বিমল-কুমার
বিমল-কুমার হল বাঙালি সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায় সৃষ্ট এডভেঞ্চার-রোমাঞ্চ কাহিনীর কাল্পনিক দুই চরিত্র। বিমল এবং কুমার জুটি বাংলা শিশুসাহিত্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ১৯২৩ সালে বাংলা মৌচাক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রথম বিমল কুমার জুটির কাহিনী যকের ধন প্রকাশিত হয়।
চরিত্রচিত্রণ
বিমল ও কুমার দুই বাঙালী যুবক যারা অভিযান প্রিয় ও অজানা রহস্যের খোঁজে পাড়ি দিতে ভালবাসে দেশ দেশান্তরে। দুজনেই শক্তপোক্ত ও বলশালী যুবক, অথচ নির্লোভ, মানবিক গুনে সমৃদ্ধ। বাঙ্গালীর ঘরকুনো বদনামকে দূর করতে গুপ্তধন উদ্ধারে পাহাড় জঙ্গল সমু্দ্রের নির্জন দ্বীপ এমনকি মঙ্গলগ্রহেও তারা অভিযান করেছে। তাদের সর্বক্ষনের সাথী পোষা কুকুর বাঘা। বিমল কুমারের পুরাতন ভৃত্য রামহরি তাদের সাথে বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেয়। এছাড়া সুপন্ডিত বিনয়বাবু ও তরুন ছাত্র কমল একাধিক অভিযানে তাদের সঙ্গী হন।
কাহিনী
- যকের ধন
- আবার যকের ধন
- মেঘদূতের মর্ত্যে আগমন
- ময়নামতীর মায়াকানন
- অমাবস্যার রাত
- জেরিনার কন্ঠহার
- ড্রাগনের দুঃস্বপ্ন
- অম্ররত দ্বীপ
- সোনার পাহাড়ের যাত্রী
- নীল সায়রের অচিনপুরে
- সুন্দরবনের রক্তপাগল
- কুমারের বাঘা গোয়েন্দা
- হিমালয়ের ভয়ঙ্কর
- সূর্যনগরীর গুপ্তধন
- প্রশান্তের আগ্নেয়দ্বীপ
- যক্ষপতীর রত্নপুরী
- কুবের পুড়ীর রহস্য
- সুলু সাগরের ভুতুড়ে দেশ
- অসম্ভবের দেশে
- কুমার বিমলের রহস্য এডভেঞ্চার
- অদৃশ্যের কীর্তি
- পিশাচ
- ডালিয়ার অপমৃত্যু
- অগাধ জলের রুই কাতলা
- বাবা মুস্তাফার দাড়ি
- বনের ভেতরে নতুন ভয়
- গুহাবাসী বিভীষণ
- যে ছুরি কথা কয়
- মান্ধাতার মুল্লুকে
চলচ্চিত্র
হেমেন্দ্রকুমার রায়ের বিমল কুমার জুটির প্রথম কাহিনী যকের ধন দুইবার চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। ১৯৩৯ সালে প্রথম নির্মিত ছবিটিতে অভিনয় করেন ছায়া দেবী, অহীন্দ্র চৌধুরী ও জহর গাঙ্গুলি প্রমুখ।[1] ১৯৯০ এর দশকে কলিকাতা দূরদর্শনে আবার যকের ধন টেলিসিরিয়াল হিসেবে প্রকাশিত হয়। ১৯১৭ সালে যকের ধন (চলচ্চিত্র)তে চলচ্চিত্রে বিমলের ভূমিকায় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও কুমারের ভূমিকায় রাহুল ব্যানার্জী (অভিনেতা) অভিনয় করেছেন।[2]
তথ্যসূত্র
- "যকের ধন"। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৮।
- "উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে এসে গুপ্তধন রক্ষার বৃথা চেষ্টা তিব্বতি যকের"। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৮।