পৃথ্বীরাজ চৌহান

রায় পিথোরা বা পৃথ্বীরাজ চৌহান (১১৪৯–১১৯২ খ্রিঃ) চৌহান রাজবংশের একজন রাজপুত রাজা,[1] যিনি দ্বাদশ শতাব্দীর শেষ অর্ধে উত্তর ভারতের আজমির এবং দিল্লীর শাসনকর্তা ছিলেন। [2]

পৃথ্বীরাজ চৌহান
আজমিরে অবস্থিত পৃথ্বীরাজ চৌহানের ভাস্কর্য
আজমির এবং দিল্লীর রাজা
রাজত্ব১১৬৫-১১৯২ খ্রিষ্টাব্দ
পূর্বসূরিদ্বিতীয় আনঙ্গপাল তমার
উত্তরসূরিমুহাম্মাদ ঘৌরি
জন্ম১১৪৯
আজমির
মৃত্যু১১৯২ (aged 43)
তারাওরি
দাম্পত্য সঙ্গীরাথোর (গাহারওয়াল) রাণী সংযুক্তা
রাজবংশচৌহান
পিতাসোমেশ্বর চৌহান
মাতাকর্পূরি দেবী

হিমুর পূর্বে পৃথ্বীরাজ চৌহানই ছিলেন সর্বশেষ হিন্দু রাজা যিনি দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১১৭৯ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি আজমির ও দিল্লী এই দুটি রাজধানী হতেই শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। দিল্লীর তমারা সম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন পৃথ্বীরাজের নানা তৃতীয় আর্কপাল বা আনাঙ্গপাল, পৃথ্বীরাজ তার নানার পরে দিল্লীর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তার অধীনে ছিলো বর্তমান রাজস্থান এবং হরিয়ানা রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা। পৃথ্বীরাজ তুর্কি আক্রমণের বিরুদ্ধে ভারতের হিন্দু রাজাদিগকে একতাবদ্ধ করেন। ১১৭৫ সালে তিনি কনৌজের রাজা জয়চন্দ্রের কন্যা সংযুক্তাকে অপহরণ করে বিয়ে করেন, যে ঘটনাটি ভারতে একটি জনপ্রিয় প্রেম উপাখ্যান হিসেবে প্রচলিত রয়েছে।

পৃথ্বীরাজ চৌহান ১১৯১ সালে তরাইনের প্রথম যুদ্ধে মুহাম্মাদ ঘৌরিকে পরাজিত করেন। পরবর্তী বছর ঘৌরি পুনরায় আক্রমণ করলে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ চৌহান পরাজিত ও বন্দী হয়ে পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেন।

জীবনী

হিন্দু শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

তরাইনের প্রথম যুদ্ধ, ১১৯১

মুহাম্মদ ঘুরি ১১৯১ সালে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা দুর্গ জয় করেন। এই স্থান ছিল পৃথ্বীরাজ চৌহানের সীমান্ত এলাকা।[3] পৃথ্বীরাজ ভাটিন্ডার দিকে অগ্রসর হয়ে তরাইন নামক স্থানে থানেশ্বরের নিকটে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হন। ঘুরি বাহিনীর অশ্বারোহীদের প্রতিপক্ষের মধ্যভাগের দিকে তীর নিক্ষেপের মাধ্যমে লড়াই শুরু হয়। পৃথ্বীরাজের বাহিনী তিন দিক থেকে পাল্টা আক্রমণ করে এবং যুদ্ধে আধিপত্য স্থাপন করে। ফলে ঘুরিরা পিছিয়ে যায়। পৃথ্বীরাজের ভাই গোবিন্দ তাইয়ের সাথে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে মুহাম্মদ ঘুরি আহত হয়েছিলেন।[3] এই যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ ঘুরিদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হন।

তরাইনের প্রথম ও দ্বিতীয় যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়

তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ, ১১৯২

তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ

লোককথা

তথ্যসূত্র

  1. Encyclopædia Britannica
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (PDF)। ১৯ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৬
  3. A Global Chronology of Conflict: From the Ancient World to the Modern Middle East, Vol. I, ed. Spencer C. Tucker, (ABC-CLIO, 2010), 263.
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.