিয়ে রাখতেন। সেই বাড়িতে একবার পুলিশ খানাতল্লাশি চালালে জ্যোতি বসুর মা হেমলতা বসু অস্ত্রটিকে নিজের শাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন।[2]
দ্বীপান্তর
১৯১৪ সালে পুলিশ তাকে অসুস্থ অবস্থায় গ্রেপ্তার করে ও দ্বিতীয় বরিশাল ষড়যন্ত্র মামলায় (Supplementary conspiracy case) ১০ বছর দ্বীপান্তর দন্ড হয়। একই সাথে দ্বীপান্তর দণ্ড হয় ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী মহারাজের।[1] আন্দামানে সেলুলার জেলে থাকাকালীন মদনমোহনের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়। মুক্তির পরেও বিপ্লবীদের সান্নিধ্যে কাটিয়েছেন। দেশবিভাগ হলে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করে স্বগ্রামে ফিরে যান।[3]
মৃত্যু
২৭ নভেম্বর, ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে এই বিপ্লবী মারা যান।[3]
তথ্যসূত্র
- ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী (মহারাজ) (১৯৮১)। জেলে ত্রিশ বছর ও পাক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম। কলকাতা: মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী স্মৃতিরক্ষা কমিটি। পৃষ্ঠা ৯৫, ৩২৭।
- "জীবন স্মৃতি"। সপ্তাহের বাংলাদেশ সাপ্তাহিক। সংগ্রহের তারিখ ১৮.১২.১৬। Authors list-এ
|প্রথমাংশ1=
এর|শেষাংশ1=
নেই (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩৯২। আইএসবিএন 81-85626-65-0।