পা

পা প্রাণী-দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা প্রধানত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ।

পায়ের সংখ্যা

দুপায়ের প্রাণীদের ভেতর অচট্রিচ অন্যতম দ্রুত গতির। মানুষও দু পায়ের। আর আমাদের পরিচিত প্রাণী গরু,ছাগল,ভেড়া,বাঘ,সিংহ ইত্যাদি চার পায়ের। অর্থোপোডদের ভেতর ৪,৬ জোড়া পা দেখা যায়। আর কীটদের ভেতর ৮,১২ ,১৪ জোড়া পা দেখা যায়। শতপদী এবং সহস্র পদী পা বিশিষ্ট কীটও দেখা যায়, এরাও অর্থোপোডার ভেতর পরে।

মানুষের পা

সাধারণত হাঁটুর নিচ থেকে পা এর শুরু।পা হাড় মাংশ চামড়ার সমন্বয়ে গঠিত।দু পায়ের প্রাণী ব্যতিত অন্যান্য প্রাণীদের সামনের পা হাতের মতও কাজ করে সাধারণ ভাবে পা এর কথা উঠলে আমরা মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকেই বুঝি। সাধারণত মায়ের পেটে থাকাকালীন ১০সপ্তাহের ভেতরই শিশুর পা পূর্নাঙ্গতা পেয়ে যায়। পা এর প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল ভার বহন।এটা প্রাণীদের ক্ষেত্রে যেমন সত্য জড় বস্তুর ক্ষেত্রেও। জীবন্ত পা এবং জড় পা হিসেবে আমরা পা কে শ্রেণী বিভাগ করতে পারি। জীবন্ত পা যাদের প্রাণ আছে তাদের পা,এই পা সৃষ্টির পর থেকে একটা সময় পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। আর জড় বস্তুর পা তৈরির সময় যা থাকে তাতেই নির্দিষ্ট থাকে। জড় পায়ের উদাহরণঃ চেয়ারের পা,আলমারির পা ইত্যাদি। পায়ের সংখ্যার ভিত্তিতে প্রাণীদের বিভাজন করা যায়। পায়ের সংখ্যার ভিত্তিতে প্রাণী দু পায়ে,চার পায়ে এভাবে হয়ে থাকে, এক পায়ের প্রাণী হয় না,ব্যতিক্রম কোনরূপ শারিরিক বা দুর্ঘটনাগত ত্রুটি ছাড়া।আর অর্থোপোডা শ্রেনীর প্রাণীদের ক্ষেত্রে বহু পায়ের সংখ্যা মেলে। সাধারণত জোড় সংখ্যক পা নিয়েই অধিকাংশ প্রাণী।

হাটু  সন্ধি হতে গোড়ালি সন্ধি পর্যন্ত পা এর বিস্তৃতি।

হাটু সন্ধি ২টি হাড় নিয়ে গঠিত। টিবিয়া এর মাথা ও ফিমার এর মধ্যবর্তী কন্ডাইল

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.