বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপ

বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপ বা হুগলী পটী[1] বা বড়শিনাক দজ্যা সাপ[2] (ইংরেজি: beaked sea snake, hook-nosed sea snake, common sea snake, বা Valakadyn sea snake) বৈজ্ঞানিক নাম: Enhydrina schistosa) হচ্ছে হাইড্রফিডি পরিবারভুক্ত এক প্রকার তীব্র বিষধর সাপ সামুদ্রিক সাপ। সাপের কামড়ে আক্রান্তদের ভেতরে ৫০ শতাংশের বেশি সামুদ্রিক সাপের কারণে এবং অধিকাংশই এই প্রজাতির কারণে ঘটে থাকে।[3]

বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপ
Enhydrina schistosa

ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত  (আইইউসিএন ৩.১)
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Reptilia
বর্গ: Squamata
উপবর্গ: Serpentes
পরিবার: Hydrophiidae
গণ: Enhydrina
প্রজাতি: E. schistosa
দ্বিপদী নাম
Enhydrina schistosa
(Daudin, 1803)

বর্ণনা

বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপের দেহ তামাটে ধূসর রঙের এবং নীলাভ ধূসর বা কালচে ব্যান্ড থাকে। এদের দেহের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৪০ সেমি এবং লেজের দৈর্ঘ্য ১১০ সেমি।[1]

স্বভাব

বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপ উন্মুক্ত জলাশয়ের অগভীর পানিতে, উপকূলীয় উপহ্রদ, প্যারাবন, মোহনায় এবং নদীর মুখে পাওয়া যায়।[1]

বিস্তৃতি

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপকে বাংলাদেশের বিলুপ্ত সাপ হিসেবে ধরা হয়েছে। এ প্রজাতির সাপ পৃথিবীতে ব্যাপক বিস্তৃত। এরা পারস্য উপসাগর, মাদাগাস্কার, বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি এবং অস্ট্রেলিয়ার উত্তর অংশে পাওয়া যায়।[1]

অবস্থা

আইইউসিএন এটিকে বাংলাদেশে এবং বিশ্বে বিপদমুক্ত বলে বিবেচনা করে।[1] বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[2]

তথ্যসূত্র

  1. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ, খণ্ড: ২৫ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৭৬-১৭৭।
  2. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৫০৬
  3. Valenta 2010, পৃ. 153

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.