প্রকৌশল ও চামড়া প্রযুক্তির সরকারি মহাবিদ্যালয়
প্রকৌশল ও চামড়া প্রযুক্তির সরকারি মহাবিদ্যালয়, কখনোবা সংক্ষিপ্ত নামেও বলা হয়ে থাকে জিসিইএলটি, এটা হল এমএকেএইউটি (মওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) অনুমোদিত একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে নিম্নলিখিত শিক্ষাক্রম চালু আছে: প্রাক-স্নাতক স্তরে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং চামড়া কারিগরি, তথ্য প্রযুক্তি এবং চামড়া কারিগরি, জুতো এবং চামড়াজাত জিনিসপত্র তৈরিতে ডিপ্লোমা এবং চামড়া কারিগরিতে এমটেক। এই মহাবিদ্যালয় মওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আগে যাকে বলা হোত পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি বিশ্বিদ্যালয়) [1] অন্তর্ভুক্ত এবং সর্ব ভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ (এআইসিটিই)[2] দ্বারা অনুমোদিত
প্রকৌশল ও চামড়া প্রযুক্তির সরকারি মহাবিদ্যালয় | |
![]() | |
প্রাক্তন নামসমূহ | Calcutta Research Tannery Bengal Tanning Institute |
---|---|
ধরন | Government Engineering College |
স্থাপিত | 1919 |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | Maulana Abul Kalam Azad University of Technology (formerly known as WBUT) |
অধ্যক্ষ | Dr. Sanjoy Chakroborty (Officer-in-charge) |
স্নাতক | 650 |
স্নাতকোত্তর | 50 |
অবস্থান | Kolkata , West Bengal |
শিক্ষাঙ্গন | Urban |
Approvals | AICTE |
ওয়েবসাইট | http://gcelt.gov.in |
ইতিহাস
প্রকৌশল ও চামড়া প্রযুক্তির সরকারি মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে; এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি স্থাপনে সেই সময় সুপারিশ করেছিল চার বছর আগে, ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হওয়া মিউনিশন্স বোর্ড। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ভারতে দেশীয় চামড়াজাত উপাদানসমূহের সদ্ব্যবহার করে চামড়া শিল্পের উন্নতির জন্যে মিউনিশন্স বোর্ড এই সুপারিশ করে। ফলে দেশীয় পশুর ছাল, চামড়া, চামড়া পাকা করার জিনিস কাজে লাগিয়ে চামড়া শিল্পের উন্নতির পথ সুগম হয়।
আগে এই প্রতিষ্ঠানকে বলা হোত ক্যালকাটা রিসার্চ ট্যানারি এবং ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে নাম বদল করে বেঙ্গল ট্যানিং ইন্সটিটিউট নতুন নাম দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে কালক্রমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয় এবং এখানে চামড়া পাকা করার শংসাপত্র দেওয়ার শিক্ষাক্রম চালু হয়। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে চামড়া প্রযুক্তিতে স্নাতক শিক্ষাক্রম বিএসিস (টেক) শুরু হয়। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে আবার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বদল করে নতুন নাম রাখা হয় কলেজ অফ লেদার টেকনোলজি।
১৯৯৯-২০০০ খ্রিস্টাব্দে, চামড়া প্রযুক্তিতে বিটেক শিক্ষাক্রম উপহার দেওয়ার পাশাপাশি, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপহার দিতে শুরু করে তথ্য প্রযুক্তিতে বিটেক শিক্ষাক্রম এবং ২০০০-২০০১ খ্রিস্টাব্দে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিটেক।
মহাবিদ্যালয় কর্যক্রমসমূহ

- নবীন বরণ উৎসব - এই কার্যক্রম মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত জানানোর জন্যে হয়ে থাকে। সাধারণত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা এই নবীন উৎসব মহা উৎসাহ- উদ্দীপনার সঙ্গে সংগঠিত করে। এই বিশেষ দিনে নবাগতদের জন্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে দুপুরের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এই কার্যক্রম ডিজে সন্ধ্যা দিয়ে শেষ হয় এবং ব্যাপারটা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
- প্রযুক্তি জমায়েত - ইঞ্জিনার্ডস[3] - প্রকৌশল ছাত্রছাত্রীদের জন্যে জমায়েত (fest) মানে হচ্ছে সাংস্কৃতিক কর্যক্রমের চেয়ে বেশি কিছু, এবং এটা মনে রাখা দরকার যে, জিসিইএলটি ছাত্রছাত্রীরা প্রতি বছর মহা উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং আনন্দের সঙ্গে এর বার্ষিক প্রযুক্তি জমায়েত - 'ইঞ্জিনার্ডস' সংগঠিত করে।
ইঞ্জিনার্ডস প্রথম বার সংগঠিত হয়েছিল ২০১০ খ্রিস্টাব্দে, এবং সেই শুরুর পর্ব থেকেই এই কার্যক্রম সারা পশ্চিমবঙ্গের উভয় ধরনের, প্রকৌশল ও সাম্মানিক মহাবিদ্যালয়গুলো থেকে, ভীষণভাবে সাড়া পাওয়া গিয়েছিল।
- সাংস্কৃতিক জমায়েত - পুনর্মিলন[4] - পুনর্মিলন হল জিসিইএলটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, যেখানে সমস্ত প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রী এক ছাদের তলায় একসঙ্গে মিলিত হয়। এই কার্যক্রমে সমস্ত প্রবীণ ছাত্রছাত্রী, নবীন ছাত্রছাত্রী এবং সহপাঠী মহা আনন্দ এবং খুশির সঙ্গে তাদের ধারণা, ভাবনা ও উপলব্ধি আদান-প্রদান করে। এটা সকলকে কয়েকটা রঙিন সন্ধ্যা উপহার দেয়, যেখানে পুরোনোরা তাদের সুখস্মৃতিকে খুজে পায় এবং নতুনরাও তাদের সঙ্গে উপভোগ করে।
প্রত্যেক বছর পুনর্মিলন সংগঠিত করার জন্যে একটা নতুন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে প্রত্যেক পাঠক্রম থেকে সদস্যদের নেওয়া হয় এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদেরও এই কমিটিতে সামিল করা হয়। কার্যক্রমের সংগঠনের সমস্ত দায়িত্ব থাকে কমিটির সদস্যদের ওপর। কার্যক্রমে পুনর্মিলনের অঙ্গ হল: উদ্বোধন, মহাবিদ্যালয়ের প্রদর্শন, প্রাক্তনীদের প্রতি উৎসর্গ, রবীন্দ্র সংগীত, বৃন্দগান প্রদর্শন এবং অবশেষে থাকে ডিজে।