প্লাসমিড
প্লাসমিড হচ্ছে ছোট ডিএনএ অণু, যা একটি কোষে থাকে কিন্তু ক্রোমোজমাল ডিএনএ থেকে আলাদা থাকে। এটি নিজে নিজেকে প্রতিলিপন করতে পারে। এগুলোকে সাধারণত পাওয়া যায় ব্যাকটেরিয়াতে। ছোট বৃত্তাকার,দুইটা ছাচ বিশিষ্ট ডিএনএ অণুরূপে। কখনো কখনো একে archaea এবং ইউক্যারিওটিক জীবেও পাওয়া যায়। সাধারণত প্লাসমিড যেসব জীন ধারণ করে সেগুলো জীবকে টিকে থাকতে সহায়তা করে। যখন ক্রোমোজোম বড় হয় তখন সে যে সকল প্রয়োজনীয় জীন ধারণ করে তার মাধ্যমে জীব সাধারণ পরিস্থিতিতে বেচে থাকে। কিন্তু প্লাসমিড ছোট হলেও যেসব অতিরিক্ত জীন ধারণ করে সেগুলো জীবকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সহায়তা করে। প্লাসমিড vector হিসেবে molecular cloning এ ব্যবহার করা হয।
প্লাসমিডকে replicon s হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ডিএনএ-এর ইউনিট,যার মাধ্যমে ডিএনএ বাহকের অভ্যন্তরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের প্রতিলিপি গঠন করতে সক্ষম হয়। যাইহোক, প্লাসমিডকে ভাইরাসের মতই জীব হিসেবে গণ্য করা হয় না।[1] প্লাসমিডকে এক ব্যাকটেরিয়াম থেকে আরেক ব্যাকটেরিয়ামে প্রতিস্থাপন করা যায়(এমনকি অন্য প্রজাতিতেও) এই প্রতিস্থাপন করা যায় তিনটি গঠন প্রকৃয়ার উপর নির্ভর করে। সেগুলো হল: transformation, Transduction এবং conjugation।এই যে বাহক থেকে বাহকে জেনেটিক উপাদানের এই প্রতিস্থাপন, একে বলা হয় horizontal gene transfer এবং প্লাসমিডকে mobilome এর অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।ভাইরাস(যারা তাদের জেনেটিক উপাদানসমূহকে রক্ষাদায়ী প্রোটিন; (যাকে capsid বলা হয়) দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে)। কিন্তু প্লাসমিডের ডিএনএ অনাবৃতই থাকে।কিছু কিছু শ্রেণির প্লাসমিড conjugative sex কে এনকোড করে, যা তার প্রয়োজন। প্লাসমিডের আকার ১ থেকে 200k bp(বেস পেয়ার) এর বেশি হতে পারে।[2]
বৈশিষ্ট্য
.svg.png)
যুক্তরাষ্ট্রের আণবিক জীববিজ্ঞানী জোসুয়া লেডারবার্গ ১৯৫২ সালে প্রথম প্লাসমিড শনাক্ত করেন।[3] ১৯৬৮ সালে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে প্লাসমিডকে অতিরিক্ত জেনেটিক উপাদান হিসেবে আলাদা বাহকে সংযুক্ত করা যায়।[4] এবং এটাই তাকে ভাইরাস থেকে পৃথক করেছে এবং এর সংজ্ঞায় পরিবর্তন আসল, বুঝা গেল প্লাসমিড ক্রোমোজোমের বাইরেও টিকে থাকতে পারে ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের প্রতিলিপি গঠন করতে পারে।[5]
কোষের অভ্যন্তরে স্বাধীনভাবে প্লাসমিড নিজের প্রতিলিপন করতে চাইলে তাকে অবশ্যই ডিএনএ এর ছাচ তৈরী করতে হবে,যা সূচনা বিন্দু(origin of species হিসেবে কাজ করবে। যেহেতু এটি নিজে নিজে প্রতিলিপি গঠন করতে পারে তাই এই এই দৃষ্টিকোণ থেকে প্লাসমিডকে replicon বলা হয়।[6] ক্ষুদ্রাকৃতির প্লাসমিড তাদের বাহকের প্রতিলিপন উৎসেচক ব্যবহার করে নিজেদের প্রতিলিপি করে থাকে। কিন্তু বড় প্লাসমিডগুলো নিজেদের প্রতিলিপির জন্য সুনির্দিষ্ট জীন ধারণ করতে পারে। কিছু কিছু প্লাসমিড নিজেদেরকে বাহক ক্রোমোজোমে অভ্যন্তরে সংযুক্ত করতে পারে। এই ধরনের বিশেষ প্লাসমিডকে বলা হয় এপিজোম।[7]
যতই ক্ষুদ্র হোক নানা কেন প্লাসমিড অন্ততপক্ষে একটা হলেও জিন বহন করে। প্লাসমিড যে সকল জীন বহন করে তার অধিকাংশই বাহক কোষের জন্য উপকারী। উদাহরণ স্বরুপ: প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাহক কোষকে টিকে থাকার জন্য প্লাসমিড সহায়তা করে। কিছু জীন অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আবার কিছু জীন ভারী পদার্থ যেগুলো প্রতিরোধ করে while others may produce virulence factor that enable a bacterium to colonize a host and overcome its defences, or have specific metabolic functions that allow the bacterium to utilize a particular nutrient, including the ability to degrade recalcitrant or toxic organic compounds.[5] প্লাসমিড সক্ষম ব্যাকটেরিয়া দিয়ে nitrogefix nitrogen(নাইট্রোজেন সংবন্ধন) করাতে। কিছু কিছু প্লাসমিডের কোষে কোনো প্রভাব দেখা যায় না।অথবা বাহকে তাদের উপকার কী সেটা এখনো নির্ণয় করা যায় নি। এইধরনের প্লাসমিডকে বলা হয় ক্রিপটিক প্লাসমিড (cryptic plasmids) [8]
তথ্যসূত্র
- Sinkovics, J; Harvath J; Horak A. (১৯৯৮)। "The Origin and evolution of viruses (a review)"। Acta Microbiologica et Immunologica Hungarica। 45 (3–4): 349–90। PMID 9873943।
- Thomas, Christopher M; Summers, David (২০০৮)। "Bacterial Plasmids"। Encyclopedia of Life Sciences। doi:10.1002/9780470015902.a0000468.pub2। আইএসবিএন 0470016175।
- Lederberg J (১৯৫২)। "Cell genetics and hereditary symbiosis"। Physiol. Rev.। 32 (4): 403–430। PMID 13003535।
- Stanley Falkow। "Microbial Genomics: Standing on the Shoulders of Giants"। Microbiology Society।
- Finbarr Hayes (২০০৩)। "Chapter 1 - The Function and Organization of Plasmids"। Nicola Casali, Andrew Preston। E. Coli Plasmid Vectors: Methods and Applications। Methods in Molecular Biology, Vol. 235। Humana Press। পৃষ্ঠা 5–6। আইএসবিএন 978-1-58829-151-6।
- T. A. Brown (২০১০)। "Chapter 2 - Vectors for Gene Cloning: Plasmids and Bacteriophages"। Gene Cloning and DNA Analysis: An Introduction (6th সংস্করণ)। Wiley-Blackwell। আইএসবিএন 978-1405181730।
- David Summers (১৯৯৬)। "Chapter 1 - The Function and Organization of Plasmids"। The Biology of Plasmids। Wiley-Blackwell; First Edition। পৃষ্ঠা 21–22। আইএসবিএন 978-0632034369।