ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র
ব্যালিস্টিক মিসাইল হল সেই সব ক্ষেপণাস্ত্র, যারা শুধু ছুঁড়ে দেওয়ার সময়ের ধাক্কাতেই গোটা পথ চলে না। বন্দুকের গুলি বা কামানের গোলা ছোটে কেবল ছুঁড়ে দেওয়ার ধাক্কাতে। ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রথম ধাক্কায় উঁচুতে ওঠে আকাশপানে। তার পর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় পৃথিবীর আবহমণ্ডল থেকে বেশি উচ্চতায়। তখন ওই ক্ষেপণাস্ত্র চলে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে। এ ভাবে অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করার পর তা নেমে আসে পৃথিবীর দিকে। প্রথমে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে কোনাকুনি ঊর্ধ্বগতি, তার পর মাধ্যাকর্ষণ-নির্ভর দীর্ঘ পথ, অবশেষে ফের বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে লক্ষ্যস্থানে অবতরণ মোট পথের এই তিন ভাগ থাকে ব্যালিস্টিক মিসাইল-এর।
প্রথম দিককার মিসাইলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল এ -৪।এটি ভি -২ নামেও পরিচিত। ১৯৩০ ও ১৯৪০ -এর দশকে ভি -২ এর আধুনিকায়নে ভূমিকা রেখেছে নাৎসি জার্মানি। এতে নির্দেশকের ভূমিকা ছিল জার্মানির এরোস্পেস ইন্ঞ্জিনিয়ারিং ও স্পেস আর্কিটেক্ট ভের্নহার ভন ব্রাউন। ভি -২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৪২ সালের ৩ অক্টোবর। ১৯৪৪ সালের ৬ অক্টোবর প্যারিসে এটি নিক্ষেপ করা হয়। এর দু 'দিন পর নিক্ষেপ করা হয়।লন্ডনে।
ক্ষেপণাস্ত্র-এর ধরণ
আন্তর্মহাদেশীয়(৫,৫০০ কিমির অধিক)
বিশ্বের মাত্র ৭টি দেশের কাছে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। রাশিয়া , ভারত , যুক্তরাষ্ট্র , চীন , ফ্রান্স , ইস্রায়েল এবং উত্তর কোরিয়া । অগ্নি-৫ এই শ্রেণীর একটি ক্ষেপণাস্ত্র।
ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণের ক্ষমতা সম্পন্ন আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্রো রয়েছে রাশিয়া , যুক্তরাষ্ট্র , চীন , ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যে । অধুনা ভারত এই প্রকার ক্ষেপণাস্রো তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।
দূর পাল্লার (৩,৫০০ থেকে ৫,৫০০ কিমির অধিক)
বিশ্বের মাত্র ৭টি দেশের কাছে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। রাশিয়া , ভারত , যুক্তরাষ্ট্র , চীন , ফ্রান্স , যুক্তরাজ্য এবং উত্তর কোরিয়া। অগ্নি-৩ ও অগ্নি-৪ এই শ্রেণীর একটি ক্ষেপণাস্ত্র।
মধ্যম পাল্লার (১,০০০ থেকে ৩,৫০০ কিমির অধিক)
বিশ্বের কিছু দেশের কাছে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। রাশিয়া , ভারত , যুক্তরাষ্ট্র , চীন , ফ্রান্স , যুক্তরাজ্য এবং উত্তর কোরিয়া ছাড়াও ইরান , তুরস্ক এবং পাকিস্তানের কাছে রয়েছে । অগ্নি-২ ও শাহীন-৩ এই শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্র।