বজরং দল

বজরং দল হল উগ্র হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী[1][2][3][4] বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব বাহীনি।[5] ১লা অক্টোবর ১৯৮৪ সালে উত্তর প্রদেশ দলটি প্রতিষ্টিত হয় এবং গোটা ভারতে উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ দলহিসাবে বিস্তৃত লাভ করে।[6]

বজরং দল
গঠিত অক্টোবর ১৯৮৪ (1984-10-01)
প্রধান প্রতিষ্ঠান
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
ওয়েবসাইটwww.bajrangdal.org

এই দলের লক্ষ্য হল গোহত্যা নিরোধ করা এবং মথুরার আযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রামজন্মভুমি মন্দির নির্মাণ করা। এছাড়াও ভারতের হিন্দুদেরকে সাম্যবাদ (কমিউনিজম) থেকে রক্ষা করা, মুসলিম এবং খ্রীষ্টান ধর্মে রপান্তর হতে বিরত রাখা।

মতাদর্শ এবং এজেন্ডা

আধুনিক ভারতে বাজরং দলের লক্ষ্যগুলি ইসলামী আক্রমণ ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে প্রত্যাহার করা। তারা বর্তমানে মন্দিরগুলিতে বিতর্কিত ঐতিহাসিক স্মৃতি রূপান্তর করার দাবি অন্তর্ভুক্ত করেছে। [6] বাজরং দল তার ওয়েবসাইটটিতে দাবি করে যে তারা কোনও সাম্প্রদায়িক বা বিভক্ত নয়। বিশেষ করে তারা বলে [7]

"বাজরং দল কোন ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। এটি অন্য মানুষের বিশ্বাসকে সম্মান করার স্বীকার করে, কিন্তু আশা করে এবং হিন্দু অনুভূতির অনুরূপ সম্মানের জন্য দাবি করে। হিন্দু হওয়ার কারণে, বাজরাং দল সকল ধর্মের বৈধতা বিশ্বাস করে এবং সকল মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। , বর্ণ, বর্ণ এবং ধর্ম (আতসস্বত সর্বভুথুশু) ব্যতীত। এই উদ্দেশ্যেই বাজরং দল বিভিন্ন গণজাগরণমূলক প্রচারণা চালায়। এটি সহিংসতা বা কোনও বেআইনী কার্যকলাপে বিশ্বাস করে না। "

এ ছাড়া, বাজরং দল জানায়, তারা খ্রিষ্টান মিশনারিদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়ে পাঁচ মিলিয়ন হ্যান্ডবিল বিতরণ করবে। বাজরং দল জাতীয় আহ্বায়ক সুরেন্দ্র কুমার জৈন বলেন, বিশেষ করে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করে এমন বিশ্বব্যাপী সুসমাচার প্রচারের পরিকল্পনায় দরিদ্র মানুষকে রূপান্তরিত করার জন্য কিছু খ্রিস্টান সংস্থা দ্বারা সন্দেহভাজন অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে বলে দলটি শান্তিপূর্ণভাবে প্রকাশ করবে। [8]

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাথে একসঙ্গে বাজারং দল ভারতে ইসলামী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে এবং ঘোষণা করেছে যে তারা সারা দেশে সচেতনতা প্রচারণা চালাবে। তারা বলেছে যে ইসলামিক সন্ত্রাসীরা ভারতে সাধারণ জনসংখ্যার মধ্যে লুকিয়ে আছে এবং তাদের প্রকাশ করার অর্থ। [9] বাজরং দলের আহ্বায়ক প্রকাশ শর্মা জোর দিয়ে বলেন যে তারা কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তুতে নিয়োজিত ছিল না, কিন্তু ২00২ সালে অক্ষদহম মন্দির হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত সন্ত্রাসবাদের বিপদগুলোতে ভারতের জনগণ, বিশেষত তরুণদের জেগে উঠার চেষ্টা করেছিল। লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি গ্রুপের কাছে। [10] [11]

গরুর হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বীরগং দল ভিএইচপি এর অবস্থান ভাগ করে নিয়েছে এবং এটি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব সমর্থন করেছে। [12] গুজরাট বাজরং দল বিরোধী সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আন্দোলনের অগ্রদূত। এর আরেকটি উদ্দেশ্য হিন্দু-মুসলমান বিয়েকে প্রতিরোধ করছে। [13] সংগঠন যৌতুক ও অস্পৃশ্যতার মতো সামাজিক মন্দিকে বিনষ্ট করার দিকে কাজ করার দাবি করে। [উদ্ধৃতি প্রয়োজন]

মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ভিএইচপি এবং বাজারং দলকে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। [1] [14]

সূচনা

অক্টোবর ১৯৮৪ সাল থেকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) জঙ্গী,সন্তাসী কট্টরন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে ‘ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠন’ বলে উল্লেখ করল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা CIA. সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক’-এ এই ২ সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভিএইচপি ও বজরং দলকে ‘রাজনৈতিক প্রভাবশালী সংগঠন’ বলে উল্লেখ করেছে তারা।

, উত্তর প্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় নিয়মিত মিছিল, অনুষ্ঠান শুরু করে। এই মিছিলকে রাম-জানকী রথযাত্রা বলা হয় এবং এর লক্ষ্য ছিল সমাজের জাগরণ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুশীলনের জন্য অন্য কোনো ধর্ম বিরোধী কর্ম করা হয়নি বলে দাবি করে যদিও, ভারতের সমাজের অনেক বিভাগ এই নিয়মিত অনুষ্ঠানকে একটি উগ্র-হিন্দু আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করে। এর ফলে, এই মিছিল ঘিরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও হুমকির একটি পরিবেশ সৃষ্ট হয়। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যদরা মিছিল রক্ষা করার জন্য যুবকদের প্রতি আহ্বান জানান। এইভাবে বজরং দল গঠিত হয়।

বিতর্ক

  • হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচ অনুযায়ী, বজরং দল ২০০২ সালে গুজরাট সহিংসতায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা জড়িত ছিল।[7]
  • এপ্রিল ২০০৬ সালে, দুজন বজরং দলের কর্মী বোমা তৈরীর সময় মহারাষ্ট্রের নান্দেদ শহরের কাছাকাছি নিহত হয়। এছাড়াও ২০০৩ সালে পারভানি মসজিদ বিস্ফোরণ সংঘটিত করার জন্য সন্দেহ করা হয়।[8] যারা গ্রেফতার ​​হন পরে তারা ত্তজর দেখান যে সারা দেশে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের উসুল চেয়েছিলেন।[9] এনডিটিভি (NDTV) পরবর্তীকালে নান্দেদের পুলিশকে তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সিটিজেন এর ফোরাম ও PUCL মিলিতভাবে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট পেশ করে যাতে উল্লেক্ষ ছিল যে নাগপুর মৃত বজরং দলের সদস্যের বাড়িতে বিভিন্ন মসজিদের মানচিত্র পাওয়া গিয়েছে।[10]
  • এপ্রিল ২০০৩ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রভীন তোগাড়িয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আজমিরে, বজরং দলের সদস্যদের হাতে ত্রিশূল তুলে দেন।[11]
  • দলটির বিরূদ্ধে গুজরাতে, মুসলমানদেরকে জমি ক্রয় করা থেকে আটকান, যারা বিক্রয় করতে ইচ্ছুক তাদের উপর অত্যাচার করা এবং মুসলিমদের নিজস্ব সম্পত্তি ও বাড়ি জোরপূর্বক বিক্রি করতে বাধ্য করার মত গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত। ফল স্বরুপ গুজরাতের আমেদাবাদভাদোদারা মত শহরে মূসলিম বস্তি গড়ে ওঠে।[12]
  • বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, "সামাজিক পুলিশ" হিসেবে কাজ করে বজরং দলের কর্মীরা ভালোবাসা দিবসে অ-বিবাহিত যুগলদেরকে জোরপুর্বক সিদুর পরানো বা রাখি পরিয়ে যথাক্রমে দম্পতি ও ভাই-বোন হতে বাধ্য করে। এছাড়াও কর্মীরা প্রায়ই উপহার-এর দোকান ও রেস্তোরাঁ আক্রমণ করে, ভালোবাসা দিবসে যুগলদেরকে শাসানি, সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।[13][14][15][16]
  • ২৪ আগস্ট ২০০৮ সালে কানপুরে বোমা বানানোর দুর্ঘটনার সাথে জড়িত।[17]
  • সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে, হিন্দু দেবতা অবমাননার অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে কর্নাটকে খ্রীষ্টান গির্জা আক্রমণ করে। এছাড়া জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন কর্ণাটক ও উড়িষ্যার বিজেপি-শাসিত অঞলে ধর্মীয় সহিংসতার জন্য তাদের দাবি করে।[18]
  • ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে পুনরায় উত্তর প্রদেশের কানপুর শহরে ভালোবাসা দিবস উদযাপনকারীদেরকে তাদের কান ধরে উঠ-বোস করতে বাধ্য করে। "পশ্চিমী ছুট" উদযাপন করার অপরাধে এই শাস্তি ও সহিংসতা রুখতে পুলিশ নিয়োগ করতে হয়।[19]

সমালোচনা

হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচ-এর দ্বারা গঠিত "ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট (২০০০)" এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা পরিচালিত "আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা রিপোর্টের (২০০০)" বার্ষিক প্রতিবেদনে বজরং দলকে হিন্দু চরমপন্থী গ্রুপ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।[20][21] ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ার স্টাডিজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান -এর অধ্যাপক, পল আর ব্রাস (Paul R. Brass), বজরং দলকে ভারতের নাত্সি সমতুল্য হিসাবে বর্ণিত করে।[22]

বজরং দল এমনকি মধ্যপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন, হিন্দু মহাসভা দ্বারাও সমালোচিত হয়েছে।[23]

নিষেধাজ্ঞার দাবি

  • সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটির নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলে। মনিশ তিওয়ারি বলেন

    "White paper should be brought out not only against SIMI but all organisations involved in anti-national activities like Bajrang Dal and VHP"[24]

কংগ্রেসের একাধিক নেতা ছাড়াও কানপুর বিস্ফোরণের পর, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন -এ যূক্ত মাওলানা খালিদ রশিদ ফিরাঙ্গি মাহলিও নিষেধাজ্ঞার পক্ষে দাবি জানান।[25]

  • মাসিক পত্রিকা কম্যুনালিজম্ কম্ব্যাট (Communalism Combat) আগস্ট ২০০৮ সালে বজরং দলের তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলে।[26]
  • লোক জনশক্তি পার্টির নেতা রামচন্দ্র পাসওয়ান বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে সাম্প্রদায়ীক দল হিসাবে আক্ষ্যা দিয়ে অবিলম্ব নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।[27]
  • রাজ্যসভা সাংসদ রাম বিলাস পাসোয়ান থেকে শুরু করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী (১৯৯৪-১৯৯৬) ও একই সাথে ভারতের 11 তম প্রধানমন্ত্রী ডেভে গৌড়া ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী বজরং দলের পাশাপাশি শ্রী রাম সেনার উপরও নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলেন।[28][29][30]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. 16 Harv. Hum. Rts. J. 41 (2003) Overlooked Danger: The Security and Rights Implications of Hindu Nationalism in India; Narula, Smita
  2. "Militant Hindu Valentine threat"। BBC। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২০০১-০২-১২
  3. Chetan Bhatt (২০০১)। Hindu Nationalism: Origins, Ideologies and Modern Myths। Berg Publishers। পৃষ্ঠা 199। আইএসবিএন 978-1-85973-348-6।
  4. Cracking down on ‘violations of moral code’ in Dakshina Kannada The Hindu
  5. Deshpande, Rajeev (৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Bajrang Dal: The militant face of the saffron family?"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৯-৩০
  6. "'Bajrang Dal,a terror group, ban likely"। The Hindusthan Times। সংগ্রহের তারিখ ৪ঠা মার্চ ২০১৪ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  7. State Participation and Complicity in Communal Violence in Gujarat Humean Rights Watch – June 2002
  8. Malegaon the road to perdition,The Hindu
  9. Malegaon blasts: Is it Bajrang or Lashkar?
  10. A report on bomb blast at the house of prominent RSS activist in Nanded, Maharashtra ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে,pucl.org
  11. Togadia defies ban, distributes tridents,The Hindu
  12. Organised intolerance
  13. Valentines day
  14. Gupta, Suchandana (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "On V-Day, Bajrang Dal men force couple to get 'married'"The Times of India
  15. "Sena, Bajrang Dal act spoilers on Valentine's Day"। Rediff.com। ৩১ ডিসেম্বর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-২৬
  16. "Bajrang Dal protests against Valentine's Day"The Hindu। Chennai, India। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
  17. Bajrang Dal plotted ‘revenge blasts’ in Kanpur: UP police Indian Express – 28 August 2008
  18. Christians: The Sangh Parivar's new target The Economic Times – 20 September 2008
  19. Bajrang Dal activists threaten couples celebrating Valentine's Day in Kanpur DailyIndia.com – 14 February 2011
  20. Barbara Larkin। Annual Report on International Religious Freedom 2000। পৃষ্ঠা 508। আইএসবিএন 0-7567-1229-7।
  21. Human Rights Watch World Report 2000Human Rights Watch। পৃষ্ঠা 188। আইএসবিএন 1-56432-238-6।
  22. Paul R. Brass (১৯৯৭)। Theft of an Idol: Text and Context in the Representation of Collective ViolencePrinceton University Press। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 0-691-02650-5।
  23. Bajrang deaf to BJP sermon The Telegraph, Calcutta – 3 October 2008
  24. Cong demands white paper on Bajrang Dal, VHP
  25. Muslim cleric demands ban on Bajrang Dal
  26. Call for immediate ban on Bajrang Dal, VHP
  27. LJP demands ban on Bajrang Dal, VHP
  28. Gowda, Maya demand ban on Bajrang Dal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে The Times of India, 22 September 2008
  29. Paswan seeks ban on Bajrang Dal, VHP The Hindu, 20 September 2008
  30. Congress seeks ban on VHP, Bajrang Dal Sify News, 20 September 2008
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.