বিবি মরিয়ম কামান

বিবি মরিয়ম কামান ভারতে মোগল শাসনামলের নির্মিত একটি বৃহদাকার কামান যা দুর্ধর্ষ দস্যুদের নিবৃত্ত করতে নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে এটিকে বিবি মরিয়ম নামাকরণ করা হয়।[2] বর্তমানে এটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে ওসমানী উদ্যানে রক্ষিত। এটি মোগল শাসনামলের একটি বিশেষ নিদর্শন। সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মোগল সেনাপতি মীর জুমলার আমলে এটি ঢাকায় স্থাপন করা হয়।[3]

বিবি মরিয়ম কামান
অবস্থানঢাকা, বাংলাদেশ
ধরনকামান
উপাদানপিতল[1]
সম্পূর্ণতা তারিখ১৭ শতাব্দী
১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে চকবাজার মসজিদের সামনে অবস্থিত বিবি মরিয়ম কামান

ইতিহাস

বাংলার সুবাদার মীর জুমলা আসাম অভিযানে এটি ব্যবহার করেছিলেন। ৬৪,৮১৫ পাউন্ড ওজনের এই কামানটি পরে তিনি বাংলা সুবার তৎকালীন রাজধানী ঢাকার বড় কাটরার সম্মুখভাগে সোয়ারীঘাটে স্থাপন করেন। পরবর্তীতে এর অর্ধাংশ বালির নিচে তলিয়ে যায়। ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে লেখা কর্নেল ডেভিডসনের রচনায় এ বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। ১৮৪০ সালে ঢাকার তদানিন্তন ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াল্টার্স ব্রিটিশ প্রকৌশলীদের সহায়তায় সোয়ারীঘাট হতে উত্তোলন করে চকবাজার এলাকায় স্থাপন করেন।[3]

১৯১৭ (অনেকের মতে ১৯২৫) খ্রিস্টাব্দে ঢাকা জাদুঘরের পরিচালক নলিনীকান্ত ভট্টশালীর উৎসাহে এটিকে সদরঘাটে স্থাপন করা হয়।[4] পরে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) এর সভাপতি জিএ মাদানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রকৌশলীদের মাধ্যমে এটিকে ডিআইটি অ্যাভিনিউ ও জিন্নাহ অ্যাভিনিউয়ের (বর্তমানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ) সংযোগস্থলে গুলিস্থানে স্থানান্তর করেন। ১৯৮০ এর দশকের শেষভাগে এটিকে ওসমানী উদ্যান এ স্থানান্তরিত করা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. "The 'Chowk' or market place of Dacca" (ইংরেজি ভাষায়)। Bl.uk। ২০০৩-১১-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৫
  2. জনকণ্ঠে ২০-১০-২০১০ তারিখে মূদ্রিত প্রতিবেদন
  3. মুনতাসীর মামুন, "ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী", ৩য় সংস্করণ, ৪র্থ মূদ্রণ, জানুয়ারি ২০০৪, অনন্যা প্রকাশনালয়, ঢাকা, পৃষ্ঠা ১৮০, আইএসবিএন ৯৮৪-৪১২-১০৪-৩।
  4. দাস, স্বপন কুমার (৮ নভেম্বর ২০০৯)। "বলছি সেই কামানটির কথা"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.