শাহীন আখতার

শাহীন ১৯৬২ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি ভারতে চলে যান এবং সেখানে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে পড়াশুনা করেন। ভারত থেকে ১৯৯৭ সালে দেশে ফিরে আসেন।[2]

কর্মজীবনে তার প্রথম কাজ ছিল প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ এবং তার চলচ্চিত্র নির্মাণেরও সুযোগ ছিল। কিন্তু পরিবারের অনিচ্ছা ও বিয়ের কারণে আর তা হয়ে ওঠে নি। বর্তমানে শাহীন ঢাকাস্থ আইন ও শালিস কেন্দ্রের গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।[2]

১৯৯৭ সালে ভারত থেকে দেশে ফিরে তিনি তার প্রথম উপন্যাস পালাবার পথ নেই রচনা শুরু করেন। এই বইতে তিনি দুজন নারী একা শহরে বাস বিষয়ক জটিলতা ও সংগ্রামের কথা বর্ণনা করেন। ২০০৪ সালে তার রচিত তালাশ উপন্যাস সাড়া ফেলে।[3] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সময়ে নির্যাতিত এক নারীর যুদ্ধ চলাকালীন ও যুদ্ধোত্তর জীবনের করুণ চিত্র তুলে ধরেন। বইটি সেই বছর প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের পুরস্কার লাভ করে।[4] তার লেখা কয়েকটি ছোটগল্প হল বোনের সঙ্গে অমরলোকে, পনেরটি গল্প, নারীর একাত্তর ও যুদ্ধ পরবর্তী ক্ষত কাহিনী ও আবারও প্রেম আসছে।[2] ২০১৪ সালে তিনি ময়ূর সিংহাসন উপন্যাস রচনা করেন। এই উপন্যাসের জন্য তিনি আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার - ২০১৪ লাভ করেন।[5]

উপন্যাস

• পালাবার পথ নেই (১৯৯৭, মাওলা ব্রাদার্স)
• তালাশ (২০০৪, মাওলা ব্রাদার্স)
• সখী রঙ্গমালা (বেঙ্গল পাবলিকেশন্‌স)
• ময়ূর সিংহাসন (২০১৪, প্রথমা প্রকাশন)

ছোটগল্প

• বোনের সঙ্গে অমরলোকে (শ্রাবণ প্রকাশনী)
• পনেরটি গল্প
• আবারও প্রেম আসছে (মাওলা ব্রাদার্স)
• শিস ও অন্যান্য গল্প (বেঙ্গল পাবলিকেশন্‌স)
• শ্রীমতির জীবনদর্শন (সাহিত্য প্রকাশ)

সম্পাদনা

• সতি ও স্বতন্তরা: বাংলা সাহিত্যে নারী (সাহিত্য প্রকাশ)
• জেনানা মেহফিল: বাঙালি মুসলমান লেখিকাদের নির্বাচিত রচনা, ১৯০৪-১৯৩৮

• কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ২০১৬।[1]
• আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার-২০১৪, ২০১৬।[5]
• বাঙলার পাঠশালা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪।[6]