নলিনীকান্ত ভট্টশালী
নলিনীকান্ত ভট্টশালী (জানুয়ারি ২৪, ১৮৮৮ - ফেব্রুয়ারি ৬, ১৯৪৭) একজন বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ, গবেষক এবং পন্ডিতব্যক্তি, যিনি ঢাকা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৫ সালে ঢাকা জাদুঘরের পরিচালক থাকাকালীন সময়ে নলিনীকান্ত ভট্টশালীর উৎসাহে বিবি মরিয়ম কামান ঢাকার চকবাজার থেকে সরিয়ে সদরঘাটে স্থাপন করা হয়।[1]
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্মজীবন
নলিনীকান্ত ভট্টশালী ১৮৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার নয়নানন্দ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯১২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১৪ সালে তৎকালীন ঢাকা জাদুঘরের কিউরেটর হিসেবে যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ৩৩ বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তার উদ্যোগে ১৯২০ সালে ঢাকা জাদুঘর স্থানান্তরিত হয় ঢাকার নিমতলীর বারোদুয়ারিতে।
অবদান
নলিনীকান্ত ভট্টশালী সমগ্র পূর্ববঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ ঘুরে প্রচুর প্রত্ন-নিদর্শন সংগ্রহ করেন। তিনি মুদ্রাতত্ত্ব, প্রত্নলিপিবিদ্যা এবং মৌর্য ও গুপ্তবংশের ইতিহাস বিষয়ে গবেষণা করে ১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ভারতের ইতিহাস, বিশেষত বাংলার ইতিহাস ও প্রত্ন বিষয়ে তিনি অনেক বই লিখেছেন।
পুরষ্কার
১৯২২ সালে তিনি ক্রনোলজি অভ আর্লি ইন্ডিপেন্ডেন্ট সুলতানস অভ বেঙ্গল বইটির জন্য গ্রিফিথ পুরস্কার পান। বইটিতে তিনি রাজা গণেশ সম্বন্ধে অনেক নতুন তথ্য তুলে ধরেন।
মৃত্যু
১৯৪৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জাদুঘরে কর্মরত অবস্থায় তার প্রয়াণ হয়।