বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ (সাবেক: বাংলাদেশ রাইফেলস স্কুল অ্যান্ড কলেজ) পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর সদর দপ্তরে অবস্থিত একটি বাংলাদেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ। মূলত বিজিবির সদস্যদের সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে স্থাপিত হলেও সকলেই এখানে পড়াশোনা করতে পারে। এই কলেজটি বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।[1]
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | |
পিলখানা ঢাকা, বাংলাদেশ | |
স্থানাঙ্ক | ২৩.৭৩৬১০৮° উত্তর ৯০.৩৮১৭০৫° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | বেসরকারি |
নীতিবাক্য | জ্ঞানই শক্তি, কর্মে মুক্তি |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১ জানুয়ারি ১৯৮৪ |
স্থাপিত | ১৯৮৪ |
বিদ্যালয় বোর্ড | ঢাকা |
বিদ্যালয় জেলা | ঢাকা |
বিদ্যালয় কোড | ১০৮১৬২ |
অধ্যক্ষ | লেঃ কর্নেল হাফেজ মো.জোনায়েদ আহমেদ |
উপাধ্যক্ষ | মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১০০০০ |
ভাষার মাধ্যম | বাংলা এবং ইংরেজি |
বিদ্যালয়ের কার্যসময় | ৫ ঘণ্টা |
ক্যাম্পাস | পিলখানা |
ডাকনাম | BMARPC |
বার্ষিক ম্যাগাজিন | প্রতিভা |
ওয়েবসাইট | www.abdurroufcollege.ac.bd |
নামকরণ
১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ রাইফেলস হাইস্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজ পর্যন্ত উন্নীত হয় এবং এর নাম হয় বাংলাদেশ রাইফেলস কলেজ । ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির নাম হয় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ রাইফেলস কলেজ । মুন্সি আব্দুর রউফ (১৯৪৩ - এপ্রিল ৮, ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।[2] মুন্সী আব্দুর রউফ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেই দুইজন ল্যান্স নায়েকদের একজন যারা মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শন করে শহীদ হওয়ায় বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়েছিলেন। ২০০৯ এর পর রাইফেলস শব্দটি পাবলিক শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ফলে কলেজের বর্তমান নাম বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ।
ইতিহাস
১৯৮৪ সালের ১লা জানুয়ারি প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ মাত্র ৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। সেসময় উল্লেখযোগ্য কোন অবকাঠামো ছিল না। প্রতিষ্ঠানটির সূচনা, পথচলা এবং বর্তমান পর্যায় পৌঁছাতে শিক্ষকবৃন্দ ও অন্যান্য কর্মচারীগণ যেমন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তেমনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। জুনিয়র হাইস্কুল হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার এক বছরের মাথায় ১ জানুয়ারি, ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে সরকার হাইস্কুল হিসেবে অনুমোদন দেয়। ১৯৯৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলেজ পর্যন্ত উন্নীত হওয়ার পর ১৯৯৫ সালের জুলাই মাসের তিন তারিখে সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজ হিসেবে অনুমোদন দেয়। ১৯৯৫ সালের ২০ মার্চ প্রভাতি শাখা এবং ৪ মে দিবা শাখা চালু হয়। ১৯৯৮ সালের ৭ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি ডিগ্রী পর্যায়ে উন্নীত হয়। কিন্তু কতিপয় কারণে কয়েক বছর পরই ডিগ্রীর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।[1]
পরিচালনা পর্ষদ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ডাইরেক্টর জেনারেল গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল ভাইস চেয়ারম্যান। বিজিবির দুইজন কর্নেল, দুইজন জিএসও(শিক্ষা), সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচিত তিন জন সদস্য, অভিভাবকদের মধ্য থেকে দুই জন, কলেজ পর্যায় থেকে একজন ও স্কুল পর্যায় থেকে একজন সদস্য নিয়ে গভর্নিং বডি গঠিত হয়। ২০০২ সালের সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধ্যক্ষ গভর্নিং বডির সদস্য সচিব।[3]
সময়ব্যাপ্তি
গ্রীষ্মকালঃ প্রভাতি শাখা- ৭.২০-১১.৩০ এবং দিবা শাখা- ১২.৪০-৫.৪০। শীতকালঃ প্রভাতি শাখা- ৮.০০-১১.৩০ এবং দিবা শাখা- ১১.৩০-৩.৪০।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
প্রতিষ্ঠানটিতে সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ক্লাব রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ- রউফ কলেজের বিতর্ক ক্লাব, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের বিজ্ঞান ক্লাব। এছাড়া প্রতিবছর বিভিন্ন জায়গায় সিক্ষাসফর, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন পর্যায়ের সফলতা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।[4][5]
চিত্রশালা
- মাঠ, কলেজ ভবন-১ এবং স্কুল ভবন
- মাঠ এবং মনিরুজ্জামান মিলনায়তন
তথ্যসূত্র
- http://www.abdurroufcollege.ac.bd
- দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ১৯-১২-২০১২
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৪।
- প্রতিভা (বার্ষিক ম্যাগাজিন)
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৪।