পরিসংখ্যান
পরিসংখ্যান (ইংরেজি ভাষায়: Statistics) এক ধরনের গাণিতিক বিজ্ঞান (Mathematical Science) যা মুলত: উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা ও উপাত্ত সহজে পরিবেশন নিয়ে কাজ করে। বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক এবং আরো নানা শাখায় পরিসংখ্যানের ব্যবহার রয়েছে। উপাত্ত বিশ্লেষন করে তা থেকে তথ্যসমৃদ্ধ সিদ্ধান্ত (Informed decision) গ্রহণে পরিসংখ্যানের ভূমিকা অপরিহার্য। যে কোন ধরনের গবেষণার জন্য পরিসংখ্যান এর মৌলিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। তবে জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে পরিসংখ্যানের অপব্যবহারও হয়ে থাকে।
কর্মপরিধি
যারা পরিসংখ্যানের চর্চা করেন তাদেরকে সাধারনভাবে পরিসংখ্যানবিদ বলা হয়। পরিসংখ্যানের সমস্যা গুলো সাধারনত কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা সমষ্টি নিয়ে আবর্তিত হয়। তথ্যের প্রাপ্যতা বা ব্যবস্থাপনা যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে সেই সমষ্টির প্রত্যেককে নিয়ে অথবা তার একটা অংশকে নিয়ে কোন চয়ন পদ্ধতিতে বিশ্লেষন করা হয়।
উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
পরিসংখ্যানের ইংরেজি 'Statistics' শব্দটি খুব সম্ভবত ল্যাটিন শব্দ 'Statuss', ইতালীয় শব্দ 'Statista' বা জার্মান শব্দ 'Statistik' হতে উৎপত্তি হয়েছে। 'Statuss' এবং 'Statistik' শব্দের অর্থ রাষ্ট্র আর 'Statista' শব্দের অর্থ রাষ্ট্রের কার্যাবলী । এ থেকে বুঝা যায় যে রাষ্ট্রের কাজ পরিচালনা থেকেই পরিসংখ্যানের উৎপত্তি হয়েছে । রাষ্ট্রের বিভিন্ন তথ্য যেমন - লোকসংখ্যা, রাজ্যবসের পরিমাণ, জন্মমৃত্যু প্রভৃতি হিসাবের জন্য এটি ব্যবহৃত হত।
পরিসংখ্যানের শাখা
১-গড় ২-মধ্যক ৩-প্রচুরক ৪-আয়তলেখ ৫-অজিবরেখা ৬-গনসংখ্যা বহুভুজ
পরিসংখ্যানের বৈশিষ্ট্য
- পরিসংখ্যানে সংখ্যাসূচক প্রকাশ অবশ্যক।
- পরিসংখ্যানে হচ্ছে তথ্যের সমষ্টি।
- পরিসংখ্যানের অনুসন্ধান কোন একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে।
- পরিসংখ্যান তথ্য বহুবিধ কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়।
- পরিসংখ্যান তথ্য সু-শৃঙ্খলভাবে সংগ্রহ করতে হবে।
- পরিসংখ্যান তুলনাযোগ্য ও সমজাতীয় হতে হবে।
- পরিসংখ্যান প্রাক্কলনে যুক্তি-সঙ্গত ও পরিমাণে সঠিকতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
পরিসংখ্যানের গুরুত্ব
প্রাচীণ কালে পরিসংখ্যানের ব্যবহার কেবলমাত্র রাষ্ট্রীয় কার্যাদি পরিচালনার মধ্যে সীমিত থাকলেও বর্তমানে এর ব্যবহার মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্তৃত। মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি পরিসংখ্যানের বিভিন্ন কলা- কৌশলকে অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহারের দ্বার উন্মোচন করেছে। পরিসংখ্যান আধুনিক মানব সভ্যতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিরুপ ভূমিকা পালন করছে,তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- মানব কল্যাণে পরিসংখ্যান
- প্রাতিষ্ঠানিক নীতি নির্ধারণে
- পূর্বাভাস প্রদানে
- জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও মূল্যায়নে
- রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যন্ত্রে
- সামাজিক গবেষণায়
- ব্যবসা-বাণিজ্যে
- অর্থনৈতিক গবেষণায়
- রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়নে
- বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায়
- বিভিন্ন চলকের মধ্যে কার্যকর সম্পর্ক নির্ণয়
- অতীত জ্ঞান অভিজ্ঞতা সংরক্ষনে।
- রাষ্ট্রের কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে।
সসসস