প্রথম আলো বর্ষসেরা বই
প্রথম আলো বর্ষসেরা বই বাংলাদেশের অন্যতম বার্ষিক গ্রন্থ পুরস্কার। এটি ১৪১০ বঙ্গাব্দে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা কর্তৃক প্রবর্তিত হয়। প্রতি বৎসর একটি সৃজনশীল ও একটি মননশীল বইকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারের মূল্যমান ৫০ হাজার টাকা। সঙ্গে রচয়িতাকে একটি সম্মননা পত্র এবং একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অসাধু বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার সমালোচিত হয়েছে।
প্রথম আলো বর্ষসেরা বই | |
---|---|
পুরষ্কারের কারণ | সৃজনশীল ও মননশীল বই |
দেশ | ![]() |
পুরস্কারদাতা | দৈনিক প্রথম আলো |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৪১০ বঙ্গাব্দ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |

পুরস্কারপ্রাপ্তির যোগ্যতা
বইয়ের লেখককে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বইটি বাংলাভাষায় মৌলিকভাবে রচিত ও বাংলাদেশ থকে প্রকাশিত হতে হবে। প্রতি বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়পরিধিতে প্রকাশিত সৃজনশীল ও মননশীল গ্রন্থাদি এ পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হবে।
নির্বাচন পদ্ধতি
পাঁচ সদস্যের একটি বিচারকমণ্ডলী বর্ষসেরা বই দুটি নির্বাচন করবেন। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ একটি "প্রাথমিক মনোনয়ন পর্ষদ" গঠন করবে। এই পর্ষদ পুরস্কারের জন্য দাখিলকৃত বইগুলো থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে প্রতি শ্রেণীতে ১০-১২টি বই বিচারকমণ্ডলীর কাছে উপস্থাপন করবে। বিচারকমণ্ডলী সর্বসম্মতভাবে বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সকল বিচারকের মূল্যায়ন সমন্বিত করে পুরস্কার ধার্য করবেন। বিচারকমণ্ডলী সমীচীন মনে করলে তাৎপর্যপূর্ণ অথচ পুরস্কারের জন্য দাখিলকৃত নয় এমন গ্রন্থও এ পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় নিতে পারবেন। বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই প্রথম আলো বর্ষসেরা বই-এর জন্য চূড়ান্ত বলে হণ্য হবে।
সমালোচনা
১৪১৪ বঙ্গাব্দের প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের বিচারক খোন্দকার আশরাফ হোসেন অভিযোগ করেছেন যে যদিও তারা বিচারকরা আলতাফ হোসেনের পাখি বলেকে বর্ষসেরা বই নির্বাচন করেননি তা সত্ত্বেও বিচারকদের মতের বিরুদ্ধে পাখি বলেকে পুরস্কৃত করা হয়।[1] প্রথম আলো নিজস্ব প্রকাশনা সংস্থা 'প্রথমা'র বইকে অগ্রাধিকার দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত বইয়ের তালিকা

১৪১০
- সৃজনশীল শাখাঃ তালাশ, লেখকঃ শাহীন আখতার। উপন্যাস।
- মননশীল শাখাঃ গোলাপ সংগ্রহ, লেখকঃ আবদুশ শাকুর। প্রবন্ধসংগ্রহ।[2]
১৪১১
- সৃজনশীল শাখাঃ প্রেম ও প্রার্থনার গল্প, লেখকঃ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। গল্পসংগ্রহ।
- মননশীল শাখাঃ যৌথভাবে পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু দর্শন লেখকঃ যতীন সরকার, আত্মস্মৃতি[3] এবং শতাব্দী পেরিয়ে লেখকঃ হায়দার আকবর খান রনো, আত্মস্মৃতি।
১৪১২
- সৃজনশীল শাখাঃ আগুনপাখি, লেখকঃ হাসান আজিজুল হক, উপন্যাস।
- মননশীল শাখাঃ হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, লেখকঃ গোলাম মুরশিদ, গবেষণা।
১৪১৩
- সৃজনশীল শাখাঃ ঘরভরতি মানুষ অথবা নৈঃশব্দ্য (গল্পগ্রন্থ), লেখক : আহমাদ মোস্তফা কামাল
- মননশীল শাখাঃ কুরচি তোমার লাগি, লেখক : দ্বিজেন শর্মা।
১৪১৪[4]
- সৃজনশীল শাখাঃ পাখি বলে, লেখক: আলতাফ হোসেন (কবিতা)।
- মননশীল শাখাঃ বাংলাদেশের পাখি, লেখক: শরীফ খান (গবেষণা)।
১৪১৫[5]
- সৃজনশীল শাখাঃ আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু, লেখক: শহীদুল জহির, উপন্যাস।
- মননশীল শাখাঃ বাংলাদেশের লোকনাটক: বিষয় ও আঙ্গিক-বৈচিত্র্য, লেখক: সাইমন জাকারিয়া, গবেষণা।
১৪১৬[6]
- সৃজনশীল শাখাঃ দহনকাল, লেখকঃ হরিশংকর জলদাস, উপন্যাস।
- মননশীল শাখাঃ বাংলাদেশের গণসংগীত: বিষয় ও সুরবৈচিত্র্য, লেখকঃ সাইম রানা, গবেষণা।[7]
১৪১৭[8]
- সৃজনশীল শাখাঃ কবিতা-অকবিতা রবীন্দ্রনাথ, লেখকঃ সনৎকুমার সাহা
- মননশীল শাখাঃ অপৌরুষেয় ১৯৭১, লেখকঃ অদিতি ফাল্গুনী।
১৪১৮ [9]
- সৃজনশীল শাখা: কালাশনিকভের গোলাপ (গল্পসংকলন), লেখক: ওয়াসি আহমেদ (Wasi Ahmed)
- মননশীল শাখা: উয়ারী-বটেশ্বর: শেকড়ের সন্ধানে (গবেষণাগ্রন্থ), লেখক: সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান
১৪১৯[10]
- সৃজনশীল শাখা: ডুবোচর (গল্পসংকলন), লেখক: পারভেজ হোসেন
- মননশীল শাখা: জিম্বাবুয়ে: বোবা পাথর সালানিনি (ভ্রমণকাহিনি), লেখক: মঈনুস সুলতান
তথ্যসূত্র
- হোসেন, খোন্দকার আশরাফ। "চিহ্ন'র সঙ্গে কবির আড্ডা"। পরস্পর। ২০১৮-০৩-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-২১।
- "আবদুশ শাকুর"। ৩০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- যতীন সরকার
- লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের পুনর্মিলনী
- পুরস্কার পেল ‘দহনকাল’ ও ‘বাংলাদেশের গণসংগীত’
- সাইম রানা : সুরে বাঁধা মানুষ
- সংবাদ পতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন
- http://archive.prothom-alo.com/detail/news/323404
- "প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার আজ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৪।
- "দেশবিভাগ: ফিরে দেখা এবং আগুন ও ছায়া"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৪।