বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের তালিকা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলতে বোঝানো হয় সে সব উদ্ভিদ যে গুলো বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত আইনের শেষে যুক্ত ৪র্থ তফসিলে মোট ৫৪টি উদ্ভিদের নামোল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে সংরক্ষিত উদ্ভিদ (Protected plants) হিসেবে বিবেচিত হবে।

সংরক্ষিত ঘোাষিত উদ্ভিদের ক্ষেত্রে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা উক্ত আইনের ৬ ধারা মোতাবেক এই ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত ধারা লঙ্ঘন করলে বিচারক্রমে ৩৯ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। কোন ব্যক্তি একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।[1]
আইনের ৪১ ধারা মোতাবেক আরো উল্লেখ রয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করলে বা উক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা প্রদান করে থাকলে এবং উক্ত সহায়তা বা প্ররোচনার ফলে অপরাধটি সংঘটিত হলে, উক্ত সহায়তাকারী বা প্ররোচনাকারী তাহার সহায়তা বা প্ররোচনা দ্বারা সংঘটিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ডে দন্ডিত হইবেন।[1]
তালিকা
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২’র তফসিল ৪-এ অন্তর্ভুক্ত উদ্ভিদের তালিকা:[2]
- তালিপাম
- সিভিট
- বইলাম
- চুন্দুল
- কুম্ভি
- প্রশান্ত আমুর
- ধুপ
- কাঁটালাল বাটনা
- কর্পূর
- তেজবহুল
- মনিরাজ
- অনন্তমূল
- পুদিনা
- বাঁশপাতা
- উরি আম
- পাদাউক
- রিটা
- কুসুম/জায়না
- উদাল
- হাড়জোড়া
- ত্রিকোণী বট
- লতা বট
- গয়া অশ্বথ
- উর্বশী
- উদয়পদ্ম
- জহুরী চাঁপা
- কুঁচ
- কামদেব
- কির্পা
- কুর্চি
- খলশী
- গলগল
- জইন
- টালি
- তমাল
- বুদ্ধনারকেল
- হরিনা
- সিংড়া
- সমুন্দরফল
- বর্মি মইলাম
- পশুর
- কোথ (উদ্ভিদ)
- খাসি পিচার প্লান্ট
অর্কিডসমূহ
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- "বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২"। বাংলাদেশ আইন মন্ত্রণালয়। ঢাকা: http://bdlaws.minlaw.gov.bd। ১০ জুলাই ২০১২। পৃষ্ঠা ১১৮৪১৫-১১৮৪৩৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-১৭।
|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৫৩৮-৪১, ১১৮৪২২,১১৮৪৩২