বিমল সেন
বিমল সেন (১৯০৬ - ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪) একজন বাঙালি সাহিত্যিক ও ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনকারী।
বিমল সেন | |
---|---|
জন্ম | ১৯০৬ |
মৃত্যু | ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | সাহিত্যিক |
আন্দোলন | ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন |
প্রারম্ভিক জীবন
বিমল সেনের জন্ম হয় বাংলাদেশের বরিশাল জেলার ফয়েরায়। পিতার নাম যোগেশচন্দ্র সেন। অষ্টম শ্রেনীতে পড়ার সময় স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন ও চরকা কাঁধে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরতেন। দুই বছর এই জীবনযাপন করার পরেও মেধাবী বিমল ম্যাট্রিক পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হন ৫ টি বিষয়ে লেটার ও স্টার মার্কস সহ। ইংরেজ সরকারের স্কুলে ভর্তি না হয়ে দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ বিমল কলকাতায় আসেন এবং যাদবপুর বেঙ্গল টেকনিকাল কলেজে (অধুনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন। অর্থাভাবে তার পড়াশোনায় ছেদ পড়ে। বেলগাছিয়ার পান্নালাল শীল বিদ্যামন্দিরে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছিলেন।[1]
সাহিত্য
শিক্ষকতার পাশাপাশি সাহিত্য সাধনায় মন দেন তিনি এবং লিবার্টি, বঙ্গবাণী, বেণু, বিচিত্রা, মডার্ণ রিভিউ পত্রিকায় তার রচনা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। দেশাত্মবোধক বিভিন্ন ছোটগল্প লিখেছেন বিপ্লবী যুগান্তর দলের মুখপত্র 'স্বাধীনতা' পত্রিকায়। তার লেখা দু'খানি বই রাজরোষে পড়েছিল। বিদেশী সাহিত্য অনুবাদে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। মাক্সিম গোর্কির উপন্যাস মাদারে'র বাংলা অনুবাদ করেন তিনি প্রথম। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে পারিজাত, শক্তির জয়, মরুযাত্রী, গল্পের ছলে, ছোটদের শিশিরকুমার অন্যতম। অনুদিত গ্রন্থ শোধবোধ ও খনির গোলাম।[1]
রাজনৈতিক জীবন
দেশাত্মবোধক ও জ্বালাময়ী রচনা লেখার কারনে পুলিশের নজর পড়েছিল তার ওপর। সরস্বতী লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত তার দুটি বই ফুলঝুরি ও স্বাধীনতার জয়যাত্রা রাজদ্রোহের অভিযোগে বাজেয়াপ্ত হয়। পলাতক জীবন যাপন করতে বাধ্য হন এই সাহিত্যিক। রংপুর স্টেশনে ধরা পড়লে তার ওপর পুলিশ অকথ্য অত্যাচার চালায়। মুক্তিলাভের পর বেড়াচাপা গ্রামে শিক্ষকতার কাজ করতে থাকেন।[2]
তথ্যসূত্র
- প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩৫৪।
- "বিমল সেন"। বরিশালপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৭।