বায়ুমণ্ডল

বায়ুমণ্ডল (গ্রিক atmos, যার অর্থ বাষ্প, এবং spharia, যার মানে বলয়;[1][2]) মূলত গ্যাসের একটি আস্তরণ যা পর্যাপ্ত ভরসম্পন্ন কোন বস্তুর চারদিকে ঘিরে জড়ো হয়ে থাকতে পারে। বস্তুটির অভিকর্ষের কারণে এই গ্যাসপুঞ্জ তার চারদিকে আবদ্ধ থাকে। বস্তুর অভিকর্ষ যদি যথেষ্ট বেশি হয় এবং বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যদি কম হয় তাহলে এই মণ্ডল অনেকদিন টিকে থাকতে পারে। গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জড়ো হতে দেখা যায়। এ কারণে গ্রহের বায়ুমণ্ডল সাধারণ অপেক্ষাকৃত ঘন এবং গভীর হয়। উদাহরণ হিসেবে গ্যাসীয় দানবসমূহের নাম করা যেতে পারে।

বৃহস্পতির সক্রিয় বায়ুমণ্ডলের দৃশ্য। বৃহৎ লাল বিন্দুটি দেখা যাচ্ছে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর

নাক্ষত্রিক বায়ুমণ্ডল নামে আরেকটি শব্দ রয়েছে যা কোন একটি তারার বাইরের অঞ্চলকে নির্দেশ করে। এই বায়ুমণ্ডলের সীমানা শুরু হয় উক্ত তারাটির অস্বচ্ছ আলোকমণ্ডল থেকে শুরু করে বাইরের অংশে বিস্তৃত। যে সমস্ত তারার তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম তারা নিজেদের বহিঃস্থ বায়ুমণ্ডলে জটিল কিছু অণুর সমাবেশ ঘটাতে পারে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এর উপর বসবাসকারী জীব সম্প্রদায়কে অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে নাইট্রোজেন ৭৮%, অক্সিজেন ২১%, আর্গন ০.৯% সহ বিভিন্ন গ্যাস যেমন কার্বন-ডাই-অক্সাইড সহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. ἀτμός ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে, Henry George Liddell, Robert Scott, A Greek-English Lexicon, on Perseus Digital Library
  2. σφαῖρα ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ মে ২০১৭ তারিখে, Henry George Liddell, Robert Scott, A Greek-English Lexicon, on Perseus Digital Library

আরও দেখুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.