পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) (উর্দু: پاکستان تحريک انصاف, "বিচারের জন্য পাকিস্তান আন্দোলন") পাকিস্তানের একটি কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দল। দলটি ১৯৯৬ সালে সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অধিনায়ক এবং পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।[8] ২০১৮ সাধারণ নির্বাচন, পিটিআই ক্ষমতাসীন জোটের জাতীয় পরিষদের বৃহত্তম দল।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ پاکستان تحريک انصاف | |
---|---|
দলীয় পতাকা | |
সংক্ষেপে | পিটিআই |
চেয়ারম্যান | ইমরান খান |
মহাসচিব | আরশাদ দাদ |
সহ সভাপতি | শাহ মেহমুদ কুরেশি |
স্লোগান | Justice, Humanity and Self Esteem |
প্রতিষ্ঠা | ২৫ এপ্রিল ১৯৯৬ |
সদর দপ্তর | সেক্টর জি-৬/৪ ইসলামাবাদ, পাকিস্তান |
ছাত্র গরূৎ | ইনসাফ ছাত্র ফেডারেশন |
যুব গরূৎ | ইনসাফ যুব গরূৎ |
মহিলা গরূৎ | ইনসাফ মহিলা গরূৎ |
সদস্যপদ (২০১৩) | ১০ মিলিয়ন (বিশ্বব্যাপী) |
মতাদর্শ | পাকিস্তানী জাতীয়তাবাদ[1] কল্যাণ[2][3][4] পপুলিশম[5] ইসলামী গণতন্ত্র |
রাজনৈতিক অবস্থান | কেন্দ্রপন্থী[6] থেকে কেন্দ্রীয় ডানপন্থী[7] |
সেনেট | ১৫ / ১০৪
|
জাতীয় পরিষদ | ১৫৬ / ৩৪২
|
পাঞ্জাব পরিষদ | ১৮১ / ৩৭১
|
খাইবার পাখতুনখোয়া পরিষদ | ৮৫ / ১২৪
|
সিন্ধু পরিষদ | ৩০ / ১৬৮
|
বেলুচিস্তান পরিষদ | ৭ / ৬৫
|
আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর পরিষদ | ২ / ৪১
|
গিলগিট বাল্টিস্থান পরিষদ | ১ / ৩৩
|
খাইবার পাখতুনখোয়া স্থানীয় সরকার | ৩৯৫ / ১,৪৮৪
|
ওয়েবসাইট | |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
দলটি একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র তৈরির লক্ষ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, যেখানে নাগরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নাগরিকদের কর্মসংস্থানের বিকাশ ঘটে।[6] এটি চিন্তার স্বাধীনতা এবং পাকিস্তানের ধর্মীয় বৈষম্যের অবসান ঘটাচ্ছে।[9][10]
ইমরান খান ২০০২ সালে সাধারণ নির্বাচনে একটি আসন জয় করেছিলেন। তারপর ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলটিকে বয়কট করা হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে নির্বাচনে ৭.৫ মিলিয়ন ভোট পেয়েছে এবং ৩৪ টি আসন জয়ী করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৬.৯ মিলিয়ন ভোট পেয়েছিল, পাকিস্তানের ইতিহাসে যে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি। দলটি জাতীয় পর্যায়ে সরকার এবং খাইবার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাব প্রদেশগুলোকে পরিচালনা করে। এটি বেলুচিস্তানে জোট সরকারের একটি অংশ এবং সিন্ধু সর্বাধিক বিরোধী দল হিসেবে কাজ করে।[11][12][13]
ইতিহাস
১৯৯৬ সালের ২৫শে এপ্রিল তারিখে পাকিস্তানের লাহোরে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে একটি সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জুন ১৯৯৬ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রথম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত করা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিলেন নঈমুল হক, আহসান রশিদ, হাফিজ খান, মুওহাহিদ হোসেন, মাহমুদ আওয়ান এবং নওশারওয়ান বুরকি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।[14] ইমরান খান পিটিআই দল চালু করে পাকিস্তানের জনগণের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সংবিধান লাহোরের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দ্বারা ২৪ জানুয়ারী ১৯৯৯ তারিখে অনুমোদিত হয়েছিল। ২০০২ সালের অক্টোবরে, ইমরান খান জাতীয় নির্বাচনে অফিস দখল করেন এবং নিজের শহর মিয়ানওয়ালীর জন্য সংসদ সদস্য (এমপি) হন। তবে, পাকিস্তানের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক আদেশের গভীরভাবে সমালোচনামূলক ছিল, যা তিনি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠিত নীতির অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত, অদক্ষ এবং নৈতিকভাবে অসহায় মনে করেছিলেন। প্রতিবাদে, খান তার রাজনৈতিক দলের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একটি তৃণমূল প্রচারণা শুরু করেন।
চিন্তাধারা
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের এজেন্ডা একটি আধুনিক ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে আলোকিত করে, যা সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় ব্যক্তিদের কল্যাণকে সমর্থন করে। পিটিআই সকল ধর্মীয়, জাতিগত সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক সম্প্রীতি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে পাকিস্তানকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তথ্যসূত্র
- "Pakistan's Imran Khan declares victory as rivals cry foul"। Reuters। ২৫ জুলাই ২০১৮।
- Khan, Sidrah Moiz (জুন ২৭, ২০১২)। "'Pakistan's creation pointless if it fails to become Islamic welfare state'"। The Express Tribune।
- Michaelsen, Marcus (মার্চ ২৭, ২০১২)। "Pakistan's dream catcher"। Qantara.de।
- "Constitution of Pakistan Tahreek-e-Insaaf"। PTI official। ১২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৮।
- "Pakistan: Populist Imran Khan set to become new premier"। Anadolu Agency। ২৬ জুলাই ২০১৮।
- "PTI: Brand and ideology"। The Nation। জুলাই ২৮, ২০১৪।
- "Pakistan elections 2018: The major political parties"। Al Jazeera English। ১১ জুলাই ২০১৮।
- "The Pathan Suits: Can Imran Khan Lay A New Path For Pakistan's Fractured Polity?"।
- "PTI Ideology"। PTI official। ১১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৮।
- "Everyone is equal, state has no religion: Imran Khan"। Dunya News। এপ্রিল ১৬, ২০১৫।
- Malik, Mansoor (অক্টো ৩১, ২০১২)। "PTI marks 'Revolution Day'"। Dawn।
- Hassan, Mirza (নভেম্বর ৮, ২০১১)। "'PTI to field 1000 candidates in next election'"। The News Tribe।
- "PTI chief will have a two-term limit, says Imran Khan"। The Express Tribune। মার্চ ২০, ২০১৩।
- "Fauzia Kasuri was never a founding member: Imran Khan"। The Express Tribune। ৬ জুন ২০১৩।