কুর্চি
কুর্চি ক্ষুদ্র পত্রমোচী বৃক্ষ। Apocynaceae পরিবারের এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Holarrhena antidysenterica।
কুর্চি Holarrhena pubescens | |
---|---|
Holarrhena pubescens | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
(শ্রেণীবিহীন): | Angiosperms |
(শ্রেণীবিহীন): | Eudicots |
(শ্রেণীবিহীন): | Asterids |
বর্গ: | Gentianales |
পরিবার: | Apocynaceae |
উপপরিবার: | Apocynoideae |
গোত্র: | Malouetieae |
গণ: | Holarrhena |
প্রজাতি: | H. pubescens |
দ্বিপদী নাম | |
Holarrhena pubescens Wall. ex G.Don 1837 | |
প্রতিশব্দ[1] | |
|
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[2]
বর্ণনা
কুর্চির কান্ড সরল, উন্নত এবং শীর্ষ অজস্র উর্দ্ধমুখী শাখায় ডিম্বাকৃতি, কখনোবা এলোমেলো। বাকল অমসৃণ, হালকা ধূসর। শীতের শেষে পাতা ঝরে গেলেও বসন্তের শেষে এই শূন্যতা কচি পাতায় ভরে উঠে। পাতা লম্ব-ডিম্বাকৃতি, মসৃণ আর বিন্যাস হয় বিপ্রতীপ। কুর্চির স্বাভাবিক উচ্চতা ১০-২০ ফুট, কিন্তু ২-৪ ফুট উঁচু গাছেও অনেক সময় মুকুল ধরে। কুর্চির অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য হলো সারা বর্ষা ধরে কয়েকবার প্রস্ফুটন।[3]
ফুল ও ফল
কুর্চি-মঞ্জরীতে ফুলের সংখ্যা কম হলেও বিক্ষিপ্ত মঞ্জরী সংখ্যা অজস্র। ফুল রঙ্গন ফুলের মতো, নিচের অংশ নলাকৃতি এবং উপর মুক্ত পাপড়িতে ছড়ানো। ৫টি পাপড়ির মুক্ত অংশ ঈষৎ বাঁকানো, বর্ণ দুধসাদা এবং তীব্র সুগন্ধী কিন্তু মধুর। গোত্রীয় বৈশিষ্ট্যের রীতি অনুযায়ী পরাগচক্র দলের গভীরে অদৃশ্য। দুটি গর্ভকেশর প্রায় মুক্ত এবং এজন্য একই ফুল থেকে দুটি ফল জন্মে। এই সজোড় ফল দুটি সরু, লম্বা এবং বীজ বহু সংখ্যক, রোমশ ও ঘনবাদামী। বাতাসে বীজ ছড়ায়।[3]
ঔষধি গুণ
কুর্চি ভেষজগুণে সমৃদ্ধ। ফুল, ফল, বাকল সবই আমাশয় সারাতে ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।[3]
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৫৩৯
- শ্যামলী নিসর্গ, দ্বিজেন শর্মা; বাংলা একাডেমী, ঢাকা থেকে প্রকাশিত। সংগ্রহের তারিখ: ৬ মার্চ ২০১২।