বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র।[1] এই একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
প্রাতিষ্ঠানিক লোগো
প্রতিষ্ঠাতা(গণ)শেখ মুজিবুর রহমান
প্রতিষ্ঠিত১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪
চেয়ারম্যানআসাদুজ্জামান নূর
মহাপরিচালকলিয়াকত আলী লাকী
স্বত্বাধিকারীসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
প্রাক্তন নামপাকিস্তান আর্ট কাউন্সিল
অবস্থান, ,
বাংলাদেশ
ঠিকানাসেগুনবাগিচা, রমনা, ঢাকা- ১০০০
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ইতিহাস

সংস্কৃতিক যথার্থ পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে শেখ মুজিবুর রহমান পাশ করেছিলেন বাংলা একাডেমি এ্যাকট। পরবর্তিতে জাতীয় সংস্কৃতির গৌরবময় বিকাশকে জাতীয় আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে গৃহীত “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী এ্যাক্ট ১৯৭৪” (এ্যাকট নং ৩১ অফ ১৯৭৪) অনুসারে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়। একাডেমীর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন ড. মুস্তাফা নূরউল ইসলাম[2]

অবস্থান

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, ঢাকার রমনায় সেগুনবাগিচা এলাকার দুর্নীতি দমন কমিশন ভবনের বিপরীতে অবস্থিত। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর ব্যতীত দেশের ৬৩টি জেলায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে জেলা শিল্পকলা একাডেমীসমূহ একটি "কার্য নির্বাহী" কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসন পদাধিকার বলে উক্ত কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেক জেলায় একজন কালচারাল অফিসার রয়েছেন, যিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।

বিবরণ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নিম্নলিখিত বিভাগ নিয়ে গঠিত:

  • চারুকলা বিভাগ
  • নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ
  • সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগ
  • গবেষনা ও প্রকাশনা বিভাগ
  • প্রশিক্ষণ বিভাগ
  • প্রযোজনা বিভাগ
  • প্রশাসন, অর্থ, হিসাব ও পরিকল্পনা বিভাগ

কার্যক্রম

সাংস্কৃতিক বিষয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করা এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে দুস্থ ও গুণী শিল্পীদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যাবলীর অংশ। অন্যদিকে বিভিন্ন পুরস্কার এবং সম্মাননা প্রদানসহ সাংস্কৃতিক সংস্থাসমূহকে অনুদান প্রদান করে থাকে এই প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এই একাডেমী, চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, নাটক, সংগীত ও নৃত্যনুষ্ঠান, আন্তর্জাতিক উৎসবের এবং প্রতিযোগীতার আয়োজন করে থাকে। পাশাপাশি চারুকলা, সংগীত, নৃত্য, নাটক ও চলচ্চিত্র বিষয়ক গ্রস্থাদি প্রকাশ, গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণ এবং প্রকাশনা বিক্রয়ের ব্যবস্থাসহ সিম্পোজিয়াম আয়োজনও করে থাকে।

জেলা শাখা

তথ্যসূত্র

  1. "শিল্পকলা একাডেমির ৪০ বছর পূর্তি"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  2. "বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর ৪০ বছর"দৈনিক সমকাল। ২০১৪-০২-১৯। ৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-২৪

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.