বৈকাল তিলিহাঁস
বৈকাল তিলিহাঁস (বৈজ্ঞানিক নাম: Anas formosa) বা বৈকাল হাঁস Anatidae (অ্যানাটিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Anas (অ্যানাস) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির পরিযায়ী হাঁস।[2][3] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। বৈকাল তিলিহাঁসের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ সুন্দর হাঁস (লাতিন: anas = হাঁস; formosus = সুন্দর)।[3] সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[4] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[1] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এই প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[3]
বৈকাল তিলিহাঁস Anas formosa | |
---|---|
![]() | |
পুরুষ বৈকাল তিলিহাঁস | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
মহাবর্গ: | Galloanserae |
বর্গ: | Anseriformes |
পরিবার: | Anatidae |
উপপরিবার: | Anatinae |
গণ: | Anas |
প্রজাতি: | A. formosa |
দ্বিপদী নাম | |
Anas formosa Georgi, 1775 | |
বৈকাল তিলিহাঁস দলবদ্ধভাবে বসবাস করে এবং অপ্রজননকালীন মৌসুমে বিশাল বিশাল দলে বিচরণ করে। বড় সংরক্ষিত জলাশয়ে এদের সহজে দেখা যায়। উদ্ভিদ বীজ ও ছোট ছোট জলজ জীব এদের প্রধান খাদ্য।
তথ্যসূত্র
- BirdLife International (২০১২)। "Anas formosa"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২।
- রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ৩৩০। আইএসবিএন 9840746901।
- জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৫–৬।
- "Anas formosa"। BirdLife International। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৮।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে বৈকাল তিলিহাঁস সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
![]() |
উইকিপ্রজাতিতে-এ বিষয় সম্পর্কিত তথ্যে রয়েছে: বৈকাল তিলিহাঁস |
- Images and movies of the Baikal teal (Anas formosa) on ARKive
- Baikal Teal from the Internet Bird Collection