নিউক্লিওলাস

নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থিত ক্ষুদ্র,গোল,উজ্জ্বল ও অপেক্ষাকত ঘন বস্তুটি নিউক্লিওলাস (ইংরেজিঃ Nucleolus) নামে পরিচিত।বিজ্ঞানী ফণ্টানা (Fontana) ১৭৮১ সালে সর্বপ্রথম এটি দেখতে পান।প্রাণিবিদ বোম্যান (Bowman) ১৮৬৬ সালে নিউক্লিওলাসের নামকরন করেন।

অবস্থান

প্রত্যেক ইউক্যারিওটিক কোষে সাধারণত একটি নিউক্লিওলাস থাকা অপরিহার্য।কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে ও প্রজাতিভেদে নিউক্লিওলাসের সংখ্যা দুই বা ততোধিক হতে পারে।অন্যদিকে শুক্রাণু,শ্বেতকণিকা প্রভৃতি কোষে যেখানে প্রোটিন সংশ্লেষন হয় না সে সব কোষে নিউক্লিওলাস অনুপস্থিত।যে সব কোষ বেশি মাত্রায় প্রোটিন সংশ্লেষন করে সে সব কোষে নিউক্লিওলাস আকারে বড় এবং ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাও একাধিক।সাধারণত একটি কোষের নির্দিষ্ট স্থানে নিউক্লিয়াস সংযুক্ত থাকে।নিদিষ্ট ক্রোমোজমের ঐ নির্দিষ্ট স্থানটির নাম SAT বা স্যাটেলাইট।নিউক্লিয়াস বহনকারী ক্রোমোজোমটিকে SAT-ক্রোমোজোম বলে।কোষ বিভাজনের মেটাফেজ ধাপে নিউক্লিওলাস অদশ্য হয় এবং বিভাজনের শেষ ধাপে প্রতিটি অপত্য নিউক্লিয়াসে নিউক্লিওলাসের আবির্ভাব ঘটে।[1]""|||

==গঠন ও উপাদান নিউক্লিওলাস বহিঃস্থ পার্স অ্যামরফা,মধ্যভাগে দানাদার নিউক্লিওলোনিমা এবং কেন্দীয় তরল মাতৃকা এ তিনটি পথক অংশ নিয়ে গঠিত।

কাজ

নিউক্লিওলাস নিউক্লিক এসিড এর ভান্ডার হিসেবে কাজ করে।রাইবোজোম সৃষ্টি করে।প্রোটিনRNA সংশ্লেষ করে।

তথ্যসূত্র

  1. গাজী আজমল,সফিউর রহমান (২০১৭)। উচ্চমাধ্যমিক জীববিজ্ঞান(প্রথম পত্র)। গাজী পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা ২১।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.