বিরিশিরি

বিরিশিরি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রাম। শুরুতে এটি ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও দুর্গাপুর পৌরসভা হওয়ার সাথে সাথে সদরের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় গ্রামটিকে ওয়ার্ড হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। । ইংরেজ শাসন আমলে স্থাপিত শত বছরের পুরনো বয়েজ ও গালর্স হাই স্কুল, সরকারী কালচারাল একাডেমী, সোমেশ্বরী নদী, সাগর দিঘী, দুর্গাপুর রাজবাড়ী, পুরাকীর্তি নিদর্শন মঠগড়, মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ আর দর্শনীয় স্থানগুলোর কারনে পর্যটকদের কাছে এটির যথেষ্ট সুনাম আছে। স্থানিয় অধিবাসীদের ৬০ ভাগ গারো আদিবাসী ৩০ ভাগ মুসলিম, বাকি ১০ ভাগ হিন্দু ও অন্যান্য জনগোষ্ঠী।[1]

বিরিশিরি
সুসং দুর্গাপুরের চিনামাটির পাহাড় ও তার জল

এখানে বাসস্ট্যান্ড থাকায় এটি সারাদেশ ব্যাপী একটি পরিচিত নাম । অনেকে বিরিশিরিকে দুর্গাপুর শহর থেকে আলাদা মনে করেন। কিন্তু বিরিশিরি দুর্গাপুর পৌরসভার একটি ওয়ার্ড । সোমেশ্বরী নদীই দুর্গাপুর ও বিরিশরিকে আলাদা করেছে।

দর্শনীয় স্থান

কালচারাল একাডেমি, কমলা রাণী দিঘী, সোমেশ্বরী নদী।

কালচারাল একাডেমি

বিরিশিরি কালচারাল একাডেমিতে উপজাতীয় সংস্কৃতি চর্চা করা হয়। এখানে প্রতি বছর উপজাতীয়দের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর জনসমাগম হয়।

কমলা রাণী দিঘী

বিরিশিরি ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই কমলা রাণী দিঘী। এই কমলা রাণী দিঘী সাগর দিঘি নামেও পরিচিত। দিঘীটি পুরোপুরি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এর দক্ষিণ পশ্চিম পাড় এখনও কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে।

সোমেশ্বরী নদী

বলা যায় এই নদীটি একটি কয়লা খনি। সারা দিন স্থানিয় দিন-মজুররা এই নদীতে কয়লা তোলে। দিন শেষে স্থানিয় মজুদদারদের কাছে কয়লা বিক্রি করে। মেঘালয়ের গারো পাহাড় থেকে নেমে এসেছে এই সোমেশ্বরী নদী যার আদি নাম ছিলো ‘সমসাঙ্গ’। বিজয়পুর, রানী খং এসব জায়গায় যেতে হলে এই নদী নৌকায় পাড় হতে হয়।

কুল্লাগড়া মন্দির

বিজয়পুর যাওয়ার সময় পথেই পড়বে কুল্লাগড়া মন্দির।

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

  1. http://www.bd-pratidin.com/2014/06/25/13807 ছায়াঢাকা গ্রাম বিরিশিরি।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.