পঞ্চতত্ত্ব (বৈষ্ণবধর্ম)
পঞ্চতত্ত্ব (Devanagari: पञ्चतत्त्व; IAST: pañca-tattva, সংস্কৃতে pañca মানে পাঁচ ও tattva মানে সত্যতা বা বাস্তবতা) বলতে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্য-এ ঈশ্বরের বা পরম সত্যের পাঁচটি দিককে ইঙ্গিত করে বা বোঝায়।[1]

পটভূমি
গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম মতে, পঞ্চদশ শতকে পৃথিবীতে আবির্ভুত ঈশ্বরের (কৃষ্ণ) পাঁচটি অবতার হলেন পঞ্চতত্ত্ব। এরা হলেন চৈতন্য মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ, অদ্বৈত আচার্য, গদাধর পণ্ডিত ও শ্রীনিবাস ঠাকুর। এঁদের দ্বারা ভারতবর্ষে বিখ্যাত হরে কৃষ্ণ মন্ত্র ও শ্রীকৃষ্ণের ভক্তির (নিষ্ঠা) কথা ছড়িয়ে পরে।
পাঁচটি বৈশিষ্ট্য
- চৈতন্য মহাপ্রভু স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
- নিত্যানন্দ স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ব্যক্তিগত বিস্তার এবং বলরামের সংযুক্ত শক্তি
- অদ্বৈত আচার্য ভগবান বিষ্ণু এবং মহাদেব শিবের যৌথ অবতার
- গদাধর পণ্ডিত রাধা, ললিতা (গোপিনী) এবং ভগবান কৃষ্ণের অভ্যন্তরীন শক্তির যৌথ অবতার
- শ্রীনিবাস ঠাকুর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অকৃত্রিম উপাসক এবং উপাসনার প্রতীক
পঞ্চতত্বের মন্ত্র
গৌড়ীয় ঐতিহ্যে পঞ্চতত্ত্বেরর মন্ত্রে পাঁচজন সদস্যের নাম উল্লেখ আছে। এটি একটি ভক্তিমূলক মন্ত্র যাকে ধ্যানের (জপ) একটি উপায় হিসাবে গাওয়া হয়। প্রায়শই হরে কৃষ্ণ মন্ত্র গাওয়ার সময় এই মন্ত্র গাওয়া হয়ে থাকে। অনুগামীরা বিশ্বাস করে, এটি কলি যুগের একটি করুনাময় মন্ত্র।
“ | জয় শ্রী-কৃষ্ণ-চৈতন্য প্রভু-নিত্যানন্দ। শ্রী-অদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাধি-গৌর-ভক্ত-বৃন্দ।। |
” |
তথ্যসূত্র
- "Pancha Tattva (Vaishnavism) - Wikipedia"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১৯।
- "The Hare Krsnas - Sadhana Practice - Mangala-arati Kirtana, Pancha Tattva Maha-Mantra"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১৯।