ভারতীয় গণিত

ভারতীয় গণিত তথা প্রাচীন ভারতে গণিত চর্চা সম্পর্কে বিশদভাবে কিছু জানা যায় না। তবে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় গণিত চর্চায় ভারতবর্ষ যথেষ্ট অগ্রগামী ছিলো বলে ধারণা করা হয়। মিশর, ব্যাবিলন, মেসোপটেমিয়া, চীন প্রভৃতি দেশে প্রাচীনকাল থেকে গণিতের অনুশীলন থাকলেও প্রাচীন ভারতে এর চর্চার তথ্য পাওয়া যায়।

সিন্ধু সভ্যতা

প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতায় গণিতের হিসাব ছিলো ডেসিমাল পদ্ধতির।[1] তারা স্কেল ব্যবহারেও দক্ষতা অর্জন করেছিলো।

বিভিন্ন গ্রন্থে গণিতের অনুশীলন

পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থ বেদে স্তুপ ও যজ্ঞবেদী নির্মাণে, যন্ত্র-প্রতিকাদির রচনায় গণিতশাস্ত্রের বহুল প্রয়োগ দেখা যায়। খ্রীষ্টপূর্ব ৮০০ অব্দে হিন্দু ' শুল্ব সূত্রে ' ' পীথাগোরাসের উপপাদ্য' নামে যা প্রচলিত , তারও প্রয়োগ দেখা যায়।মহাভারতে গণিত ও সংখ্যা'র প্রচুর উল্লেখ পাওয়া যায়।' ললিত বিস্তার ' গ্রন্থে উল্লিখিত আছে , ভগবান বুদ্ধ পাটীগণিতে দক্ষ ছিলেন।জ্যোতির্বিদ্যার প্রখ্যাত গ্রন্থ ' সূর্যসিদ্ধান্ত' আনুমানিক ৪০০ খ্রীষ্টাব্দের রচনা। সমসাময়িক গ্রন্থ 'পৌলিশ-সিদ্ধান্ত' এ প্রাচীন ভারতে ত্রিকোণমিতির সারাংশ লিপিবদ্ধ হয়েছে দেখা যায়।

অবদান

ব্রাহ্মী সংখ্যা ও ব্রাহ্মী লিপি, স্বাভাবিক সংখ্যার লিখন প্রণালীর প্রচলন, দশমিক সংখ্যার উদ্ভাবন ও শূণ্যের (০) প্রকাশনা ভারতীয় হিন্দু-গণিতজ্ঞদেরই আবিষ্কৃত।ভারতের আচার্যগণ বিরাট বিরাট সংখ্যার নামকরণ করেছেন, যেমন - প্রযুত, অর্বদ, নার্বুদ, সমুদ্র, মধ্য, অন্ত, পরার্ধ ইত্যাদি । ইহা অন্য কোনও দেশে নেই।

প্রাচীন ভারতের প্রখ্যাত গণিতজ্ঞগণ

তথ্যসূত্র

  1. 'প্রাচীন ভারতের গণিত ও গাণিতিকদের বিষয়ে আলোচনা '- কেশবচন্দ্র নাগ।
  1. http://archaeologyonline.net/artifacts/history-mathematics
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.