নবদ্বীপের ভদ্রকালী মাতা

ভদ্রকালী মাতা হলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নবদ্বীপের বাঙালিদের শাক্তরাস উৎসবের শক্তি আরাধনার পৌরাণিক দেবী। তিনি প্রধানত বাংলার কুলদেবী। বাংলায় হাজার হাজার বছর ধরে তার আরাধনা হয়ে আসছে।

ভদ্রকালী মাতা
শক্তি,তন্ত্র
নবদ্বীপ রাসযাত্রায় পূজিত ভদ্রকালী মাতা
অন্তর্ভুক্তিশাক্ত বাঙালি দেবী
বাহনসিংহ

ইতিহাস

চালচিত্র সহ নবদ্বীপের ভদ্রকালী মাতার হাতে আঁকা চিত্র

পালযুগের পাওয়া মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তিগুলি প্রকৃত পক্ষে ভদ্রকালী রূপেই আরাধনা করা হত বলে মনে করা হয়। শ্রী শ্রী চণ্ডী ও মার্কেন্ডেও পুরাণ অনুযায়ী দেবী ভদ্রকালী রূপে মহিষ মর্দন করেন, তাই তিনি মহিষাসুরমর্দিনী।[1] আবার দেবী সরস্বতীকেও ভদ্রকালী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নবদ্বীপের শাক্তরাস উৎসবে ভদ্রকালীর আরাধনা ৪০০ বছরেরও অধিক প্রাচীন বলে মনে করা হয়। বাল্মীকি রামায়ণ অনুযায়ী পাতালপুরির রাক্ষসরাস মহীরাবনের আরাধ্যাদেবী হলেন ভদ্রকালী। মহীরাবন রাম ও লক্ষণকে পাতালে নিয়ে যায় দেবীর সামনে বলি দেওয়ার জন্য। কিন্তু, রাম ভক্ত হুনুমান মহিরাবন বধ করে রাম ও লক্ষণকে নিয়ে উদ্বার করেন। রামের নির্দেশে হুনুমান মহিরাবনের দেবী ভদ্রকালীকে মর্তলোকে নিয়ে আসেন এবং বঙ্গদেশে বর্ধমানের ক্ষিরগ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন। নবদ্বীপের শাক্তরাস উৎসবে দেবীকে এই রূপেই আরাধনা করা হয়। কালিকাপুরাণ মতে, ভদ্রকালীর গায়ের রং অতসীপুষ্পের ন্যায়, মাথায় জটাজুট, ললাটে অর্ধচন্দ্র ও গলদেশে কণ্ঠহার। তন্ত্রমতে অবশ্য তিনি মসীর ন্যায় কৃষ্ণবর্ণা, কোটরাক্ষী, সর্বদা ক্ষুধিতা, মুক্তকেশী; তিনি জগৎকে গ্রাস করছেন, তার হাতে জ্বলন্ত অগ্নিশিখা।[2]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "জীবনী কোষ/ভারতীয়-পৌরাণিক/ভদ্রকালী"। উইকিসংকলন। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
  2. "দেবী কালীর রূপের রহস্য!"। ৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.