নূরুল কবীর

নূরুল কবীর ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও, ১৯৮৮ সালে যুক্তরাজ্যের থম্পসন ফাউন্ডেশনে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়ন করেন এবং ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই এলাকা হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারে সাংবাদিকতা অধ্যয়ন করে জেফারসন ফেলোশিপ ভূষিত হন।

নূরুল কবীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ছাত্র জীবনের সময়, বামপন্থী ছাত্র নেতা এবং কর্মী ছিলেন, যিনি ১৯৮৩ সালে স্টুডেন্ট কমিটির অফ অ্যাকশন ফর ডেমোক্রেসি গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন; যে কমিটি আশির দশকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি নিষ্পত্তিমূলক ভূমিকা পালন করে।[2]

নূরুল কবীর দ্য নিউ এজের সম্পাদক, যেটি বাংলাদেশের সবচেয়ে খোলামেলা নিরপেক্ষ প্রতিবেদনের সংবাদপত্রের মধ্যে একটি।[3] নূরুল কবীর তার সম্পাদকীয় নীতির জন্য অত্যন্ত সম্মানিত।[4] তিনি সাপ্তাহিক বুধবারের সম্পাদক ছিলেন। তিনি তার সরাসরি সাংবাদিকতা এবং সাহসী রাজনৈতিক মতামতের জন্য পরিচিত। এছাড়া কবি ও লেখক হিসেবে তিনি একাধিক বই লিখেছেন, দেশে এবং বিদেশে অসংখ্য রচনা প্রকাশ করেছেন এবং আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলিতে অনেক বক্তব্য পেশ করেছেন।

বাংলাদেশে সামরিক শাসনের বিরোধিতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সোচ্চার থাকার কারণে কবির বেশ কয়েকবার আক্রমণের শিকার হন। ২০০৭/৮ সালে তার দুটি পা ভেঙে যায় এবং মোটরবাইকে করে বন্দুকধারীরা তাকে ধাওয়া করেছিল।

• দ্য রেড মাওলানা(২০১২)
• নৈর্বাচনিক স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম (২০১২)
• কটুকথা-(সাক্ষাতকারের সংগ্রহ) (২০১৪)